বাংলাদেশের নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে বার্লিনে মানববন্ধন
Published: 24th, March 2025 GMT
সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন জার্মানিতে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিরা। রোববার বার্লিন শহরের বান্ডেনবুর্গ তোরণের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশজুড়ে নারীদের ওপর সহিংসতা যেকোনো সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশজুড়ে নারীরা নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। দেশের অনেক স্থানে নারীরা চলাফেরা করতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।’
বার্লিন শহরের বান্ডেনবুর্গ তোরণের সামনে নারীদের নিরাপত্তার জন্য প্ল্যাকার্ড হাতে প্রবাসী বাঙালিরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মানববন্ধন শেষে আসামির বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসামি গ্রেপ্তার ও তার বিচার দাবি করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে আসামির বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া চকবাজার গ্রামে গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধরা। পরে সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার গিয়াস উদ্দিনের কলা বাগানে তারই চাচা আকবর আলীর ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলার শিকার হন আকবর আলী (৬৫)। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
এই ঘটনার জেরে গত শনিবার গিয়াস উদ্দিনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা হয় এবং ওই রাতে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান।
তবে সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে এলাকার ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত জনতার একটি অংশ গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে হামলা হামলার পর অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগের সময় ওই বাড়িতে নারী ও শিশুরা অবস্থান করছিলেন। তবে তারা নিরাপদে সরে যান বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর থানার ওসি বলেন, পুলিশ-সেনাবাহিনীর যৌথ অবস্থানে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।