ভুল হলে দেশবাসীকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর
Published: 23rd, March 2025 GMT
গণ–অভ্যুত্থানের ছাত্ররা এখন রাজনীতিতে আসছেন। সে জায়গায় কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকলে দেশবাসীকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ কথা বলেন। এনসিপির ‘শ্রমিক উইং’–এর (শ্রমিক শাখা) আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুনহাসনাত আবদুল্লাহর স্ট্যাটাসকে শিষ্টাচারবর্জিত বললেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী২২ মার্চ ২০২৫সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী বলেন, ‘একটি বিশাল বড় অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। আন্দোলন এবং পলিটিক্যাল জায়গা—দুটি আলাদা জায়গা। সে জায়গা থেকে এই গণ–অভ্যুত্থানের ছাত্ররা নিজেদের পলিটিক্যাল জায়গাটায় ট্রান্সফরমেশন করতেছে। সে জায়গাতে কিছু ক্ষেত্রে যদি ভুলত্রুটি হয়ে থাকে, দেশবাসীকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’ এ সময় এনসিপির নেতাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব বা বোঝাপড়ার জায়গায় ঘাটতি নেই বলে দাবি করেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘তারা (হাসনাত ও সারজিস) যে মিটিংটা করেছে, সেটা আমাদেরকে মিটিং করার পর অবগত করেছে।’ তাঁরা এখনো আলোচনার সুযোগও পাননি যে কী কথা হয়েছে। সেটা তাঁরা ফেসবুক স্ট্যাটাসের মধ্যে দেখেছেন। আজ তাঁদের একটি সভা আছে। একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে সবার মধ্যে যতগুলো কনফিউশন (দ্বিধাদ্বন্দ্ব) রয়েছে, সেগুলো স্পষ্ট করা হবে।
এনসিপি ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে বলে মনে করেন না নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, এনসিপির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা রয়েছে। সে কারণে মানুষ তাদের পরামর্শ দিয়ে থাকে।
এ সময় এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারী মাজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সমন্বয়কারী আলেয়া খাতুন বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুনসেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাত ও সারজিসের ফেসবুক পোস্টে দলে অস্বস্তি-অসন্তোষ৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন স র দ দ ন প টওয় র সমন বয়ক র এনস প র
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদ ও রামনবমী উদ্যাপন নিয়ে সতর্ক পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বড় মিছিল করার ঘোষণা বিজেপির
প্রতিবারের মতো এবারও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মার্চের শেষ এবং এপ্রিল মাসের গোড়ায় ঈদ এবং রামনবমী উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছে পুলিশ। মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের গোড়ায় রামনবমী পর্যন্ত বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ধর্মীয় শাখা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৬ এপ্রিল রামনবমীর দিন এবং তার আগে শোভাযাত্রা ও মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভায় বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, নানা প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁরা রামনবমী পালন করবেন।
আগামী বছর এই সময় পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মাঠপর্যায়ে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের একটা বড় সুযোগ রামের জন্মদিন বা রামনবমী উদ্যাপন। প্রতিবারই এই দিনটা আসে ঈদের পরেই এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রামনবমীর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় রমজান চলাকালে। ফলে সব সময়ই গন্ডগোলের একটা আশঙ্কা থাকে। এবারও আছে।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি প্রশাসনের মাথায় থাকে। নতুন করে কিছু করার বা বলার নেই। প্রতিবারই যে নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকে, এবারও তা থাকবে। প্রশাসনের তরফে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ ও রামনবমী উদ্যাপনের আবেদন জানানো হয়, এবারও হবে। নির্বাচন দেরি আছে। ফলে এর সঙ্গে বিষয়টিকে জুড়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে না।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে একাধিক মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে বেরোবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, তাঁরা তাঁদের মতো মিছিল করবেন এবং কোনো রকম বাধা বরদাশত করা হবে না।
গত রোববার এক অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, রামনবমী মিছিল নিয়ে কেউ বাধা দিতে এলে শান্তিপূর্ণভাবে তার মোকাবিলা এবং প্রতিরোধ করা হবে। যেকোনো ধরনের বাধার মোকাবিলা করতে হবে। এমনকি প্রশাসনও বাধা দিলে তার বিরোধিতা করতে হবে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত সহ্য করা হবে না।
এর আগে শুভেন্দু অধিকারীও বলেছিলেন, রাজ্যের রামনবমী উদ্যাপনে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যা মেনে নেওয়া হবে না। রামনবমী উপলক্ষে সারা রাজ্যে ১ কোটি মানুষকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
রামনবমীতে নানা ধরনের অস্ত্র হাতে মিছিল করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন অঞ্চলে মিউজিক বক্স বাজিয়ে গান চালানো, স্লোগান বা ছোটখাটো বাদানুবাদ থেকে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর থেকে মার্চের শেষ ও এপ্রিলের গোড়ায় মাঝারি ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, ‘সবকিছু মাথায় রেখে এই সময়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা অনেকটাই জোরদার করা হয়। তবে আগামী বছরে নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ, নির্বাচনের অনেক দেরি আছে। নির্বাচনের সঙ্গে এই সময়ের উৎসব-অনুষ্ঠানকে মিলিয়ে দেখা হয় না।’