নোকিয়া স্মার্টফোন কিনতে বিকাশের গ্রাহকেরা যেভাবে সিটি ব্যাংকের ঋণ পাবেন
Published: 24th, March 2025 GMT
নোকিয়া স্মার্টফোন কিনতে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশের গ্রাহকদের ঋণ দেবে বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক। বিকাশ অ্যাপের পে লেটার সেবা ব্যবহার করে গ্রাহকেরা এই নোকিয়া ফোন কিনতে পারবেন। বিকাশের যেসব গ্রাহক ঋণ পাওয়ার যোগ্য হয়েছেন, তারা এ সুবিধা পাবেন। এমএফএস প্রতিষ্ঠানটির এ ধরনের গ্রাহক আছে প্রায় ৪০ লাখ। এর বাইরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদেরও এই ঋণের আওতায় আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিটি ব্যাংক ও সেলেক্সট্রা লিমিটেডের মধ্যে সম্প্রতি একটি অংশীদারত্ব চুক্তি সই হয়েছে। দেশজুড়ে গ্রাহকদের জন্য স্মার্টফোন আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে চুক্তিটি করা হয়। বাংলাদেশে নোকিয়া ও এইচএমডি মোবাইলের উৎপাদক ও পরিবেশক হলো সেলেক্সট্রা লিমিটেড। এই চুক্তির ফলে বিজিবি সদস্যরাও এখন ‘বিকাশ পে লেটার’ সেবা ব্যবহার করে সহজ কিস্তিতে নিজেদের পছন্দের নোকিয়া স্মার্টফোন কিনতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অর্থায়ন করবে সিটি ব্যাংক।
যেভাবে মিলবে ঋণ
বিকাশের লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে ৪০ লাখ গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে সিটি ব্যাংক। ঋণের পরিমাণ হবে ৩ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩ মাস।
বিকাশ অ্যাপের পে লেটারের মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার সময় বিজিবি সদস্যদের পরিচয়পত্রের নম্বর যুক্ত করতে হবে। তাৎক্ষণিক যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর ঋণের মাধ্যমে মোবাইল কেনা যাবে। এতে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা। ঋণের মেয়াদ হবে তিন মাস।
সিটি ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিজিবি সদস্যদের ঋণের ঝুঁকি নিচ্ছে সেলেক্সট্রা লিমিটেড। এ জন্য সিটি ব্যাংকের টাকা জমা রাখবে সেলেক্সট্রা লিমিটেড। কোনো গ্রাহক ঋণের তিন কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে সিটি ব্যাংক সেই হিসাব থেকে টাকা কেটে রাখতে পারবে।
এ নিয়ে সিটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং অরূপ হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিকাশের প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহকের পাশাপাশি এখন বিজিবি সদস্যরাও এই ঋণ পাবেন। সামনে আমাদের আরও নতুন নতুন খাতে ক্ষুদ্রঋণ ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামা খুন, ভাগনেসহ গ্রেপ্তার ৩
রাজশাহীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামাকে খুনের অভিযোগে ভাগনেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব রাজশাহী ও মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরের ঘোড়া চত্বর এলাকায় সুরুজ আলীকে (৪৫) মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই নিহত ব্যক্তির বাবা রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার মৃত আনিচুর রহমানের ছেলে মো. হিরো (৪০) ও আশরাফ আলী (৪৫) এবং তাঁদের মা জাহানারা বেগম (৬০)।
নিহত ব্যক্তির নাম সুরুজ আলী (৪৫)। তিনি নগরের নতুন বিলসিমলা এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সুরুজ পেশায় একজন মাইক্রোবাসচালক ছিলেন।
র্যাব জানিয়েছে, নিহত সুরুজ আলীর সঙ্গে আসামিদের জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুরুজসহ চারজন অটোরিকশায় লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে নতুন বিলসিমলার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ঘোড়া চত্বর এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা তাঁদের পথ রোধ করেন। সেখানে জমি নিয়ে কথা–কাটাকাটি ও বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আশরাফ আলীর নির্দেশে হিরো ইট দিয়ে সুরুজের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা তাঁর বুক, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মারেন। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যান।
পরে আহত সুরুজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে র্যাব রাজশাহী সিপিসি-১-এর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনার পর মামলা হলে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের রাজপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।