বগুড়ার শেরপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আকবর আলী (৫৫) নামের এক গ্রাম্য কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধড়মোকাম উত্তরপাড়া গ্রামের চারমাথা মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ধড়মোকাম দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। এ হত্যায় উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সহসভাপতি আব্দুল লতিফের (২৮) নাম এসেছে। ঘটনার পর থেকেই তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন। 

স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবদুল লতিফের সঙ্গে আকবর আলীকে একটি চায়ের দোকানে দেখা যায়। এর পর রাত ১১টার দিকে ধড়মোকাম সড়কের চারমাথায় দু’জনকে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন গ্রামের কয়েকজন। তারা এগিয়ে গেলে লতিফ সটকে পড়েন। ওই সময় আকবর রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কে পড়ে যান। এর পর পরিবারের লোকজন গিয়ে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে  চিকিৎসক আকবরকে মৃত ঘোষণা করেন।

আকবরের ছেলে শাহজামাল মিয়া বলেন, লতিফের ফোন পেয়ে রাতে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিছু সময় পর একজন প্রতিবেশী এসে জানান, বাবা আহত হয়ে সড়কের ওপর পড়ে আছেন। সেখানে গিয়ে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তিনি কিছু একটা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বলতে পারেননি। 

শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রামদা, ঘাতকের মোবাইল ফোন ও চাদর জব্দ করা হয়েছে। হত্যার কারণ উদ্ঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা, অভিযোগ শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে

বগুড়ার শেরপুরে আকবর আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধড়মোকাম উত্তরপাড়া গ্রামের চারমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আকবর আলীর বাড়ি ধড়মোকাম দক্ষিণপাড়া গ্রামে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ হত্যার সঙ্গে আবদুল লতিফ (২৮) নামের এক যুবক জড়িত। তাঁর বাড়ি ধড়মোকাম উত্তরপাড়া গ্রামে। তিনি শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সহসভাপতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আবদুল লতিফের সঙ্গে আকবর আলীকে একটি চায়ের দোকানে দেখা যায়। রাত ১১টার দিকে ধড়মোকাম সড়কের চারমাথায় দুজনকে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন এলাকার কিছু লোক। তাঁরা এগিয়ে এলে লতিফ পালিয়ে যান। এ সময় আকবর আলী রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কের ওপরে পড়ে ছিলেন। খরব পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক আকবর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা, চাদর ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির ছেলে মো. শাহজামাল (২৩) বলেন, লতিফের ফোন পেয়ে তাঁর বাবা গতকাল রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। একজন প্রতিবেশী তাঁর বাবার আহত হয়ে সড়কের পড়ে থাকার খরব দেন। সেখানে গিয়ে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি কিছু একটা বলতে চেয়েছিলেন; কিন্তু বলতে পারেননি।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশের হেফজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে একটি দা, চাদর ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এই হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মহাসড়ক বন্ধ করে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ঝাড়ুমিছিল, যানজট
  • কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
  • বিড়াল হত্যাকারী ধরতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা 
  • বগুড়ায় কবিরাজকে ‘কুপিয়ে’ হত্যা
  • শেরপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা, অভিযোগ শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে