দেশে নানা ধরনের অস্থিতিশীলতার চেষ্টা চলছে: জোনায়েদ সাকি
Published: 24th, March 2025 GMT
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশে নানা ধরনের অস্থিতিশীলতার চেষ্টা চলছে। এই ধরনের অস্থিতিশীলতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যহত করতে পারে। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আমাদের কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।
রোববার সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি হলে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যাতে অব্যহত থাকে সেজন্য সব রাজনৈতিক পক্ষ, সব ব্যক্তিবর্গ এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, আমাদের সকলকে এমন ভূমিকা নেওয়া উচিত, যাতে করে এদেশের মানুষের স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করতে পারি। যারা অস্থিতিশীলতা তৈরি করছেন তারা যেন দায়িত্বশীল আচরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। শেখ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনাসহ যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, নানানভাবে ষড়যন্ত্র চলছে, তৌহিদী জনতার নামে মব আক্রমণ চলছে, বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওপর হামলা হচ্ছে, নারী এবং বিভিন্ন মাজারে হামলা চলছে, ধর্মীয় কিংবা সংখ্যালঘুরাও বাদ যাচ্ছে না। এই রকম কাজ বাংলাদেশকে ভারতীয় মিডিয়া ও ভারতের শাসকদল যেভাবে সারা দুনিয়ায় হাজির করতে চায়, সেই চেষ্টাকে সাহায্য করবে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্য নানাভাবে তৈরি করা হচ্ছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ৯০ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটেছিল। মানুষ গণতন্ত্রের আশা করলেও আমরা দেখেছি রাষ্ট্র ব্যবস্থার মৌলিক কোনো পরিবর্তন হয়নি। যথার্থভাবে লক্ষ্য ও কর্মসূচি হাজির না থাকায় ৯০ পরবর্তী সরকারগুলো একই রাষ্ট্র কাঠামোয় এসে মানুষের ভোটের অধিকার এবং জনগণের যে ক্ষমতা তা কেড়ে নিয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে নিজেদের দাবি করা তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা তুলে দেয়। সমস্ত রাষ্ট্র যন্ত্রকে পকেটে ভরে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদি কায়েম করেছে।
গণসংহতি আন্দোলন রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, গণসংহতি আন্দোলন রংপুর জেলা আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান, সদস্য সচিব মুফাখখারুল ইসলাম মুন, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা রফিকুল ইসলাম, আল মেহেদী প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান
গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত এখনও থেমে নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন, মানবিক সাম্যের উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বাণীতে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমাদের জাতীয় জীবনে নবীন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। হাজার বছরের সংগ্রামমুখর এ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
তারেক রহমান বলেন, জিয়াউর রহমানকে চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পর খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ধারা সূচিত হলেও, গণতন্ত্রের শত্রুদের কারণে স্থায়ী ও মজবুত গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি সম্ভব হয়নি। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আজও তাই দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করা। এটিই হচ্ছে স্বাধীনতার মূল চেতনা। জাতির সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বহুমত ও পথের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে হবে।