টিক চিহ্ন নয়, আলোচনায় মতামত তুলে ধরবে সিপিবি
Published: 23rd, March 2025 GMT
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সংস্কারের কাজগুলো করার উপযুক্ত পদ্ধতি টিক চিহ্ন দেওয়া নয়। এ জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি হচ্ছে আলাপ–আলোচনা করা। তাঁরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার অপেক্ষায় আছেন। সেখানে সব সুপারিশের বিষয়ে দলের মতামত তুলে ধরা হবে।
আজ রোববার সংসদ ভবনের এলডি হলে ঐকমত্য কশিমনের সঙ্গে দেখা করার পর রুহিন হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সংস্কারের যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে, তার অনেকগুলোর সঙ্গে সিপিবি একমত। অনেক প্রস্তাবের সঙ্গে মৌলিকভাবে দ্বিমত রয়েছে। অনেকগুলো প্রস্তাবের বিকল্প প্রস্তাব আছে। অনেকগুলো প্রস্তাবে একেবারেই নাকচ করে দেওয়ার আছে।
সুপারিশের ১৬৬টি প্রশ্ন প্রকারান্তরে অনেক কিছু অস্পষ্ট উল্লেখ করে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অনেক কিছু যদি শুধু ‘হ্যাঁ/না’–এর মধ্যে থাকি, তাহলে পুরো যে সংস্কার প্রস্তাব, সেটা একটা ভুল–বোঝাবুঝির জায়গায় যাবে।’
রুহিন হোসেন বলেন, সংস্কারের মূল দায়িত্ব জনগণের। এটি তাদের ওপরে ছেড়ে দিতে হবে। গণপরিষদ এখন অপ্রয়োজনীয় বলে তাঁরা মনে করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ত ব
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনের ১১৩ সুপারিশে একমত এনসিপি
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ প্রস্তাবের মধ্যে ১১৩টিতে একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তারা বলেছে, যে সুপারিশগুলো সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আর সংবিধান–সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন।
রোববার দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার নিয়ে নিজেদের লিখিত মতামত জমা দেয় এনসিপি। পরে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির কো-অর্ডিনেটর সারোয়ার তুষার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় দলটির সংস্কার সমন্বয় কমিটির সদস্য মুনিরা শারমিন, জাবেদ রাশিম, আরমান হোসাইন ও সালেউদ্দিন সিফাত উপস্থিত ছিলেন।
সারোয়ার তুষার সাংবাদিকদের বলেন, তারা ১১৩টি প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছেন। ২৯টি প্রস্তাবের বিষয়ে আংশিকভাবে একমত হয়েছেন। স্প্রেডশিটে মতামত জানানোর পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে তারা মন্তব্য করেছেন; কেন একমত হননি, সেটাও সেখানে তুলে ধরা হয়েছে।
এনসিপি দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদদের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। তবে তারা বলেছে, নির্বাচনের আগেই উচ্চকক্ষের প্রার্থী কারা, তা দলগুলোকে ঘোষণা করতে হবে। কারণ, নির্বাচনে একজন ভোটার একটি দেবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর জানার অধিকার আছে উচ্চকক্ষে কারা যাচ্ছেন।
এনসিপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারেন। তবে তা বাধ্যতামূলক না করার প্রস্তাব তারা দিয়েছে।
এনসিপি বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার হতে হবে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের মেয়াদ ৭০ থেকে ৭৫ দিন হতে পারে। একটা পর্যায়ে গিয়ে এই সরকারের প্রয়োজন হবে না। সংবিধানে যে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, সেই কাউন্সিলে এই দায়িত্ব নিতে পারে।