বগুড়ার কাহালু উপজেলার কালাই ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফুর শাহর (৪০) বাড়ি থেকে ১৩টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার কালাই ইউনিয়নের পীলকুঞ্জ ফকিরপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করে নওগাঁ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও আত্রাই থানা–পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া গরুগুলোর মধ্যে পাঁচটি গরু আত্রাই উপজেলার নৈদিঘী গ্রামের মোরশেদ আলী শেখের বাড়ি থেকে চুরি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। নওগাঁ জেলা পুলিশ ও কাহালু থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৪ মার্চ রাতে আত্রাই উপজেলার নৈদিঘী গ্রামের মোরশেদ আলী শেখের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে আটটি গরু চুরি হয়। এ ঘটনায় আত্রাই থানায় গরু চুরির মামলা হয়।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়, বিএনপির নেতা আবদুল গফুর শাহ রাজনীতির আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে আন্তজেলা গরু চুরি চক্রের সক্রিয় সদস্য।

নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) গাজিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আত্রাই থানায় গরু চুরির ওই মামলায় শনিবার ছোটন প্রামাণিক (২৭ ) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আত্রাই থানা-পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছোটন গরু চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিএনপির নেতা আবদুল গফুর শাহর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। পরে তাঁর বাড়ি থেকে ১৩টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে। আত্রাইয়ের গরুর মালিক পাঁচটি গরু তাঁর বলে শনাক্ত করেছেন। উদ্ধার হওয়া গরুগুলো নওগাঁ জেলা পুলিশের হেফাজতে আছে। এ ঘটনায় জড়িত আবদুল গফুর শাহকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অভিযুক্ত বিএনপির নেতা আবদুল গফুর শাহ পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কাহালু উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আ খ ম তোফাজ্জল হোসেন অভিযুক্ত আবদুল গফুর শাহর দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগে কালাই ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফুর শাহকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার কাহালু উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো.

শাহ জালাল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

গণহত্যা দিবস উপলক্ষে তিতুমীর কলেজে আলোচনা সভা

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সরকারি তিতুমীর কলেজে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ছদরুদ্দীন আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক এমএম আতিকুজ্জামান।

বক্তারা বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসেই নয়, বিশ্ব ইতিহাসেও এক নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, এ দিনটিতে ঢাকা শহরসহ সারা দেশে নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হয়, যা ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে।

ঢাকা/হাফছা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ