লক্ষ্মীপুরে ক্ষতিকর রং-কেমিক্যাল দিয়ে মেয়াদহীন আইসক্রিম উৎপাদন করায় এক ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের পিটিআই মোড় এলাকায় রাকিব আইস কারখানা মালিক আমির হোসেনকে এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল্লাহ আল ইমরানের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সুমধু চক্রবর্তী।

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অভিযানে অনুমোদনহীন ক্ষতিকর রং-কেমিক্যাল দিয়ে মেয়াদহীন আইসক্রিম উৎপাদনের সত্যতা মিলেছে। এতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ‘‘কারখানার মালিক অঙ্গীকার করেছেন, বৈধ কাগজপত্র না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। ভেজাল খাদ্য উৎপাদনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’’

ঢাকা/লিটন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কেএমপির বরখাস্ত এসআই শাহ আলমের ৭ বছর কারাদণ্ড

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) বরখাস্ত উপপরিদর্শক মো. শাহ আলমকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেছেন। 

এক যুগ আগে খুলনা নগরীর খালিশপুরের মুজগুন্নী আবাসিক এলাকায় মিল্কি আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক মাসুদ হাসানের বাসার গৃহকর্মী সীমাকে হত্যা ও লাশ গুমের গল্প তৈরি করেছিলেন এস আই শাহ আলম। পরে পুলিশের আরেকটি দল সীমাকে জীবিত উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ হয়রানির অভিযোগে শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।

আলালত থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর দৌলতপুর গ্রামের মৃত. ওলিয়ার রহমানের ৯ বছরের মেয়ে সীমাকে তাদের বাসার কাজের জন্য নিয়ে যান মিল্কি আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক মাসুদ হাসান ও তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন। দীর্ঘদিন কাজ করার পর সীমা ওই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ঘটনায় সীমার মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে গৃহকর্তা মাসুদ হাসান, মোহাম্মদ আলী খোন্দকার ও মো. মাসুদ শেখকে আসামি করে ২০১২ সালের ৭ মে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খালিশপুর থানার তৎকালীন এসআই শাহ আলম এই পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু ঘুষ না পেয়ে এসআই শাহ আলম নিখোঁজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘হত্যা নাটক’ সাজান। পরবর্তীতে ডুমুরিয়া উপজেলার লাইন বিল পাবলার একটি খাল থেকে বস্তাবন্দী ২৮-৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত পরিচয়ের নারীর লাশ সীমা হিসেবে বর্ণনা করে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালান। এ ঘটনায় মাসুদ হাসান ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করেন শাহ আলম। পরে সীমাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘুষ না দেওয়ায় গৃহকর্মী সীমা হত্যা নাটক ও জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন। ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট শাহ আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইয়াসিন আলী জানান, দুটি ধারায় এসআই শাহ আলমকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শাহ আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বরখাস্ত এসআই শাহ আলমের ৭ বছর কারাদণ্ড
  • কেএমপির বরখাস্ত এসআই শাহ আলমের ৭ বছর কারাদণ্ড