‘অভিষেকে’ আইপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি ঈশানের, রান পাহাড়ে চড়ে জিতল হায়দরাবাদ
Published: 23rd, March 2025 GMT
১৪ ম্যাচে ১৪৮.৮৩ স্ট্রাইক রেটে ৩২০ রান। তবু আইপিএলের সর্বশেষ মৌসুমটাকে ভালো বলার উপায় নেই ঈশান কিষানের। ১৪ ইনিংসে মাত্র একবার ৫০ ছুঁতে পেরেছিলেন। তাঁর দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস একদমই ভালো করতে পারেনি। ১০ দলের মধ্যে দশম হয়েছিল ঈশানের মুম্বাই।
ঈশানকে এরপর ছেড়ে দেয় মুম্বাই। নিলামে তাঁকে কিনে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর নতুন দলে অভিষেকেই আজ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ১০ বছর ও ১০৬ ম্যাচের আইপিএল ক্যারিয়ারে যা ঈশানের প্রথম সেঞ্চুরিও। সেটি ঈশান পেলেন আইপিএল ক্যারিয়ারে নিজের ১০০তম ইনিংসে!
ঈশানের সেঞ্চুরির ম্যাচটা বড় ব্যবধানেই জিতেছে হায়দরাবাদ। মাত্রই ১ রানের জন্য আইপিএলে নিজেদেরই গড়া দলীয় সর্বোচ্চ রানের স্কোর ছুঁতে না পারা হায়দরাবাদ করে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান। রান তাড়ায় রাজস্থান রয়্যালস পুরো ২০ ওভার খেলে করতে পারে ৬ উইকেটে ২৪২ রান। হায়দরাবাদ জিতেছে ৪৪ রানে।
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ঈশান যখন ব্যাট করতে নামেন ৩.
৩১ বলে ৬৭ রান করে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান হেড ফেরার পর নিতীশ কুমার রেড্ডি (১৫ বলে ৩০) ও হাইনরিখ ক্লাসেনের (১৪ বলে ৩৪) সঙ্গে ৭২ ও ৫৬ রানের জুটি গড়েন ঈশান। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্লাসেন যখন ফিরলেন ৮৬ রানে অপরাজিত ভারতের হয়ে ৩২টি টি-টোয়েন্টি খেলা ঈশান। সন্দীপ শর্মার করা ওই ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে টানা দুই ছক্কায় ৯৮ রানে পৌঁছে যাওয়া ঈশান ওভারের শেষ বলে ‘ডাবল’ নিয়ে পৌঁছে যান ১০০-তে। ৪৭ বলে ১০৬ রান করার পথে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরেছেন ঈশান।
ঈশানদের ঝড়টা সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছেন জফরা আর্চার। ইংলিশ পেসার ৪ ওভারে দিয়েছেন ৭৬ রান। যা আইপিএলে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিংয়ের রেকর্ড। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এক ম্যাচে এর চেয়ে বেশি রান দেওয়ার ঘটনা আছে মোটে সাতটি।
রান তাড়ায় নিজেরাও বড় রান করলেও একবারও মনে হয়নি রাজস্থান এই ম্যাচ জিততে পারে। দলটির হয়ে ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন ধ্রুব জুরেল। এ ছাড়া ৩৭ বলে ৬৬ রান করেন ইমপ্যাক্ট হিসেবে নামা ওপেনার সঞ্জু স্যামসন।
আইপিএলে দলীয় সর্বোচ্চস্কোর দল বিপক্ষ ভেন্যু সাল
২৮৭/৩ হায়দরাবাদ বেঙ্গালুরু বেঙ্গালুরু ২০২৪
২৮৬/৬ হায়দরাবাদ কলকাতা হায়দরাবাদ ২০২৫
২৭৭/৩ হায়দরাবাদ মুম্বাই হায়দরাবাদ ২০২৪
২৭২/৭ কলকাতা দিল্লি বিশাখাপট্টনম ২০২৪
২৬৬/৭ হায়দরাবাদ দিল্লি দিল্লি ২০২৪
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দ্বীপে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন, উচ্ছ্বসিত চার লাখ বাসিন্দা
উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে দেশের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানোই চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মানুষের নিত্যদিনের সংগ্রাম। সেই সন্দ্বীপ থেকে এবার বাস ছুটবে ঢাকা-চট্টগ্রামের পথে। ফেরিতে চেপে সাগর পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো সন্দ্বীপের বাসিন্দাদের। আজ সোমবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ফেরিঘাট নৌপথে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো ফেরি চলাচল। ফেরি সার্ভিস চালুর মধ্য দিয়ে সন্দ্বীপে যাত্রীবাহী ও মালামালবাহী যানবাহন চলাচলও শুরু হয়েছে। ফেরি সার্ভিস উদ্বোধনে সাতজন উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার দুজন বিশেষ সহকারী উপস্থিত ছিলেন।
চারপাশে জলরাশিঘেরা সন্দ্বীপ মাত্র ৭৫০ বর্গকিলোমিটারের একটুকরা ভূখণ্ড। এ অঞ্চলের প্রায় চার লাখ বাসিন্দার যাতায়াতব্যবস্থার জন্য রয়েছে কুমিরা-গুপ্তছড়াসহ ছয়টি নৌপথ। একটিমাত্র যাত্রীবাহী জাহাজে মানুষ যাতায়াত করতেন এত দিন। পাশাপাশি স্পিডবোট, কাঠের ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারাপার হতো। ঘটত অনেক দুর্ঘটনা। ছিল কাদা মাড়িয়ে হাঁটার দুর্ভোগ। ফেরি চালু হওয়ায় এসব দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেল সন্দ্বীপের বাসিন্দারা।
যেভাবে উদ্বোধন হলোআজ সকাল সোয়া আটটার পর সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাটে পৌঁছায় উপদেষ্টাদের গাড়িবহর। শুরুতেই জেটি ঘাট-১–এ বিআরটিসি বাসের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এরপর বাসে উঠে ঘুরে দেখেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। এরপর ফেরিঘাট উদ্বোধন করেন তিনি। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশগ্রহণ করেন তাঁরা। সকাল ৯টায় উপদেষ্টাদের নিয়ে সীতাকুণ্ড থেকে ফেরি ছাড়ে। সকাল ১০টায় সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে ফেরি পৌঁছানোর পর স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের স্বাগত জানান। ফেরি থেকে নেমে গুপ্তছড়া ঘাটের নামফলক উন্মোচন করেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
এ সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধন রঞ্জন রায় পোদ্দার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়–সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান।
সন্দ্বীপের ফেরি চলাচল উদ্বোধন করছেন উপদেষ্টারা। আজ সকালে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট এলাকায়