কমপক্ষে আগামী ১০ বছর জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর। একইসঙ্গে তিনি সেনাবাহিনী নিয়ে বিরূপ মন্তব্য না করতে বলেছেন।

রবিবার (২৩ মার্চ) বিকালে চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের ইফতার ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

নূর বলেন, ‘‘আমরা চাই, একটি সুন্দর নির্বাচনের রোডম্যাপ। যেখানে সবদল অংশ নিবে। তবে আওয়ামী লীগ নয়। কেননা এ দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্তত ৫০টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। কাজেই এই একটি দলকে নির্বাচনে সুযোগ না দিলেও কিছু যাবে-আসবে না।’’

আরো পড়ুন:

শীর্ষ বিনিয়োগ সম্মেলনে থাকবে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির বুথ

পাবনায় আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের চাল বিতরণ

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ বলেন, ‘‘জুলাই বিপ্লবে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তাই তাদের কেউ বিতর্কিত করার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করতে হবে। একইসঙ্গে প্রশাসন বা বিভিন্ন সংস্থায় যারা রয়েছে, তাদের ব্যক্তি বিশেষ কোনো কাজ করলে তার সমালোচনা হতে পারে;  তবে ঢালাওভাবে পুরো বাহিনীকে বদনাম করা যাবে না।’’ 

চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কাজী রাসেলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান জাকির হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিমুল্লা সেলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে সবাই জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত শেষে ইফতারে অংশ নেয়।

সন্ধ্যায় ভিপি নূর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের আগস্টে ক্ষতিগ্রস্ত মুনিরা ভবন পরিদর্শন করেন এবং রাতে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে দলটির কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
 

ঢাকা/জয়/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র চলছে: রাশেদ খান

সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, যারা সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো ও বিতর্কিত করার চেষ্টা যারা করছে, তারা মূলত আরেকটি এক-এগারো ফিরিয়ে আনতে চায়। তারা সেনাবাহিনীকে উস্কানি দিয়ে আরেকটি ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিন তৈরি করতে চায়। 

আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে রাশেদ খান এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণকে বলবো এই ফাঁদে আপনারা পা দেবন না। এক-এগারো এলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এদেশের রাজনৈতিক দল ও জনগণ। সুতরাং কোনোভাবেই আরেকটি এক-এগারো বাংলাদেশে আনা যাবে না। 

রাশেদ বলেন, সেনাবাহিনী ভূমিকা না রাখলে শেখ হাসিনার পতন ঘটানো সম্ভব হতো না, কোনো গণঅভ্যুত্থানও হতো না। যখনই সেনাবাহিনী বন্দুকের নল আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিস্ট পুলিশের দিকে তাক করেছে, তখনই হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা সরকারের নেই’- প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্য প্রত্যাহার ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ড. ইউনূস তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে মনে করবো- তিনিও আওয়ামী লীগের পথেই হাঁটছেন। 

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে পারেননি। চোরগুলো (আওয়ামী লীগ নেতারা) যখন পালিয়ে গেছে, তখনই তারা অপারেশন ডেভিল হান্ট ঘোষণা করেছে। একটা ডেভিলও ধরা পড়েনি। 
ডেভিল সাবের ও মান্নানকে দুজন উপদেষ্টা জামিন করিয়েছেন। তারা হলেন, উপদেষ্টা আদিলুর রহমান শুভ্র ও রেজওয়ানা চৌধুরী। এখন শোনা যাচ্ছে- এই সাবের নাকি ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগের সভাপতি হবেন। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যারা করেছে, তাদের আবার কিসের ক্লিন ইমেজ? আমরা তারপরও বলেছি, যারা সাধারণ ও নিরীহ ছিল, যারা সরাসরি ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালইনি, তাদের ওপর আমরা জুলুম করবো না। গণহত্যার বিচারের পর আমরা তাদের ছাড় দেবো, মাফ করবো। কিন্তু গণহত্যার বিচার শেষ হওয়ার আগে যতই ক্লিন ইমেজ হোক না কেন, বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের নামে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করতে আসবে, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। প্রয়োজনে যমুনা (প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন) ঘেরাও করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য করা হবে।

গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিলুজ্জামান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় ভিপি নুরসহ ৬ নেতার বিরুদ্ধে ২ মামলা
  • ‘সেনাবাহিনী ভূমিকা না রাখলে গণঅভ্যুত্থান সফল হত না’
  • নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের ৬ নেতার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাল্টা দুই মামলা
  • নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের ৫ নেতার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাল্টা দুই মামলা
  • নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের ৫ নেতার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পাল্টা দুই মামলা
  • সেনাবাহিনী ভূমিকা না রাখলে অভ্যুত্থান সফল হতো না: রাশেদ খাঁন
  • সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্য প্রণোদিত: নুরুল হক
  • সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র চলছে: রাশেদ খান