ঈদের কেনাকাটা করতে যাওয়া কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
Published: 23rd, March 2025 GMT
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে এক কিশোরী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করা হয়। পরদিন রোববার তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই কিশোরী। সেই মামলার প্রধান আসামি রফিকুলকে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– মো.
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে ঈদের কেনাকাটা করতে শশীভূষণ বাজারে যায় ওই কিশোরী। কেনাকাটার এক পর্যায়ে তার মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেলে ব্যবসায়ী সুমনের দোকানে যায়। এ সময় সুমন ওই কিশোরীকে তার দোকানের পেছনে শয়নকক্ষে নিয়ে ফোন চার্জ দিতে বলেন। মেয়েটি সেখানে বসেই তার ফোন চার্জ দিচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর সেখানে গিয়ে রফিকুল তার সঙ্গী স্বাধীনকে পাহারায় রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে রফিকুলকে আটক করে। এ সময় সুমন ও স্বাধীন পলিয়ে যায়।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল জানান, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পাবনায় নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় ঘরে ঢুকে বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৩ মার্চ রাতের এ ঘটনায় শনিবার বাচ্চু ওরফে বাক্কু নামে একজনের বিরুদ্ধে আটঘরিয়া থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই।
আটঘরিয়া থানার ওসি শফিকুজ্জামান সরকার জানান, ওই নারীর শরীরের স্পর্শকতার স্থানে স্পর্শ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক
এছাড়াও পড়ুন:
এবার সতীর্থ আলবাকে কামড়ে দিলেন সুয়ারেজ
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে লিওনেল মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন লুইস সুয়ারেজ। ওই দলে আছেন তাদের বার্সার সাবেক সতীর্থ জর্ডি আলবা ও সার্জিও বুসকেটস।
এর মধ্যে লস এঞ্জেলেসের বিপক্ষে গত ১০ এপ্রিল কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে খেলতে নামে ইন্টার মায়ামি। ম্যাচে ছিলেন সাবেক বার্সা ত্রয়ী মেসি-সুয়ারেজ ও আলবা। ম্যাচটি ইন্টার ৩-১ গোলে জিতেছে।
ওই ম্যাচের ৮৯ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যাতে দেখা গেছে সতীর্থ জর্ডি আলবার আঙুলে কামড়ে দিয়েছেন সুয়ারেজ।
ভিডিওতে দেখা যায় জটলার মধ্যে সতীর্থ আলবার কাঁধে হাত দিয়ে জোরে চাপ দেন সুয়ারেজ। এতে ব্যথা পেয়ে আলাবা তার হাত উঁচু করলে আঙুলে কামড়ে দেন সাবেক বার্সা ও উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। ধারণা করা হচ্ছে, সুয়ারেজ মনে করেছিলেন আঙুলটা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের।
ওই সময় আলবাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন সাবেক চেলসি ও এসি মিলানের ফ্রান্স স্ট্রাইকার অলিভার জিরু। এটি সুয়ারেজের ফুটবল ক্যারিয়ারে মাঠে চতুর্থবার কামড়ের ঘটনা।
তিনি ২০১৪ বিশ্বকাপে কামড় কাণ্ডে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছিলেন। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে তিনি ইতালির ডিফেন্ডার কিয়েল্লিনির কাঁধে কামড়ে দিয়েছিলেন। দাঁতের দাগ পর্যন্ত বসে গিয়েছিল ইতালির সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের কাঁধে।
এর আগে ২০১০ সালে আয়াক্সে খেলাকালীন এই স্ট্রাইকার উসমান বাক্কালকে কামড়ে দিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় তিনি সাত ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। এরপর ২০১৩ সালে লিভারপুলে খেলার সময় চেলসির ব্রানিসলাভ ইভানোভিককে কামড়ে ১০ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। কিয়েল্লিনিকে কামড়ের ঘটনায় তিনি ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এবার সতীর্থকে কামড় দেওয়ায় তিনি নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছেন।