জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে কেবল আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী নেতারা নন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তবে এখন পর্যন্ত তার কোনো উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আজ রোববার সন্ধ্যায় রংপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর ও জেলা জনসংহতি আন্দোলন আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সাত মাস পেরিয়ে গেছে। এখনো বিচারপ্রক্রিয়া দৃশ্যমান নয়। বিচারপ্রক্রিয়ার দৃশ্যমান মানুষ দেখতে চায়। আমরা পরিষ্কারভাবে দাবি তুলেছিলাম, কেবল আওয়ামী লীগ নেতারা নন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের এই হত্যাকাণ্ডের দায় কতটা, সেটাও বিবেচনায় আনতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত তার উদ্যোগ দেখিনি। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই বিচার করতে হবে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করতে হবে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতারা জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সরাসরি হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই শেখ হাসিনাসহ যাঁরাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের রাজনীতিক সহযোগীরাসহ প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এটা বাংলাদেশের মানুষের দাবি।

দেশে নানা ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আজ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীসহ অনেককেই নানাভাবে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে। এ ধরনের অস্থিতিশীলতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। সেই কারণে আমরা সব রাজনীতির পক্ষ ও সব ব্যক্তিবর্গ অন্তর্বর্তী সরকারের আছে আহ্বান জানাই, যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। অস্থিতিশীলতা কোনোভাবেই আমাদের মঙ্গল আনবে না।’ যারা অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে তাদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানান তিনি।

অভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছেন উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষ আশা করেছে জুলাই শহীদেরা জাতীয় বীরের মর্যাদা পাবেন। কিছু কিছু পদক্ষেপ আমরা দেখেছি। কিন্তু মানুষের যে কাঙ্ক্ষিত আশা, শহীদের মর্যাদা তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।

গণসংহতি আন্দোলন রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক আবদুর জব্বারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান, জেএসডির জেলা সভাপতি আমিন উদ্দিন, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের ন্যায়পাল রায়হান কবীর, ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ, গণ অধিকার পরিষদের রংপুর জেলা কমিটির সাবেক সদস্যসচিব আশিকুর রহমান প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাওসার জামান। সভা সঞ্চালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় পরিষদ সদস্য প্রত্যয়ী মিজান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কম ট র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিহাসের পাতায় ২৫ মার্চ ১৯৭১

কালরাত ছিল অকাল মৃত্যুর রাত; মুক্তিকামী বাঙালির ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা করে ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলে স্বাধীনতার স্বপ্ন সমাধিস্থ করার অপচেষ্টার রজনী। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠি ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর গুলি চালিয়েছিল। আর একাত্তরের ২৫ মার্চ তারা সংঘটিত করেছিল গণহত্যার সূচনা। আজকের তরুণ প্রজন্ম কল্পনাও করতে পারবে না যে, আচমকা এক রাতে পাকিস্তানি সশস্ত্র সৈনিকেরা কীভাবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বাঙালিদের ওপর চড়াও হয়ে নির্বিচার গণহত্যায় মেতেছিল। 

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে সাত হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিন হাজার। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হলো। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হলো। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুনতাড়িত শ্মশান ভূমি।’

১৯৭১-এর ২৫ মার্চে লে. জেনারেল টিক্কা খান যুগপৎ গভর্নর ও সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন। ১০ এপ্রিল তার কাছ থেকে সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব বুঝে নেন লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে নিয়াজি বলেন:

আরো পড়ুন:

ঢাকা বাদে ৬৩ জেলায় স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ: প্রেস উইং

ইবিতে ‘স্বাধীনতাবিরোধীর’ নামে হল, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

‘একাত্তর সালের ২৫/২৬ মার্চ জেনারেল টিক্কা আঘাত হানেন। সুনসান রাত বিলাপ, কান্না আর আগুনে পুড়ল। জেনারেল টিক্কা তার শক্তির সবটুকুই ব্যবহার করলেন। বিপথগামী ও বিভ্রান্ত দেশবাসীকে সামাল না দিয়ে তিনি যেন শত্রুকে আক্রমণ করলেন। সামরিক অভিযানটি ছিল নিষ্ঠুর, যা বোখারা ও বাগদাদে চেঙ্গিস খান ও হালাকু খানের অথবা জালিয়ানওয়ালাবাগে জেনারেল ডায়ারের আক্রমণের চেয়েও নৃশংস।’

বাঙালি সৈন্যদের নিরস্ত্র ও বাঙালি নেতাদের গ্রেপ্তারের দায়িত্ব ছিল তার। এটা না করে তিনি পোড়ামাটি নীতির আশ্রয় নেন। ফরমান আলী ডায়েরিতে লিখেছেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের মাটি লাল করে দিতে হবে।’ সৈন্যদের তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মাটি চাই, মানুষ চাই না।’

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সব ব্যবস্থা চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ছেড়ে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে।

কালের পরিক্রায় আজ ফিরে এসেছে সেই ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত নেমে এসেছিল। ওইদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’র নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকায় নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মার্চের শুরু থেকেই তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রামে বাণিজ্যিক জাহাজযোগে এবং করাচি থেকে ঢাকায় বিমানযোগে বিপুল সংখ্যক সৈন্য ঢাকায় আসতে শুরু করে। এ ঘটনায় এটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পাকিস্তানের সামরিকজান্তা মার্চের একেবারে শুরু থেকেই বাঙালিদের দমন পীড়নের জন্য চূড়ান্ত পন্থারই পরিকল্পনা আঁটছিল। 

অপারেশন সার্চলাইট অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করেন পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়।

অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ শিরোনামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো ‘অপারেশন সার্চলাইট’ সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

‘অপারেশন সার্চলাইট’ কীভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’ পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তার কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন ‘অপারেশন সার্চলাইট’।

এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও আছে। পূর্ব পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।’

অর্ধশতাব্দীকাল আগের ইতিহাসের পাতায় ফিরে গেলে এখনও মানুষ শিহরিত হয়। সেদিন, অর্থাৎ একাত্তরের ২৫ মার্চে ঢাকার ইপিআর সদরদপ্তর পিলখানায় থাকা ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার কয়েকটি স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাংক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাংক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।
পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের নয় শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। সেখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

দীর্ঘদিন ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের দাবি ছিল সর্বস্তরের মানুষের। জাতীয় সংসদে প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে দাবি পূরণ করা হয়েছে। দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মান জানাতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে। 

আন্তর্জাতিকভাবে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করেছে বিগত সরকার। ইতোমধ্যে এই অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জেনোসাইড ওয়াচ এবং লেমকিন ইন্সটিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন। এছাড়া সংস্থা দুটি জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যাকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। এই নৃশংস গণহত্যাকে আরও স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলারস (আইএজিএস)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ২৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

২৫ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে সারাদেশে এক মিনিট ব্ল্যাক আউট বা নিষ্প্রদীপ মহড়া পালিত হয়ে থাকে শহীদদের স্মরণে। দিবসটি পালনের লক্ষ্যে আজও সারা দেশে রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট (১ মিনিট) প্রতীকী ব্ল্যাক আউট (কেপিআই বা জরুরি স্থাপনা ব্যতীত) পালন করা হবে। এক মিনিট অন্ধকারে থাকার পর আমরা আলো জ্বালিয়ে স্বস্তিতে ফিরব। কিন্তু এই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যদি আমরা মুহূর্তের জন্য হলেও একাত্তরের সেই কালরাতকে, সে রাতের সুতীব্র ভয়াবহতাকে এবং মৃত্যুসম আঘাত পেয়েও বাঙালির ঘুরে দাঁড়ানো এবং হানাদার শত্রুকে পরাস্ত করে মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার গৌরব যদি অনুভব না করতে করি, তাহলে আমাদের বীর পূর্বপুরুষদের প্রতি আমরা যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে ব্যর্থ হবো। তাই শুধু আনুষ্ঠানিকতার সুসংহত কর্মসূচির মধ্যে নয়, আমাদের দায়িত্ব হবে একাত্তরের অন্ধকার হটিয়ে আলোর স্বদেশ প্রতিষ্ঠার সংকল্পকে অনুভব ও অন্তরে ধারণ করা। 

তারা//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইতিহাসের পাতায় ২৫ মার্চ ১৯৭১
  • আজ গণহত্যার বিভীষিকাময় কালরাত
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবস পালনের নির্দেশ
  • গণহত্যা ও নৃশংসতায় ভয়াবহ কালরাত
  • পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞে জাতি আজও শোকাহত: প্রধান উপদেষ্টা
  • গণহত্যা দিবসে ঢাবিতে ব্লাক-আউট কর্মসূচি
  • অধ্যাপক জিনাত হুদাকে গ্রেপ্তা‌র করার দাবি ঢা‌কা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দ‌লের
  • ট্রাম্প যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য হুমকি হয়ে উঠছেন
  • ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ