গোবিন্দগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
Published: 24th, March 2025 GMT
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রোববার বিকেলে ও রাতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের এক আরোহী ও ট্রাকের এক হেলপার নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, মোটরসাইকেল আরোহী আলম মিয়া (২৮) এবং ট্রাক হেলপার হাসান আলী (৩০)।
নিহত হাসান উপজেলার তালুককানুপুর ইউপির রাঘবপুর গ্রামের মমদেল হোসেনের ছেলে এবং আলম গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, রোববার রাত ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের পৌরশহরের খলসী ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে বালুবোঝাই ডাম্প ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে দুই ট্রাকই খাদে পড়ে হেলপার হাসান নিহত হয়।
অপরদিকে রোববার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে পৌরশহরের জনতা ব্যাংকের সামনে মোটরসাইকেল চালিয়ে যানজটে আটকা পড়া একটি কার্গো ট্রাক ও অটোরিকশার মাঝ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় কার্গো ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আলম মিয়া। তিনি স্থানীয় একটি ব্রিটিশ টোবাকো কোম্পানির এস.
খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন। তিনি বলেন, পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ ব ন দগঞ জ সড়ক দ র ঘটন ন হত গ ব ন দগঞ জ ক সড়ক
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে কৃষকের জন্য বরাদ্দ সার বিক্রির চেষ্টা
ফরিদপুরে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বরাদ্দ করা সরকারি সার বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করলে চেয়াম্যানের এক সহযোগী ও ভ্যানচালক সার ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে ৩ বস্তা ইউরিয়া সার ও ৩ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করে নিয়ে যায়।
সোমবার দুপুর ৩টার দিকে ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই দোকানে সারগুলো বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছিল।
স্থানীয় বাবু সরদার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ইউনুস নামে এক ব্যক্তি ভ্যানে করে সারগুলো নিয়ে আসেন। তিনি মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সন্টুর দোকানে বিক্রির চেষ্টা করেন। এ সময় দোকানদার সার কিনতে অস্বীকার করলে আমি গিয়ে দেখি সরকারি সার। এ সময় ইউনুস দৌড়ে পালিয়ে যান। আমি পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা সার নিয়ে যান।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা পাট অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কানাইপুর ইউনিয়নে ২৪০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণের তালিকা করা হয়। সম্প্রতি বরাদ্দকৃত সার ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। তবে এসব সার বিতরণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানেন না সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লতিফা আক্তার।
এসব সার বিতরণের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জেলা পাট অধিদপ্তরের উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম দাবি করেন, ৬ এপ্রিল কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২৪০ জনের মধ্যে ২০০ জনের মাঝে সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ৬ কেজি ইউরিয়া, ৩ টিএসপি, ৩ কেজি ডিএপি সার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বাকি ৪০ জন কৃষক না আসায় সারগুলো পরিষদে রাখা হয়। পরবর্তীতে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাভ হুসাইন বলেন, আজ বন্ধের দিন থাকায় বলা যাচ্ছে না, আমার পরিষদের সার কিনা। কারণ, চাবি রয়েছে সচিবের কাছে। পরিষদ খুললে গোডাউন দেখে বলতে পারব।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে। তারা সারগুলো জব্দ করে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।