তিন বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন টিভি উপস্থাপক, অভিনেত্রী ও মডেল সামিয়া আফরিন। সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে তারকাদের পোশাক নিয়ে ‘রিভোগ ওয়্যার টু কেয়ার’ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে উজ্জ্বলা ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সামিয়া আফরিন।

ওই আয়োজনে উপস্থিত হয়ে নিজের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেুন, ‘আমার ক্যান্সার ধরা পড়ে ২০২২-এর এপ্রিলে। তখন কভিড থেকে সবেমাত্র লকডাউন উঠছে এবং কিছু কিছু দেশ খুলছে [ভ্রমণ অনুমতি]। ওই সময় স্টেজ ৪-এ ছিল ক্যান্সার। এটা খুবই ভীতিকর ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল আমার পরিবারের লোকজনের জন্য। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে যে, এটা একটা অসুখ; এ জন্য আমাকে লড়াই করতে হবে অথবা নিরাময়ের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। ভয় না পেয়ে কীভাবে নিরাময় হতে পারে, আমি সেসব খুঁজে বের করি।’

যোগ করে তিনি বলেন, ‘তখন মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে; বরং আমি আমার পরিবারের জন্য সহায়ক হয়েছিলাম। কারণ, কারও কাছ থেকে সহানুভূতিশীল কোনো কথা বা সেই দৃষ্টিতে দেখতে চাইনি। আমি সবসময় দৃঢ়চেতা হতে চেয়েছিলাম। তাতে হয় কী, এটা একজন রোগীকে আরও বেশি শক্তি জোগায় তাড়াতাড়ি সেরে ওঠার জন্য।’

ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে রোগীর মনোবল ভেঙে পড়ার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেই বিষয়ে সামিয়ার ভাষ্য, ‘আমরা হয় কী, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। মনে হয় আমার জীবন শেষ হয়ে গেল, এরপর আর বুঝি কিছু নেই। এটা নিছক ভুল কথা। যদি আমরা চেষ্টা করি, মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি এবং সঙ্গে সঙ্গে অনেক লাইফ স্টাইলেও পরিবর্তন আনতে হয়, তাহলে এটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব, যদিও তা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’
বর্তমান নিজের শারীরিক ও মানসিক বেশ ভালো বলে জানান সামিয়া।

ক্যান্সার রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে প্রাপ্ত পোশাক বিক্রির টাকা ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় ব্যয় হবে। গত ২২ মার্চ শেষ হয়েছে ‘রিভোগ ওয়্যার টু কেয়ার’ প্রদর্শনী।

প্রসঙ্গত, একসময় টিভি উপস্থাপনার নিয়মিত মুখ ছিলেন উপস্থাপিকা সামিয়া। মাঝেমধ্যে নাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি। বিজ্ঞাপনচিত্রেও তাঁকে দেখা গেছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

রিমান্ড শেষে কারাগারে সোলাইমান সেলিমসহ দুই জন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক লালবাগ থানায় মাদরাসা ছাত্র শাহেনুর রহমান হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম এবং চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজী সিরাজুল ইসলাম রাডোকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন সোলাইমান সেলিমকে তিন দিন এবং সিরাজুল ইসলাম রাডোকে চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র সাব-ইন্সপেক্টর কবির হোসেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ।

গত ১২ মার্চ সোলাইমান সেলিমের তিন দিন, সিরাজুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার একদিন পর গত বছরের ৬ আগস্ট ভোরে লালবাগ থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় বিজয় মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। ওই মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গুলি চালালে মাদরাসাছাত্র শাহেনুর রহমান (১৯) গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই মো. মাজেদুল ইসলাম লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

গত বছরের ১৪ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে বেশ কয়েকটি  হত্যা, হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। 

বিভিন্ন থাকার ১১ মামলায় সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ