আগামী ১০ বছর জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে : নূর
Published: 23rd, March 2025 GMT
কমপক্ষে আগামী ১০ বছর জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর। একইসঙ্গে তিনি সেনাবাহিনী নিয়ে বিরূপ মন্তব্য না করতে বলেছেন।
রবিবার (২৩ মার্চ) বিকালে চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের ইফতার ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
নূর বলেন, ‘‘আমরা চাই, একটি সুন্দর নির্বাচনের রোডম্যাপ। যেখানে সবদল অংশ নিবে। তবে আওয়ামী লীগ নয়। কেননা এ দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্তত ৫০টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। কাজেই এই একটি দলকে নির্বাচনে সুযোগ না দিলেও কিছু যাবে-আসবে না।’’
আরো পড়ুন:
শীর্ষ বিনিয়োগ সম্মেলনে থাকবে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির বুথ
পাবনায় আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের চাল বিতরণ
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ বলেন, ‘‘জুলাই বিপ্লবে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তাই তাদের কেউ বিতর্কিত করার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করতে হবে। একইসঙ্গে প্রশাসন বা বিভিন্ন সংস্থায় যারা রয়েছে, তাদের ব্যক্তি বিশেষ কোনো কাজ করলে তার সমালোচনা হতে পারে; তবে ঢালাওভাবে পুরো বাহিনীকে বদনাম করা যাবে না।’’
চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কাজী রাসেলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান জাকির হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিমুল্লা সেলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে সবাই জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত শেষে ইফতারে অংশ নেয়।
সন্ধ্যায় ভিপি নূর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের আগস্টে ক্ষতিগ্রস্ত মুনিরা ভবন পরিদর্শন করেন এবং রাতে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে দলটির কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঢাকা/জয়/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনা আলমের মুক্তিসহ বিশেষ ক্ষমতা আইন বিলোপের দাবি
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক মেঘনা আলমের মুক্তির দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একইসঙ্গে এই আইন বিলোপেরও দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। কমিটির পক্ষে এই বিবৃতি পাঠান সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বিবৃতিতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের স্বৈরাচারি আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ একটি ফ্যাসিবাদী আইনের ধারা, যার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আগে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেছেন। অথচ এই আইন ব্যবহার করেই সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের অন্যায় আচরণ ও প্রতারণা ঢাকতে একজন নারীকে বাড়িতে হামলা করে তুলে নিয়ে তাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে বহু গুম ও স্বেচ্ছাচারি আটকের ভিত্তি তৈরি করে নাগরিকের মানবাধিকারকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। জুলাইয়ে শিক্ষার্থী শ্রমিক জনতার বিপুল রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যখন জনগণের আকাঙ্খা হয়ে উঠেছে, তখন এ রকম আইনের ব্যবহার পুনরায় ফ্যাসিবাদী তৎপরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে।’
মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের আনা ‘মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনীতিক সম্পর্ক নষ্ট করার’ অভিযোগকে বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্র যদি একজন কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বিদ্বেষের জের ধরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে নাগরিকের অধিকার হরণ করে, তাহলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। একইসঙ্গে কূটনৈতিক প্রশ্নে দ্ব্যর্থহীন নতজানুতা প্রকাশ পায়।
বিবৃতিতে অবিলম্বে মেঘনা আলমের মুক্তি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৭৪) বিলোপের দাবি জানায় গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়।