ভুয়া সংগঠন ‘জিয়া প্রজন্ম’ ও ‘জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম পরিষদের’ তিন নেতার বিরুদ্ধে মামলা
Published: 24th, March 2025 GMT
জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া সংগঠন তৈরির অভিযোগে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দুই নেতা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তাঁরা এসব মামলা করেন। ভুয়া সংগঠন দুটি হলো ‘জিয়া প্রজন্ম’ ও ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম পরিষদ’।
রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলা দুটি করেন আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর ও নিহার হোসেন। ইলতুৎমিশ সওদাগর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ও নিহার হোসেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের সদস্যসচিব।
আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পল্টন ও শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইলতুৎমিশ সওদাগর।
ইলতুৎমিশ সওদাগর প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে জিয়া প্রজন্ম নামের ভুয়া সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সরোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা গোলাম সরোয়ার সরকার ও মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১০ মার্চ তারেক রহমানের নির্দেশে কথিত ‘জাতীয়তাবাদী চালক দল’-এর সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খন্দকার ও তাঁর ছেলে শাকিল খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। সিএমএম আদালতে বাদী হয়ে ওই মামলাটিও করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর। ‘অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র-জনতার হত্যাকারীরা’ লুকিয়ে আছে—এমন কথা রটিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে ৪ মার্চ ঢাকার গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর বাসা লুট করার ঘটনায় ওই মামলা হয়।
আরও পড়ুনতারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘জাতীয়তাবাদী চালক দলের’ জুয়েল ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা১০ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
পাবনার ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় নাজমুল হোসেন (২৯) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে পাবনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল হোসেন উপজেলা সদরের খলিশাদহ গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ ওরফে লেদুর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২ এপ্রিল ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নাজমুল হোসেনকে শনাক্ত করে ঘটনার চার দিন পর সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্টপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসার শাহীন বলেন, ‘‘এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এই রায়ে খুশি।’’
তবে, অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ রেন্টু। তিনি বলেন, ‘‘আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’’
ঢাকা/শাহীন/রাজীব