জাবিতে মেট্রোরেলের স্টেশন দাবি শিবিরের
Published: 23rd, March 2025 GMT
মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৫ (সাউদার্ন রুট) নবীনগর পর্যন্ত বর্ধিত এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়েছে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।
রবিবার (২৩ মার্চ) জাবি শাখা শিবির ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাভার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব কম হলেও যানজট ও দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তাদের শিক্ষা ও কর্মজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সাভার অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে হেমায়েতপুরের পরিবর্তে নবীনগর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্প বর্ধিত এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্টেশন স্থাপন করা হলে জাবির ১৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপকৃত হবেন।
আরো পড়ুন:
হোয়াটস অ্যাপে জাবি উপাচার্যের ছবি ব্যবহার করে আপত্তিকর বার্তা
জাবির বাসে ছাত্রদল নেতার ইফতার বিতরণ
সাভার পৌরসভাসহ এতে আশুলিয়া অঞ্চলের বহু মানুষ এ সুবিধা পাবেন। এ রুটটি মিরপুর হয়ে ভাটারাগামী হলেও এমআরটি লাইন-৬ এর সাথে গাবতলী ইন্টারচেইঞ্জের জন্য নর্দান রুটের সুবিধাও পাবেন যাত্রীরা।
ছাত্রশিবিরের জাবি শাখার সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিব বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে সাভার ও আশপাশের অঞ্চলের যোগাযোগ সমস্যার সমাধানের জন্য আন্দোলন করে আসছে। আমরা চাই, মেট্রোরেলের সাউদার্ন রুট-৫ নবীনগর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হোক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্টেশন স্থাপন করা হোক। এতে শুধু শিক্ষার্থী নয়, আশপাশের হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে।”
হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দাবি, এই সময়ের মধ্যেই নবীনগর পর্যন্ত সম্প্রসারণ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টেশন স্থাপনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষে জাবিতে গাজার মানচিত্র এঁকে গণহত্যার অভিনব প্রতিবাদ
বর্ষবরণের দিনে নানা উৎসবে মেতেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এরই মাঝে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে গাজার প্রতীকী মানচিত্র এঁকে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাবির একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনের মাঠে তারা এ মানচিত্র অঙ্কন করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টিএসসির সামনের মাঠে অঙ্কিত এ মানচিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে নিমার্ণাধীন ভবনের পরিত্যক্ত কংক্রিট। সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে সাদা রঙে। এছাড়া লাল রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে সেইসব অঞ্চল, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে। মানচিত্রের মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে ফিলিস্তিনের পতাকা। এছাড়া শান্তির প্রতীক হিসেবে রোপণ করা হয়েছে একটি জলপাই গাছ।
আরো পড়ুন:
জাবিতে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
জাবিতে চালু হলো ইলেকট্রিক কার্ট, কমবে দুর্ভোগ
দুপুর সাড়ে ১২টায় এই প্রতীকী মানচিত্রের উদ্বোধন ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ সময় প্রতিবাদ কর্মসূচির অন্যতম উদ্যোক্তা ৪৮তম ব্যাচের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আজ আমরা যেমন আনন্দের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করেছি, তেমনি গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সেখানকার মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এই মানচিত্র নির্মাণ করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ আমরা চালিয়ে যাবো।”
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “এই আয়োজন আমাদের শিক্ষার্থীদের মানবিক বোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং রাজনৈতিক সচেতনতার অনন্য দৃষ্টান্ত। একটি রাষ্ট্রের নিরীহ জনগণের ওপর যখন নির্বিচারে হামলা চলছে, তখন একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নীরব থাকা নয়, বরং প্রতিবাদ জানানোই দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক। এই প্রতীকী মানচিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা ন্যায় ও মানবতার পক্ষে তাদের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী