নতুন দল নিয়ে টি-২০ সিরিজ খেলছে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান। ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটিতে সহজেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিক কিউইরা। তবে তৃতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৯ উইকেটে জেতে পাকিস্তান। সেঞ্চুরি করেন হাসান নওয়াজ।

চতুর্থ ম্যাচে আবার পুরনো পাকিস্তানের দেখা মিলেছে। নিউজিল্যান্ডের রান চাপায় পড়ে ১১৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে সালমান আঘার দল। রানের হিসাবে টি-২০ তে যা ব্ল্যাক ক্যাপসদের দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের জয়।

রোববার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। টপ অর্ডারে দলটির চার ব্যাটারই রান পান। এর মধ্যে ওপেনার টিম শেইফার্ট ২২ বলে ৪৪ রান করেন। তিনটি চার ও চারটি ছক্কা মারেন তিনি। অন্য ওপেনার ফিন অ্যালেন ২০ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে ছয়টি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা আসে।

তিনে নামা চাপম্যান ১৬ বলে ২৪ ও চারে নামা ড্যারেল মিশেল ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল ২৬ বলে ৪৬ রান যোগ করেন। পাঁচটি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা মারেন তিনি। জবাবে ১৬.

২ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।

সফরকারী দল ৯ রানে ৩ উইকেট হারায়। ওপেনার হারিস ২, নওয়াজ ১ ও অধিনায়ক সালমান আঘা ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। চারে নামা ইরফান খান ২৪ ও লোয়ার মিডলের আব্দুস সামাদ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি ৪টি ও জাকারি ফলকেস ৩ উইকেট নেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট ২০ স র জ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা বুলু

প্রায় দেড় যুগ আগে দুদকের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাসের রায় দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি সোহানুর রহমান জানান, এদিন মামলাটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ধার্য ছিলো। দুদক এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। পরে আদালত রায় ঘোষণা করেন। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে খালাস দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে তিনি আসামির সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থণা করেন। বরকত উল্লাহ বুলুর পক্ষে আমিনুল ইসলাম যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে তিনি বরকত উল্লাহ বুলুর খালাস দাবি করেন। পরে আদালত তাকে খালাসের রায় দেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরকত উল্লাহ, স্ত্রী মিসেস শামীমা আক্তার এবং ছেলে ওমর শরীফ মো. ইমরান (সানিয়াত) এর বিরুদ্ধে দুদকের তৎকালীন সহকারি পরিচালক মনজুর আলম রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অসাধুপায়ে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত চার কোটি ৮৯ লাখ ৬১ হাজার ২১১ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জ করেন। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিন কোটি ৩৭ লাখ ১৪ হাজার ১১৭ টাকার সম্পদের মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২০ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মনজুর আলম।

পরে উচ্চ আদালত বরকত উল্লাহ বুলুর স্ত্রী ও ছেলের মামলা বাতিল করেন। বরকত উল্লাহ বুলুর বিরুদ্ধে আনা ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার বিচার চলে। ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভূক্ত ৬৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বরকত উল্লাহ বুলুর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এক কোটি ৯৪ লাখ ৭ হাজার ৮৫৮ টাকা এবং ছেলের বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল।

ঢাকা/মামুন/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ