বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শাহজালাল হলে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ইফতার এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) ঈদের ছুটিতে নানা জটিলতায় এখনো বাসায় যেতে না পারা শিক্ষার্থী এবং হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে ওই হলের প্রশাসন। এতে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ বদিউজ্জামান খান, আবাসিক শিক্ষক মো. আরিফ খান পাঠান, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান প্রমুখ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ও সুশৃঙ্খল আবাসিক হল হিসেবে পরিচিত শাহজালাল হলে বরাবরই পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চর্চা হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়, যেখানে সিনিয়র, জুনিয়র কর্মকর্তা, কর্মচারী একত্র হয়ে ইফতার করেন।

হলের খেলার মাঠের খোলা আকাশের নিচে আয়োজিত এই ইফতার অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা একত্রে বসে ইফতার গ্রহণ করেন, যা তাদের ভ্রাতৃত্ববোধ আরও দৃঢ় করেছে। ইফতারের আগে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়।

ইফতারে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করে এবং হলে একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে। সিনিয়র-জুনিয়র ও প্রশাসনের মধ্যকার সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এ বিষয়ে হলের সাবেক শিক্ষার্থী ও বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান বলেন, “শাহজালাল হলে আজ আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি এ পবিত্র রমজান মাসের বরকতময় সময়ে ইফতারের জন্য। ইফতার কেবল খাবার গ্রহণের একটি সময় নয়, এটি হলো সংযম, ধৈর্য, সহানুভূতি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক বিশেষ মুহূর্ত। ইফতার আমাদের শেখায় ধনী-গরিব নির্বিশেষে একসঙ্গে বসে খাবার ভাগ করে নেওয়ার। এ মিলনমেলা আমাদের মধ্যে ভালোবাসা, সহানুভূতি আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে।”

হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদিউজ্জামান খান বলেন, “মানবজাতির জন্য রমজান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ মাস। এ পবিত্র মাসে হলের সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির উদ্দেশ্যে এ ইফতার আয়োজন করা হয়, যা হলের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি বলেন, “এই ইফতারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় চর্চা করছে এবং নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময় করছে, যা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন চলমান রাখা হবে।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

একান্ত সাক্ষাৎকারে সন্‌জীদা খাতুন যা বলেছিলেন

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ