জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘শ্রমিক উইং’ (শ্রমিক শাখা) আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে মাজহারুল ইসলাম ফকিরকে। পাশাপাশি উইংয়ের কো-অর্ডিনেটর কমিটির তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের যুগ্ম সমন্বয়কারী আলেয়া খাতুন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও দেশের শ্রমজীবী মানুষেরা এখনো ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত। এই বাস্তবতায় শ্রমিকদের অধিকার আদায় ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমরা একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করছি।’

শ্রমিক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারী মাজহারুল ইসলাম ফকির সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক উইংয়ের কো-অর্ডিনেটর কমিটির তালিকা ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রমুখ।

কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন মোশাররফ হোসেন, শাহ আলম, আল আমিন, মো.

আবু আবদুল্লাহ, তৌহিদুল ইসলাম, আলেয়া খাতুন (দপ্তর), সজিব ওয়াফি, সৈয়দ মোহাম্মদ সোহরাব, আবদুল বারেক ও মামুন চাকলাদার।

এ ছাড়া সংগঠক হিসেবে আছেন সজিব ইসলাম, লামিয়া ইসলাম, মো. কামরুজ্জামান, মো. সারোয়ার কামাল, মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ। সদস্যদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সমন বয়ক র এনস প র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কলমাকান্দায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ, মুদি দোকানি গ্রেপ্তার

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মাদ্রাসাপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে মোজাম্মেল হোসেন (৫৫) নামে এক মুদি দোকানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মোজাম্মেল হোসেনকে আদালতে পাঠিয়েছে।

মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মোজাম্মেল হোসেনকে আসামি করে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মোজাম্মেল উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ চৈতানগর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।   

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি সকালে ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় পরীক্ষার ফি দেওয়ার জন্য তার বাবার কাছ থেকে ১৩০ টাকা নেয়। মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে মোজাম্মেল হোসেনের দোকান থেকে ১০ টাকার একটি কলম কিনে মনের ভুলে বাকী টাকা দোকানে ফেলে রেখে চলে যায়। কিছুসময় পর ফেলে আসা টাকা আনতে পুনরায় মোজাম্মেলের দোকানে যায় ওই শিক্ষার্থী। এসময় মোজাম্মেল বলেন, দোকানে টাকা নেই। বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা আনতে। পরে সে মোজাম্মেলের বাড়িতে টাকা আনতে যায়। এসময় মোজাম্মেল ওই শিক্ষার্থীর পিছু নেন। সে ঘরে প্রবেশ করতেই মোজাম্মেল ঘরের দরজা বন্ধ করে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ রয়েছে, ১৭ ও ১৯ জানুয়ারি চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে পুনরায় ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন মোজাম্মেল। আর এ ঘটনাটি কাউকে বললে ওই শিক্ষার্থীকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও ভয় দেখান মোজাম্মেল। এরপর থেকে ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় যেতে রাজি হচ্ছিল না। কেন সে মাদ্রাসায় যেতে চায় না এর কারণ তার মা জানতে চাইলে কয়েকদিন পর বিষয়টি সে খুলে বলে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন সমকালকে জানান, মঙ্গলবার সকালে এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরপরই মোজাম্মেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ