বন্দরে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ ও অপসাংস্কৃতি প্রতিরোধ কল্পে জন সচেতনতা মূলক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৩ মার্চ) বিকেল ৪টায় বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের সিএসডিস্থ কমিউনিটি পুলিশিং ইউনিট বিট নং- ১০ এর উদ্যাগে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে বন্দর থানার ওসি মো.

তরিকুল ইসলাম (পি.পি.এম সেবা) বলেন, অপরাধ র্নিমূলে পুলিশের একাপক্ষ সম্ভব নয়। এজন্য কমিউনিটি পুলিশিং ইউনিটকে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ ও জনতা এক সাথে কাজ করলে সমাজ থেকে অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজে বড় একটি সমস্যা হলো মাদক। এ মাদকের টাকা যোগান দেওয়ার জন্য আমাদের যুব সমাজ চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরছে। জনগনের সেবা দেওয়া পুলিশের  কাজ। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। আইন কেউ  নিজ হাতে তুলে নিবেন না।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আমিরুল ইসলাম বাবু সভাপতিত্বে ও দৈনিক আজকের বাংলাদেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায়  মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বন্দর কেন্দ্রীয় কবরস্থান রোড পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সোহেল খান বাবু, খাদেমপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদক  সৈয়দ  গোলাম রসুল রনী, মাসুদ সরদার, বন্দর থানার উপ পরিদর্শক আব্দুল মোতালিব ভূইয়া, আফসার উদ্দিন ও রাজু আহাম্মেদ প্রমুখ।

মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিট-১০ এর সহকারি বিট অফিসার এএসআই মাসুদ পারভেজ, সমাজ সেবক মোঃ ইকবাল হোসেন, সানু খান, মাছুম মিয়া, রাজু আহাম্মেদ, কাজল আহামেদ কালুনসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।  
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিমা মাত্র

বাবেলের অধিবাসীরা যখন হজরত ইবরাহিমের (আ.) কথা কর্ণপাত করল না, শক্ত যুক্তিও মেনে নিতে রাজি হলো না, তখন তিনি দাওয়াত দেওয়ার ভিন্ন একটি কৌশল অবলম্বন করলেন। তাদের মন্দিরে অনেকগুলো কাঠের দেবদেবী ছিল, এর মধ্যে একটি ছিল প্রধান দেবতা। তিনি পরিকল্পনা করলেন তার জাতিকে দেখাবেন এই প্রতিমাগুলো কত দুর্বল—নিজের শরীর থেকে একটি মাছি তাড়াবারও শক্তি এদের নেই।

একদিন বাবেলে ধর্মীয় মেলা হবে, লোকজন ইবরাহিমকে (আ.) সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগল। ইবরাহিম (আ.) আকাশের তারকার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আমি অসুস্থ।’ তিনি ঠিক মিথ্যা বলেননি, তার জাতির কুফরি কাজকর্মে তিনি আত্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তারা তার কথা বিশ্বাস করে। (সুরা সফফাত, আয়াত: ৮৮-৯০) ইবরাহিম (আ.) আস্তে আস্তে বললেন, ‘আল্লাহর কসম, তোমরা চলে যাওয়ার পর আমি অবশ্যই তোমাদের প্রতিমাগুলোর কায়দা করব।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৫৭)

আরও পড়ুন‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কখন পড়ব০৪ মার্চ ২০২৫

এরপর তারা যখন চলে যায়, তিনি চুপি চুপি প্রতিমাগুলোর কাছে গেলেন। যাদের সামনে ছিল থরেথরে সাজানো ফলমূল আর সুস্বাদু খাবার। তিনি বললেন, ‘তোমরা কি খাবে না? তোমাদের কী হয়েছে, কথা বলছো না কেন?’ (সুরা সফফাত, আয়াত: ৯১-৯৩) তিনি সজোরে মূর্তিগুলোর ওপর আঘাত হানলেন। কিন্তু বড় মূর্তিটাকে কিছু করলেন না, যেন ওটার ওপর সব দোষ চাপানো যায়।

লোকজন ধর্মমেলা থেকে ফিরে যখন মন্দিরের এই হাল দেখল, রেগেমেগে একদম বেহাল হয়ে হয়ে গেল। তারা বলল, ‘কে আমাদের দেবদেবীর এই অবস্থা করল? সে নিশ্চয় সীমালংঘনকারী। কেউ কেউ বলল, এক যুবককে দেখেছি এদের সমালোচনা করতে, তার নাম ইবরাহিম। তারা বলল, তাকে জনতার সামনে উপস্থিত করো, যেন তারা তাকে দেখতে পারে।’

ইবরাহিমকে (আ.) উপস্থিত করার পর তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘তুমিই কি আমাদের দেবদেবীদের এই হাল করেছ? ইবরাহিম (আ.) বললেন, ওই বড় দেবতাটাই এসব করেছে, ওটাকে জিজ্ঞেস করো, যদি কথা বলতে পারে!’

এ কথা শুনে তারা চিন্তায় পড়ে গেল। তারা একে অপরকে বলল, তোমরা দেবদেবীদের অরক্ষিত রেখে গেছ, তোমরাই বরং সীমালঙ্ঘনকারী। তারপর লজ্জায় তাদের মাথানত হয়ে গেল। তারা ইবরাহিমকে (আ.) বলল, ‘তুমি তো ভালো করেই জানো এরা কথা বলতে পারে না।’

আরও পড়ুনসুরা ইয়াসিনের সার কথা১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইবরাহিম (আ.) এই মন্তব্য শোনারই অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি বললেন, ‘তবে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদত করো, যা তোমাদের কোনো উপকার করতে পারে না এবং কোনো ক্ষতিও করতে পারে না? ধিক তোমাদের এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর তাদের। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না?’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত ৫৯-৬৭)

মূর্তিপূজার অসারতার এমন স্পষ্ট প্রমাণের পর বাবেলের অধিবাসীদের উচিত ছিল এক আল্লাহয় বিশ্বাস করা, হজরত ইবরাহিমকে (আ.) নবী বলে মেনে নেওয়া। কিন্তু তারা তা না করে ফন্দি আঁটতে থাকে কীভাবে মূর্তি ভাঙার প্রতিশোধ নেওয়া যায়, কীভাবে তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়া যায়।

আল্লাহর শরিয়ত কোনো প্রাণীকেই জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার অনুমতি দেয় না, আর মানুষ তো সবচেয়ে সম্মানিত প্রাণী, তার বেলায় তো আরও আগে না। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৫৪২) কিন্তু কাফেরদের নীতিতে ইনসাফ নাই, মানবতা নাই, আছে কেবল পাশবিকতার জয়গান। আর তাই বাবেলের মূর্তিপূজারীরা সিদ্ধান্ত নেয়—এই যুবককে নিরস্ত করার একটাই উপায় আছে, আর তা হলো জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা।

আরও পড়ুনআল্লাহর কাছে যে দোয়া করেছিলেন নবী সোলায়মান (আ.) ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ