ঈদে মিরপুরের মঞ্চে ‘তুম্বা ও প্রতিবেশী’
Published: 24th, March 2025 GMT
এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও এক কুকরকে নিয়ে মঞ্চে আসছে `তুম্বা ও প্রতিবেশী'। নাটকটি ঈদের দিন, ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন মিরপুর–১১–এর ঋদ্ধি গ্যালারিতে মঞ্চস্থ হবে। বাঙলা থিয়েটার প্রযোজিত নাটকটি লিখেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন ও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ।
গতকাল রোববার প্রথম আলোকে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘মিরপুর এলাকায় তেমন কোনো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নেই। মিরপুরের দর্শকের কাছে পৌঁছাতে চাই। সেই ভাবনা থেকেই নাটকটি মিরপুরে প্রদর্শন করছি।’
`তুম্বা ও প্রতিবেশী' নাটকে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জড়িতদের গ্রেপ্তারে এনসিপির ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
নোয়াখালীর হাতিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সদরের একটি রিসোর্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, আবদুল হান্নান মাসউদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর ওপর হামলা করে বিএনপি নেতাকর্মী। তারা জিয়ার সৈনিক স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় মাসউদসহ আমাদের ৫৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, হামলার ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো দুঃখ প্রকাশ কিংবা নিন্দা জানায়নি। এতে আমরা মনে করছি, এ ঘটনাটি বিএনপি পরিকল্পিতভাবে করেছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখেছি– বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী এ হামলায় জড়িত। আমরা তাদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ, তৌহিদুর রহমান, মো. ইসমাইল ও হাসিদুর রহমান।
হাতিয়া থানার ওসি আজমল হুদা বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সন্ধ্যার পর উপজেলার জাহাজমারা বাজারে হান্নান মাসউদের পথসভায় হামলা করা হয়। প্রতিবাদে তাঁর নেতৃত্বে ওই বাজারে ওছখালী-জাহাজমারা সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে দ্বিতীয় দফায় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে হান্নান মাসউদসহ আরও অনেক নেতাকর্মী আহত হন। পরে রাত ৩টা পর্যন্ত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন হান্নান ও তাঁর দলীয় নেতাকর্মী।