সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় ওয়াটারএইড বাংলাদেশ সফলভাবে শেষ করেছে ‘বায়োসিটি’ প্রতিযোগিতা। নগরের জলাশয়ের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবেশ পুনরুদ্ধারে তরুণদের সম্পৃক্ত করার জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

শনিবার বিশ্ব পানি দিবসে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিচারক প্যানেল, চূড়ান্ত প্রতিযোগিরা এবং বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহানের উপস্থিতিতে নগর জলাশয় পুনরুদ্ধার ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তাদের অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিজয়ী দল, সম্মানজনক উল্লেখযোগ্য দল এবং জনপ্রিয় পছন্দ পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন বিচারকেরা।

প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল ঢাকার জলাভূমিগুলোর দ্রুত অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং তরুণদের উদ্ভাবনী ও টেকসই সমাধান নিয়ে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করা। এই উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া ফেলে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী দেড় হাজারের বেশি ব্যক্তি এতে নিবন্ধন করেন এবং তিন থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ১৪০টিরও বেশি দল তাদের উদ্ভাবনী ও টেকসই পরিকল্পনা জমা দেন।

প্রথমিক মূল্যায়নের পর ১১টি দল ঢাকায় গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশ নেয় গত ১৯ মার্চ। এই দলগুলো বিচারকদের সামনে তাদের প্রকল্প উপস্থাপনের সুযোগ পায়। বিচারকমণ্ডলীর নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহ-সভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব। অন্যান্য বিচারকদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম শামসুল আলম; বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের জলবায়ু ও পরিবেশের প্রোগ্রাম অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান; এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড.

মেহরীন মাজেদ; এবং স্বাধীন পরামর্শক (পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও গবেষণা ব্যবস্থা) ড. হাসিব ইরফানুল্লাহ।

পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার পর বিচারকরা নগরের জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য পুনুরুদ্ধারে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও কার্যকরী ধারণার ভিত্তিতে একটি বিজয়ী দল এবং তিনটি সম্মানজনক উল্লেখযোগ্য দল নির্বাচন করেন। কয়েকটি ধাপে বাছাই ও বিশ্লেষণ শেষে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হয় ‘টিম ওয়াটারইয়ার্ড’। বিজয়ীদলের সদস্যরা হলেন মো. শহীদুজ্জামান, তাহমিদ রানা খান, আদিবা জামান, হিমেল মৌলিক এবং নাহিদুজ্জামান স্বাধীন। এছাড়াও, তিনটি দলকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। পুরষ্কার হিসেবে পদক ও সার্টিফিকেটের পাশাপাশি বিজয়ী দলকে এক লাখ ও বিশেষ সম্মাননাপ্রাপ্ত দলগুলোর প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। মডেল পরিকল্পনাটি সরাসরি বাস্তবায়ন করা হবে, যা তরুণ উদ্ভাবকরা তাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে এবং আইপিএইচ পুকুর পুনরুজ্জীবনে সরাসরি অবদান রাখতে সহায়তা করবে।

পাশাপাশি, আরেকটি আকর্ষণীয় অংশ ছিল ‘জনপ্রিয় পছন্দ পুরস্কার’, যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ জনগণ তাদের প্রিয় ধারণার পক্ষে ভোট দেন। নেটিজেন্দের প্রতিক্রিয়ার বিচারে বিজয়ী দলগুলো ছিল ‘ওয়াটার-ইয়ার্ড’, ‘ইকো-প্ল্যানারস’ এবং ‘টিম-ইকুইনক্স’।

বিজয়ী দল ‘ওয়াটার-ইয়ার্ড’ একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা তুলে ধরে— পুকুরের সঙ্গে স্থানীয় সম্প্রদায়ের মালিকানা ও সংযোগের অভাব। তাদের পরিকল্পনায় পাঁচটি কৌশলগত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং পুকুরকেন্দ্রিক জীবিকার এবং বিনোদনের সুযোগ তৈরি করে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা আনয়নের ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের এই পরিকল্পনাটি ঢাকার একটি পুকুরে বাস্তবায়ন করা হবে।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বাংলাদেশের নগরগুলোর ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু জীববৈচিত্র্য ও জলাধার রক্ষায় তরুণ প্রজন্মের বিপুল সাড়াকে ধন্যবাদ জানান। এসময় তিনি বলেন, ‘দেশের এই অনালোচিত অথচ অত্যন্ত জরুরি সমস্যা মোকাবিলায় তরুণদের সম্পৃক্ত করাটা এখন সময়ের দাবী। প্রতিযোগিরা পরিবেশগত ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের প্রতিভা প্রকাশ করেছেন, তা আমরা স্বাগত জানাই’।

বাপার সহ-সভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ধারণা করে আসছিলাম, আমাদের তরুণরা কোনও বিষয় গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করে না। কিন্তু এবার নগর জলাভূমি পুনরুজ্জীবনের জন্য তারা যে উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে এসেছে, তা আমাদের ভুল প্রমাণ করেছে। এগুলো সবই মৌলিক এবং বাস্তবায়নযোগ্য’।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ বব চ ত র য প রস ক র পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

মডেল মেঘনার পূর্ব পরিচিত ব্যবসায়ী সমির রিমান্ডে

মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমের পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী মো. দেওয়ান সমিরকে চাঁদাবাজির মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। সানজানা ম্যানপাওয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সমির। গত বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিতর্কিত ধারায় প্রতিরোধ আটকাদেশে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি কাশিমপুর-২ নম্বর কারাগারে আছেন। বুধবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মডেল মেঘনাকে আটকের দিনই ঢাকা ছেড়েছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান। আটকের সময় রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মেঘনা।   
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদ্য বিদায় নেওয়া সৌদি রাষ্ট্রদূতের অনানুষ্ঠানিক অভিযোগের ভিত্তিতে মেঘনাকে আটক করেছে পুলিশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ আসার পর এ ব্যাপারে পুলিশ পদক্ষেপ নেয়। এর পর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেঘনার যোগাযোগ থাকার বিষয়টি জানতে পারেন গোয়েন্দারা। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে মেঘনার পরিবারের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেটি ব্যর্থ হলে তাঁকে আটক করা হয়। এদিকে মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।  

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, নারীদের ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে আসছেন আসামি দেওয়ান সমির। তাঁর বিরুদ্ধে সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় ভাটারা থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দেওয়ান সমিরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত দেওয়ান সমিরকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতকে বলা হয়, আসামি গত জানুয়ারি থেকে সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের কাছ থেকে টাকা আদায়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি হুমকির সম্মুখীন হয়।
কাশিমপুর-২ কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. আল মামুন সমকালকে বলেন, প্রতিরোধমূলক আটকাদেশের বন্দিদের বিশেষ কক্ষে রাখা হয়। অন্যান্য বন্দির মতো তারা সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় গোয়েন্দারা থাকেন। 

নিন্দা-প্রতিবাদ 
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক মেঘনা আলমের মুক্তিসহ এই আইন বিলোপের দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। শনিবার এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। কমিটির পক্ষে এই বিবৃতি পাঠান সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। বিবৃতিতে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের স্বৈরাচারী আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আগে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেছেন। অথচ এই আইন ব্যবহার করেই সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের অন্যায় আচরণ ও প্রতারণা ঢাকতে একজন নারীকে বাড়িতে হামলা করে তুলে নিয়ে একে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে বহু গুম ও স্বেচ্ছাচারী আটকের ভিত্তি তৈরি করে নাগরিকের মানবাধিকারকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। জুলাইয়ে শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার বিপুল রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যখন জনগণের আকাঙ্ক্ষা হয়ে উঠেছে, তখন এ রকম আইনের ব্যবহার পুনরায় ফ্যাসিবাদী তৎপরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে। 

মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের আনা ‘মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করার’ অভিযোগকে বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্র যদি একজন কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বিদ্বেষের জের ধরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে নাগরিকের অধিকার হরণ করে, তাহলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। অবিলম্বে মেঘনা আলমের মুক্তি এবং এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এদিকে মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারী পক্ষ। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো নারীপক্ষের আন্দোলন সম্পাদক সাফিয়া আজীম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দ্রুত এই কালো আইন বাতিল, মেঘনার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। যে বা যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মেঘনা আলমের ব্যক্তিগত বিষয়কে রাষ্ট্রীয় ইস্যু করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও ব্যক্তিকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। জনগণের করের টাকায় পরিচালিত বাহিনী কখনোই ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা বা কূটনৈতিক তোষণের যন্ত্র হতে পারে না। বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে হবে। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্যাস-তেলের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনের সংকট বাড়াবে: সিপিবি
  • জনগণ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা আমি বলিনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • মডেল মেঘনার সঙ্গে এই আইন প্রথম ব্যবহৃত হচ্ছে না: খোদা বখস চৌধুরী
  • মডেল মেঘনার সঙ্গে এ আইন প্রথম ব্যবহৃত হচ্ছে না: খোদা বখস চৌধুরী
  • মেঘনা আলমের সঙ্গে প্রথম এই আইন ব্যবহার হচ্ছে না: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
  • খোলপেটুয়ার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেনাবাহিনীর
  • ‘শুধু সরকার ও দল নয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক চায় চীন’
  • ঢাকার সমাবেশ ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
  • মডেল মেঘনার পূর্ব পরিচিত ব্যবসায়ী সমির রিমান্ডে