রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অনেক প্রত্যাশা জনগণের: তারেক রহমান
Published: 23rd, March 2025 GMT
সংস্কারের পাশাপাশি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে রাজনৈতিক দলগুলোকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে জনগণ। সেগুলো কীভাবে পূরণ করা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় এবং প্রথম যেটি ধ্বংস করেছে, তা হচ্ছে নির্বাচনব্যবস্থা। ধ্বংস হয়ে যাওয়া সব প্রতিষ্ঠানকে মেরামত করতে হবে।
আজ রোববার জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘এখন সংস্কার নিয়ে কথা হচ্ছে, কার মেয়াদ কত দিন হবে, সংসদ কত কক্ষবিশিষ্ট হবে, এসব নিয়ে কথা হচ্ছে, দল হিসেবে বাংলাদেশে সবার আগে সংস্কারের কথা বলেছিল বিএনপি। আমাদের সংস্কার দরকার, পাশাপাশি জনগণের অধিকারের বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলা দরকার।’
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে অভিযোগ করে তারেক রহমান বলেন, সেটি একদলীয় বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে হয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যমে হয়েছে, বিগত ১৬ বছরের কথা আর না-ই বলি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জনগণের সমর্থন ছিল বলেই পলাতক স্বৈরাচার, মাফিয়া সরকারকে বিতাড়ন করা সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সবাই বিএনপিকে ছোট করতে চাইছে, বিএনপির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। তবে বিএনপির নেতৃত্বে কোনো সংকট নেই। আওয়ামী লীগকে ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা আওয়ামী লীগের প্রাতিষ্ঠানিক বিচার চাই।’ কোনোভাবেই যেন এ দেশে শান্তিশৃঙ্খলা না আসে, বিদেশি কিছু এজেন্ট সেই অপচেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়কারী ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মোহাম্মদ কামাল হোসেনসহ জোটের অনেকে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ব এনপ র জনগণ র
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের গ্রিনল্যান্ড সফর ঘিরে বিতর্ক
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের আসন্ন গ্রিনল্যান্ড সফরকে ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘অত্যন্ত আগ্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ নেতারা। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের স্ত্রী ঊষা ভ্যান্সের নেতৃত্বে এ সফরে থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইট। তারা গ্রিনল্যান্ডে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন এবং ঐতিহ্যবাহী একটি কুকুরের স্লেজ দৌড় প্রতিযোগিতা দেখবেন।
গ্রিনল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে তাদের এ সফরকে ‘উস্কানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তাঁর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনো বৈঠকে অংশ নেবে না। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু ভাবতাম, কিন্তু সেই সময় শেষ’। গ্রিনল্যান্ডের গত ১১ মার্চের নির্বাচনে বিজয়ী দল ডেমোক্র্যাটসের নেতা জেনস ফ্রেডেরিক নিলসেন প্রতিনিধি দলের এ সফরকে ‘গ্রিনল্যান্ডের জনগণের প্রতি অসম্মান’ বলে অভিহিত করেছেন।
সফরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের উপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী। এগেডে বলেন, ‘ওয়াল্টজের উপস্থিতি ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখলের মিশনকে উস্কে দেবে এবং আমাদের ওপর মার্কিন চাপ আরও বাড়বে’।
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রকাশ্যে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা চান ট্রাম্প। এমনকি ডেনমার্কের অধীনে থাকা অঞ্চলটির দখল নিতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। গ্রিনল্যান্ডের অমূল্য খনিজসম্পদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোরদারে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কীকরণ ব্যবস্থার জন্য অঞ্চলটির গুরুত্ব অপরিহার্য।
বিভিন্ন প্রলোভনের পরও গ্রিনল্যান্ডের অধিকাংশ জনগণ ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল পরিকল্পনার বিপক্ষে। গত জানুয়ারির এক জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার ৮৫% মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চান না এবং ৫০% মনে করে ট্রাম্পের এই আগ্রহ দেখানো তাদের জন্য হুমকি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফরের বিষয়ে অনেকটাই স্পষ্ট ডেনমার্কের অবস্থান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বলেছেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চাই, তবে সার্বভৌমত্বের মূলনীতি মেনে’।
হোয়াইট হাউস এ সফরকে ‘সাংস্কৃতিক’ সফর বলে দাবি করলেও গ্রিনল্যান্ডের নেতারা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দখল পরিকল্পনার অংশ বলেই মনে করছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের।