অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার ২৫ দেশের জোট বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ২৬ মার্চ প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তার চার দিনের এ সফরে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও ২৮ মার্চ বৈঠক হবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। 

সফরের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে আজ রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মো.

জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

দুই ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে আলোচনার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, আমরা এ সফরের নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। সফরে কিছু ঘোষণা আসতে পারে। এ নিয়ে এখনো আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। সফরটি অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসু হবে বলে আশা করি। 

এই সফরের ফলাফল নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর দুই দেশের ৫০ বছর পূর্তি। এই সফর এই উদযাপনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা এ সফর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। আমাদের প্রত্যাশা, সফরটি অত্যন্ত সফল, ফলপ্রসু এবং মাইলফলক হবে। 

প্রধান উপদেষ্টার এই সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ সারা বিশ্বের দৃষ্টি রয়েছে- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সফর। আমরা চাই, সফরটি যেন বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের জন্য ভালো কিছু হয়।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফরে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে: চীনের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বেজিং সফরে কিছু ঘোষণা আসতে পারে। এ সফর হবে দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

আজ রোববার দুপুরে চীনের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে তিনি পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। মূলত প্রধান উপদেষ্টার সফরের প্রস্তুতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সফরের প্রস্তুতি নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। সফরে কিছু ঘোষণা আসতে পারে। এ নিয়ে এখনো আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। সফরটি অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করি।’

এই সফরের ফলাফল নিয়ে জানতে চাইলে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এ বছর দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি। এ সফর সেই সম্পর্কের উদ্‌যাপনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা এ সফর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। আমাদের প্রত্যাশা, সফরটি অত্যন্ত সফল, ফলপ্রসূ ও মাইলফলক হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার এ সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ সারা বিশ্বের দৃষ্টি রয়েছে—এমন এক প্রশ্নের উত্তরে ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সফর। আমরা চাই, সফরটি যেন বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের জন্য ভালো কিছু হয়।’

২৬ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফরে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে: চীনের রাষ্ট্রদূত