পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে হবে ঈদের বড় জামাত, থাকবে আনন্দ মিছিল ও মেলা: আসিফ মাহমুদ
Published: 23rd, March 2025 GMT
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজনে রাজধানীর উত্তর এলাকার মানুষের জন্য আগারগাঁওস্থ বাণিজ্য মেলার পুরাতন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ঈদ জামাত। সেখানে একসঙ্গে কয়েক লাখ মানুষ ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করবেন। ঈদের নামাজ শেষে সুলতানী ও মোঘল আমলের রীতি অনুযায়ী থাকবে ঈদের আনন্দ মিছিল। এছাড়াও ফ্যাসিস্ট সরকার পরবর্তী সময়ে ঈদ আনন্দকে নতুন ও সুন্দরভাবে আয়োজন করতে থাকবে ঈদ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রোববার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, জুলাই গণঅভূত্থান পরবর্তী সময়ে ঈদকে আমরা নতুনভাবে উদযাপন করতে চাই। যতদিন যাচ্ছে ঈদ আয়োজন সামষ্টিকতা থেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আয়োজনে পরিণত হচ্ছে। ঈদের দিনে দেখা যায় আমাদের বর্তমান জেনারেশনের অনেকে টিভি দেখে বা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছি। এজন্য উত্তর সিটির উদ্যোগে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে কেন্দ্রীয়ভাবে ঈদ উদযাপন করছি। গ্রামের ঈদগাঁয়ের পাশে যেমন ছোট করে মেলা থাকে ঠিক তেমনি মেলার আয়োজন থাকবে সেখানে। শিশু–কিশোররা মেলায় অংশ নিতে পারবে। একইসঙ্গে পুরাতন ঐতিহ্য সুলতান আমল ও আঠারো শতাব্দীর সময়ে ঈদের নামাজের পরে ঈদের মিছিল হতো, এই ঐতিহ্যটিকে আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছি। সবশেষ ঈদের দিন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকবে। এই আয়োজনে উপদেষ্টা নগরবাসীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা একসঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই। ঈদের মিছিলে অংশগ্রহণ করি।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এই ময়দানে মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও উত্তর ঢাকার লোকজন আসতে পারে না। তাই উত্তর সিটির উদ্যোগে এই আয়োজন। সেখানে ঈদের আনন্দ মিছিল ও ঈদ মেলায় দক্ষিণ সিটির লোকজনও নামাজ শেষে অংশ নিতে পারবে। এ বছর সময় স্বল্পতার কারণে শুধু রাজধানী ছাড়া সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজন করতে পারছি না। তবে আমাদের আহ্বান থাকবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কেউ যদি স্বতস্ফূর্তভাবে আয়োজন করতে চায় তবে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান তাদের সহযোগিতা করবে। তবে আগামী বছর থেকে আরও বড় পরিসরে একটি জাতীয় প্রোগ্রামের মতো করে সারাদেশেই এটির আয়োজন করতে চাই।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাশক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘পুরাতন বাণিজ্য মেলায় সকাল ৮টায় একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মাঠটি যেহেতু অনেক বড় তাই একসঙ্গে কয়েক লাখ মানুষ সেখানে ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারবেন। ঈদের মাঠে নারীদের নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। আর ঈদের আনন্দ মিছিলকে ঐতিহ্যবাহী করতে সেখানে হাতি, ঘোড়ার সঙ্গে ব্যন্ডপার্টির অংশগ্রহণ থাকবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এনস স ঈদ র জ ম ত আনন দ ম ছ ল ঈদ র আনন দ ঈদ র ন ম জ উপদ ষ ট অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
পোশাক রপ্তানি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় বিজিবিএ ও বিজিএমইএর
দেশের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ) ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচারার্স এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। বিজিবিএর ইফতার ও দোয়া মাহফিলে দুই সংগঠনের নেতারা এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে শনিবার বিজিবিএ সদস্য ও বিভিন্ন ব্যবসায় সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তারা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির লক্ষ্য বিজিবিএর। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে বিজিএমইএ ও বিজিবিএর মধ্যে যে দূরত্ব সেটি কমিয়ে আনতে হবে। বিজিএমইএ, বিজিবিএ ও বিকেএমইএকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের জন্য ও ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর আসন্ন নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার আবুল কালাম, জেএফকে সোয়েটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন, টর্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল উদ্দিন, এজিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল, বিজিবিএর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল, বিজিবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম সাইফুর রহমান ফরহাদ।
বিজিবিএর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল বলেন, টেকসই বাণিজ্যের জন্য বিজিবিএ ও বিজিএমইএর মধ্যে যে গ্যাপ সেটি দূর করতে হবে। আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি, সেটি নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে সেগুলো দূর করতে হবে।
বিজিবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম সাইফুর রহমান ফরহাদ বলেন, ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নতুন নতুন যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে, সেগুলো মোকাবিলা করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বায়িং হাউস সেক্টরে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, লাখ লাখ পরিবার এই সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল, সবার কথা মাথায় রেখে উৎপাদনের সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সেক্টরগুলোর সহায়তা জোরদার করতে হবে।