কুড়িগ্রাম থেকে সাঁতরে চাঁদপুর, রফিকুলের লক্ষ্য বঙ্গোপসাগর
Published: 23rd, March 2025 GMT
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম থেকে সাঁতার শুরু। যমুনা নদী হয়ে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ২৯ দিনের মাথায় চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়ার মিলনস্থল মোলহেডে পৌঁছেছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচির রফিকুল ইসলাম। তার লক্ষ্য বঙ্গোপসাগরকে ছোঁয়া।
শনিবার বিকেলে সাঁতরে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে পৌঁছানোর পর রফিকুলকে স্বাগত জানান তার স্ত্রী বাংলাদেশে প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার ও চাঁদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ।
রফিকুল ইসলাম জানান, দেশের ভেতরে ৫৫০ কিলোমিটার নদীপথ সাঁতরে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী ঝুনকারচর থেকে সাঁতার শুরু করেন তিনি।
শনিবার শরীয়তপুরের সুরেশ্বর চরআত্রা এলাকা থেকে সকাল ৭টায় সাঁতার শুরু করে বিকেল সাড়ে ৪টায় ২২ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনা নদীপথ পাড়ি দিয়ে চাঁদপুর পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়ার মোলহেডে এসে পৌঁছান রফিকুল। টানা ২৯ দিনে ৪০০ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
রফিকুল জানান, তিনি মেঘনায় ১৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন ২৬ মার্চের মধ্যেই। কিন্তু ঢাকায় অফিস থাকায় তিনি বাকি ১৫০ কিলোমিটার শুরু করবেন ঈদের ছুটির মধ্যেই।
রফিকুল ইসলাম বলেন, সাঁতার কেটে নদী এবং নদী পাড়ের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়াই ছিল আমার লক্ষ্য। আমাকে দীর্ঘ এই নদীপথ সাঁতরে পাড়ি দিতে সার্বক্ষণিক সাহস যুগিয়েছেন আমার স্ত্রী নিশাত মজুমদার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রিমান্ড শেষে কারাগারে সোলাইমান সেলিমসহ দুই জন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক লালবাগ থানায় মাদরাসা ছাত্র শাহেনুর রহমান হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম এবং চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজী সিরাজুল ইসলাম রাডোকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন সোলাইমান সেলিমকে তিন দিন এবং সিরাজুল ইসলাম রাডোকে চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র সাব-ইন্সপেক্টর কবির হোসেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ।
গত ১২ মার্চ সোলাইমান সেলিমের তিন দিন, সিরাজুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার একদিন পর গত বছরের ৬ আগস্ট ভোরে লালবাগ থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় বিজয় মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। ওই মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গুলি চালালে মাদরাসাছাত্র শাহেনুর রহমান (১৯) গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই মো. মাজেদুল ইসলাম লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত বছরের ১৪ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে বেশ কয়েকটি হত্যা, হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
বিভিন্ন থাকার ১১ মামলায় সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ