ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৫ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি। তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।

রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- মাগুরার শালিখা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মো.

মিরাজ (২৭), নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মাথাভাঙা বড় নাল গ্রামের উজ্জ্বল মোল্লা (২৮), খুলনার দৌলতপুরের বিএল রোডের সোহাগ শিকদারের ছেলে শাকিল শিকদার (২২), কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার হালদারপাড়ার সহাদবের ছেলে সুব্রত বিশ্বাস (১৮), বাগেরহাটের মোল্লাহাটের চাঁদেরহাট গ্রামের নারায়ণ মজুমদারের ছেলে নয়ন মজুমদার (২৮) ও ঢাকার মোহাম্মদপুরের শেরে বাংলা রোডের অশোক বালা (৪৫)।

বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, বাঘাডাংগা বিওপির হাবিলদার জিনারুল ইসলামের নেতৃত্বে টহল চলাকালে কাঞ্চনপুর গ্রামের রাস্তা থেকে আট বাংলাদেশিকে আটক করে বিজিবি। এছাড়া, খোসালপুর বিওপির হাবিলদার শিকদার ইউনুসের নেতৃত্বে টহল দল নারী-শিশুসহ সাত জনকে আটক করে।

মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘‘পৃথক অভিযানে আটক নয় নারী-শিশুকে যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। বাকি ছয় জনকে পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হবে।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নালা বন্ধ, সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা

সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে রাজবাড়ী শহর। তলিয়ে যায় হাটবাজার। নালাগুলো বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চলছে। নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। 
রাজবাড়ী শহরের রেলগেটের উত্তর দিকে বাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। টিনপট্টি, পালপট্টি পেরিয়ে ফলবাজার, চালবাজার, পানবাজার, তরকারিবাজার, মাছবাজার, দুধবাজার, কাপড়বাজার, আড়ৎপট্টি, মুরগিবাজার– সব পাশাপাশি। প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার হাট বসে এখানে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়। এতেই এসব বাজারে 
পানি জমে সৃষ্টি হয় দুর্ভোগ। দূরদূরান্ত থেকে হাটে আসা গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ সময় বাজারে রিকশা চলাচলে সৃষ্টি  হয় প্রতিবন্ধকতা। 
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষাকালে তাদের ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলে পানি জমে। তখন আর ক্রেতারা দোকানের সামনে দাঁড়াতে চান না। বেচাকেনা যায় কমে। বৃষ্টির পরে সৃষ্টি হয় কাদা। তখন বাজারে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে যায়। 
পান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সমর সরকার জানান, বৃষ্টি হলেই তার দোকানের সামনে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। বাজারের নালাগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার মূল কারণ। মুরগিবাজার থেকে টিনপট্টি পর্যন্ত পানি জমে একাকার হয়ে যায়। এই পানিতে ময়লা-আবর্জনাও থাকে। যে কারণে খোসপাঁচড়া হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। 
তরকারি ব্যবসায়ী কিয়াম উদ্দিন জানান, তাঁর দোকানের সামনে পানি জমে না। তবে এ দুর্ভোগ তাঁকেও পোহাতে হয়। পানি বের হওয়ার জায়গা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বলে মনে করেন তিনি। 
এ বিষয়ে রাজবাড়ী পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ী শহরের নালাগুলোর সঙ্গে নদীর সংযোগ নেই। যে কারণে নালার মুখগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। পৌরসভার একার পক্ষে জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হবে না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ