গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১২ ফিলিস্তিনি
Published: 24th, March 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন নারীও রয়েছেন। সোমবার ভোররাতে উপত্যাকাজুড়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় তারা প্রাণ হারান। খবর আলজাজিরার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতের এই পরিসংখ্যানে খান ইউনিসে তাঁবুতে বোমা হামলায় নিহত ছয়জন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরের মাইন এলাকায় একটি বাড়িতে হামলায় নিহত চারজনও রয়েছে।
এছাড়া মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় দুজন নারীও নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় রোববার গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ২১ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৭৪ জনে পৌঁছেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এর প্রতিবাদে সেদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের বিমান হামলা শুরু করে আইডিএফ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মনে হচ্ছে মাঠ প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করছে না, এ অবস্থায় নির্বাচন সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বর্তমানে যে মাঠ প্রশাসন রয়েছে, সেই মাঠ প্রশাসন মনে হচ্ছে নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চলছে এবং সেসব জায়গায় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। প্রশাসন অনেক জায়গায় বিএনপির পক্ষে কাজ করছে, এ ধরনের প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সফররত মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে কী আলোচনা হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে আমরা যে প্রস্তাবনাগুলো সংস্কার কমিশনে দিয়েছি, সেগুলোর কথা বলেছি। আমরা বলেছি আমাদের তিনটি দাবির কথা—সংস্কার, বিচার ও গণপরিষদ নির্বাচন। আমরা বলেছি যে আমরা এখানে নূন্যতম সংস্কার নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের জন্য আমরা কাজ করছি। এই পরিবর্তনগুলো ছাড়া নির্বাচন হলে, তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সেই নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি অংশগ্রহণ করবে কিনা, সেটাও বিবেচনাধীন থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি প্রশাসন বিএনপির পক্ষ অবলম্বন করছে অনেক জায়গায়। মাঠপর্যায়ে যেসব জায়গায় চাঁদাবাজি চলছে, সেই জায়গায়ও প্রশাসন আসলে নিরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা বলেছি, এ ধরনের প্রশাসন যদি থাকে তাহলে এর অধীনে নির্বাচন করাটা সম্ভব নয়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন, আমলাতন্ত্র, পুলিশ নিশ্চিত করতে হবে।’