কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার জাকির হোসেন উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে পুলিশ জাকির হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শনিবার (২২ মার্চ) রাতে উপজেলার শ্রীনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী এ সব বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শনিবার ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে জাকির হোসেনকে আসামি করে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করার পর রবিবার (২৩ মার্চ) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

১৭ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস বাবর

বগুড়া কারাগারে আরো এক আ.

লীগ নেতার মৃত্যু

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শ্রীনগর গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন জাকির হোসেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বিয়ের জন্য চাপ দেন ভুক্তভোগী নারী। এতে অভিযুক্ত জাকির হোসেন অস্বীকৃতি জানালে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন ওই নারী। স্বজনরা তাকে প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলার বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। 
 

ঢাকা/রুমন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল

মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাইং উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। এই উৎসবে পরস্পরের দিকে পানি ছিটিয়ে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন মারমারা। ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’(এসো হে সাংগ্রাইংয়ে সবাই মৈত্রী পানিবর্ষণে) গানটিও দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আছে এই উৎসবের ‘থিম সং’।

গবেষক ও মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবের শুরু গত শতকের সত্তরের দশকে। কিছু তরুণ মিয়ানমারে সাংগ্রাইং উৎসবে এ ধরনের আয়োজন দেখে দেশেও এর প্রচলন করেন। আর ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’ উৎসবের থিম সং হয়েছে ১৯৮৪ সালে।

মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবকে অনেকেই ‘জলকেলি’ ও ‘পানি খেলা’ বলে থাকেন। তবে এসব নাম আপত্তিকর বলে মনে করেন মারমা সমাজের অনেকেই। তাঁদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে ধর্মের যোগ থাকা অনুষ্ঠানটি ভুলভাবে উপস্থাপন হয়।

এবারের সাংগ্রাইং উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে বান্দরবান জেলা শহরে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব শুরু হয়েছে। তবে জেলার অন্যান্য জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার এই উৎসব শুরু হয়। খাগড়াছড়িতে কোথাও কোথাও সোমবার শুরু হয়েছে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব।

মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণদের একজন শিক্ষাবিদ থোয়াইংচ প্রু। তিনি প্রথম আলকে বলেন, সাংগ্রাইং আখ্যেয়া বা মূল সাংগ্রাই দিনে বুদ্ধমূর্তি স্নানের আগে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব হয় না। এটা প্রথাসিদ্ধ রীতি। তাই মৈত্রী পানিবর্ষণের সঙ্গে ধর্মের যোগ বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, পানিকে মারমারা পবিত্র মনে করে। তাই সাংগ্রাইং উৎসবে বন্ধুত্বের বন্ধন এবং পরস্পরের প্রতি মৈত্রী ভাবনা নবায়ন ও সুদৃঢ় করার জন্য একে-অপরের দিকে পানি ছোড়েন। পানি ছিটানোর পর কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালে বোঝা যাবে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে ও বন্ধনে টানাপোড়েন আছে। এটিই মৈত্রী পানিবর্ষণের মূল্যবোধ। এ কারণে অনেক সময় অযাচিত কাউকে পানিবর্ষণ করলে আগে সালিসের মুখোমুখিও হতে হতো।

মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। গতকাল বান্দরবানের ডলুপাড়ায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ