পায়রা বন্দর অর্থনীতির জন্য বিষফোড়া বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, এ বন্দর সচল রাখতে প্রতিবছর দুটি ড্রেজার লাগবে, যা খরচ বাড়াবে। ওই অঞ্চলের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নিয়মিত কয়লা আনতে হবে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর বলা হলেও মূলত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আনতে এ বন্দর করা হচ্ছে। পায়রাবন্দর তো সমুদ্রবন্দর হওয়া দূরের কথা। আবার নদীবন্দরও হবে না। অনেকটা ঘাটের মতো হতে পারে। ছোট ছোট নৌযান চলাচলের উপযোগী বন্দর। এ পায়রা বন্দর প্রকল্পে অনেক অর্থ খরচ হয়ে গেছে। মাঝপথে এসে প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হবে কি না, তা  বিবেচনার বিষয়। তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্প খরচ শুরুর আগে বা প্রকল্প নেওয়ার আগে থাকলে এই প্রকল্প নিতাম না।’

আজ রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, তাঁর নেতৃত্বে একটি দল পায়রা বন্দর এলাকা সরেজমিন ঘুরে এসে পুরো প্রকল্পটি মূল্যায়ন করবে। তারপর এ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, ইতিমধ্যে পায়রা বন্দর প্রকল্পের ৭২ শতাংশ বাহ্যিক অগ্রগতি হয়েছে। প্রকল্পের অর্ধেক টাকা খরচ হয়ে গেছে।

একনেক সভায় পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের সংশোধনী প্রকল্পসহ ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১৪ হাজার ১৯৩ কোটি, বৈদেশিক ঋণের ৬ হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ ও সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রকল প র উপদ ষ ট র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় বিএনপি ও শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে স্কুলের জমি দখলের অভি

ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ুন কবির ও বিএনপি নেতা নাসিম আবেদীনের বিরুদ্ধে। 

একদিকে বিদ্যালয়ের জমি দখলের খবরে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী। 

জমি দখলের খবরে ছুটে আসেন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও ফতুল্লার বিভিন্ন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এসময় জাফর সাদিক জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের ডেকে বিদ্যালয়ের জমি ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে সদর ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, আমি জমি দখলদার ডেকে তিনদিনের মধ্যে জমির দখল মুক্ত করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ