টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের তুলোধুনা হওয়া তো আর নতুন কোনো গল্প নয়। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে কে কোনো দিন ‘ধরা’ খেয়ে যান, কে বলতে পারে! সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে আজ যেমন খেলেন জফরা আর্চার। আইপিএলে রান বিলানোর রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন তিনি।

আজ রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ২০ ওভার  ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৪ ওভার বল করে কোনো উইকেট না পাওয়া আর্চার একাই দিয়েছেন ৭৬ রান।

এত দিন আইপিএলের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ডটি ছিল মোহিত শর্মার। গুজরাট লায়নসের এই বোলার গত আসরেই ৪ ওভার ৭৩ রান দিয়েছিলেন, তাঁকে এবার ছাড়িয়ে গেছেন আর্চার। তালিকার তিন নম্বরে থাকা ঘটনাটা অবশ্য একটু পুরোনোই— ২০১৮ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৭০ রান দিয়েছিলেন বিশাল থাম্পি।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন আর্চার। ট্রাভিস হেড ও ঈশান কিষানের সামনে ওই ওভারেই ২৩ রান দেন তিনি। এরপর আবার ১১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে তুলনামূলক ভালো করেন আর্চার, এই ওভারে দেন ১১ রান। এক ওভার পর এসে ২২ রান দেন তিনি। ১৮তম ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভারে এসে তিনি হজম করেন ২৩ রান।

আর্চারকে এমন তুলোধুনা করার দিনেও অবশ্য দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়তে পারেনি হায়দরাবাদ। নিজেদেরই গড়া গত বছরের ২৮৭ রানের চেয়ে এবার এক রান পিছিয়ে ছিল তারা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন আর চ র

এছাড়াও পড়ুন:

মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে প্রতারণার ফাঁদ

ফরিদপুর সদর উপজেলায় একটি পরিবারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে অভিনব প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েক বছর ধরে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করে প্রবাসীসহ বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে অর্থ ওঠানো হলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় কোনো বাস্তব উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। প্রস্তাবিত মাদ্রাসার জন্য এখনও এক ছটাক জমিও কেনা হয়নি, এমনকি কোনো ব্যাংক হিসাব নম্বরও খোলা হয়নি। শুধু মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার কথা বলে টাকা তোলার একটি কার্যক্রমই দৃশ্যমান! 

মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে অভিনব প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা মীর ইন্তাজ আলী ও তাঁর তিন ছেলে মো. ইব্রাহীম আলী, ইয়ামিন আলী ও ইয়াসিন আলী। যে মাদ্রাসার কথা বলে অর্থ সংগ্রহ করা হয়, সে প্রতিষ্ঠানের নাম ‘দারুল কুরআন মীর ইন্তাজ আলী মাদ্রাসা’। সরেজমিন ওই মাদ্রাসার কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও ইন্তাজ আলীর ভাতিজা মো. মিজানুর রহমান মিজান জানান, প্রস্তাবিত মাদ্রাসাটির নামে ২০২১ সাল থেকে তাদের এই অভিনব প্রতারণা শুরু হয়। মাদ্রাসার কথা বলে এ পর্যন্ত চারটি ওয়াজ মাহফিল করা হয়েছে। মুফতি আমির হামজাও এখানে এসে ওয়াজ করেছেন। প্রতি ওয়াজেই মাহফিলের মাঠ থেকে মাদ্রাসার নামে লাখ লাখ টাকা ওঠানো হয়েছে। এমনকি প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। 

কল্পিত মাদ্রাসার নামে গত কয়েক বছরে প্রায় কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। অথচ ইন্তাজ আলী বা তাঁর ছেলেরা মাদ্রাসার নামে তোলা অর্থের বিষয়ে কারও কাছেই হিসাব দেননি। মাদ্রাসার জন্য এক ছটাক জমিও কেনেননি। 

ইন্তাজ আলীর প্রতিবেশী ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাসুদ মোল্লা বলেন, ইন্তাজ আলী ও তাঁর ছেলেরা একটি প্রস্তাবিত মাদ্রাসার নাম দিয়ে প্রতিবছর ওয়াজ মাহফিল করেন। তাদের বক্তব্য ছিল, এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করবেন। তারা প্রতিবছর অর্থ সংগ্রহ করেন কিন্তু মাদ্রাসার জন্য কিছু করেন না। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. মিলু বলেন, ওই মাদ্রাসার দৃশ্যমান কোনো কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমনকি প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো  ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। কোনো কিছুই নেই। 

অভিযোগ অস্বীকার করে মীর ইন্তাজ আলী বলেন, ইসলামের অগ্রগতির জন্য তিনি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে মাদ্রাসার নামে কোনো অর্থ সংগ্রহ করা হয়নি।

ইন্তাজ আলীর ছেলে ইয়ামিন আলীর ভাষ্য, এটি একটি প্রস্তাবিত মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। ইন্তাজ আলীর আরেক ছেলে প্রস্তাবিত মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহীম আলী বলেন, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হবে। অর্থ সংগ্রহ ও আত্মসাতের বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি। 

কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান এ.কে.এম বাশারুল আলম বাদশা বলেন, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে ওই পরিবার প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তারা নিজেরা কোটিপতি হচ্ছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা না করে আর কোনো ওয়াজ মাহফিল তারা আয়োজন করতে পারবেন না। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা ইউএনও ইশরাত জাহান বলেন, এখনও তাঁর কাছে এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাজিল, রিয়াল মাদ্রিদ, আনচেলত্তি ও ক্লপ—কে কার
  • ছয় মাসে কী অর্থনৈতিক সংস্কার করা হয়েছে, প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের
  • গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে উপকারী যেসব ফল 
  • মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে প্রতারণার ফাঁদ
  • রাজনীতিতে আসা ভুল ছিল না, নির্বাচন করলে হারব না: সাকিব 
  • রাজনীতিতে আসা ভুল ছিল না, নির্বাচন করলে হারব ন: সাকিব