চাঁদাবাজি মামলায় এনসিপি প্রতিনিধিসহ গ্রেপ্তার দু’জন
Published: 24th, March 2025 GMT
পিরোজপুরে সেতুর টোলঘর ও নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে হামলা, চাঁদাবাজি, টাকা ছিনতাই, ভাঙচুরের মামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার জেলা শহরের কাপুড়িয়া পট্টি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত দু’জন হলেন– পিরোজপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও এনসিপির প্রতিনিধি মুসাব্বির মাহমুদ সানি ও তাঁর সহযোগী মিলন শিকদার। মুসাব্বির সদর উপজেলার উত্তর মাছিমপুর গ্রামের এবং মিলন উত্তর নামাজপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সদর উপজেলার নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের প্রকল্প ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম এবং বলেশ্বর ব্রিজের টোলঘরের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দুটি করেন। মামলায় সানিসহ তিনজনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলা থেকে জানা গেছে, মুসাব্বির মাহমুদ সানিসহ কয়েকজন প্রকল্প এলাকায় গিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জনকে নিয়ে শহরের বাইপাস এলাকায় নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের প্রকল্পে হামলা চালান। এ সময় তারা প্রকল্পের ঠিকাদারের অফিস ভাঙচুর, মারধর এবং ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যান। একই দিন তারা পিরোজপুর-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের বলেশ্বর সেতুর টোলঘরে কর্মচারীদের মারধর করে লুটপাট চালান। পরে টোলঘরে অগ্নিসংযোগ করেন।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান বলেন, হামলা-ভাঙচুর মামলায় সানিসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে অসুস্থ বোধ করায় রোববার পুলিশ পাহারায় সানিকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মোসাব্বির মাহমুদ সানি গ্রেপ্তারের খবরে তাঁর বিচারের দাবিতে শনিবার বিকেলে পিরোজপুরে মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশসহ সাধারণ ছাত্র-জনতা। তারা মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী চাঁদাবাজসহ সব অপরাধীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পাটুরিয়া-আরিচা ঘাটে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ
পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরছে। বাস ও কোচের চেয়ে লঞ্চ পারাপারে যাত্রীদের চাপ বেশি দেখা গেছে।
পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। পাটুরিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, অনেক গার্মেন্টের কর্মী মঙ্গলবার ঈদের ছুটি পাওয়ায় ঘাট এলাকায় যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে ঘাট এলাকায় যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৭টি ও আরিচা-নগরবাড়ী নৌরুটে ছয়টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২৩টি ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার হচ্ছে।
গতকাল ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা রাজাবাড়ীগামী রয়েল বাসের চালক আতিয়ার রহমান জানান, গাবতলী থেকে দুপুর ২টার দিকে বাস ছেড়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে আসেন। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সময় বেশি লেগেছে।
কুষ্টিয়াগামী সাভারের রাজিং গার্মেন্টের কর্মী সাদিয়া আক্তার, লিপি বেগম ও ময়না আক্তার জানান, গতকাল বেলা ১টার দিকে তাদের গার্মেন্ট ছুটি দিয়েছে। ঈদের ছুটি পেয়ে ঘাটে যানজটের আশঙ্কায় তারা আগেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম নাছির উদ্দিন বলেন, গতকাল দুপুরের পর থেকে ঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়েছে।