বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী হক চৌধুরী বলেছেন, “দেশে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে সেগুলো এখনো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির অভাব রয়েছে। এজন্য দেশি-বিদেশি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার পথ বা বিনিয়োগ করার পথ আকর্ষণীয় করতে হবে। কোম্পানি আইনে আমাদের অতালিকাভুক্ত কোম্পানি অনেক সহজ তালিকাভুক্ত কোম্পানির চেয়ে। আমাদের আগে করপোরেট কর ব্যবধান ছিল ১৫ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত উভয়ের ক্ষেত্রে কোম্পানি আইনটা পর্যালোচনা করা উচিত।”

তিনি বলেন, “আমি শুধু করের বিষয়টা বলছি না। আমাদেরকে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। তাহলে সে তালিকাভুক্ত হলে সে লাভবান ও সুবিধা পাবে। সে জন্য তখন সে তালিকাভুক্ত হবে।”

তিনি বলেন, “সুবিধা না পেলে কেন কোম্পানিগুলো আইপিওতে আসবে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিবে। কারণ ব্যাংকে সুদ হার বেশি হলেও ঋণ নেওয়াটা সহজ।”

আরো পড়ুন:

বেড়েছে ব্যাংক-বহির্ভূত ঋণ, ৬ মাসে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার

ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক
ফেব্রুয়ারিতে ২০০০ কোটি টাকার নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন

রবিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টক-এ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী হক চৌধুরী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সিএমজেএম সভাপতি গোলাম সামদানি ভুইয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় তিনি ব্যবসার একটি চিত্র তুলে ধরেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বন্দরের চার্জসহ সব ধরনের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো ঠিক হবে না। এখন এই মুহূর্তে এই শুল্কগুলো বাড়ানো হলে ব্যবসা-বাণিজ্য কোনো ধরনের মূল্যষ্ফীতির চাপ নিতে পারবে না। শুল্ক বাড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ করছি আমরা বিএপিএলসি থেকে।”

তিনি বলেন, “তালিকাভুক্ত হলে যদি ভালো সুবিধা না পায় তাহলে কেন তারা আইপিওতে আসবে। ব্যাংক থেকেই মূলধন সংগ্রহ করবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের জিডিপি বিনিয়োগ হার কেন কম হচ্ছে? বিগত কয়েক বছরে এটা কমেছে। এর কারণ হলো, কোভিডের কারণে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বিশেষ করে এসএমইতে আমরা পিছনে পরে গেছি। যারা বড় তারা কিন্তু মোটামুটি কাটিয়ে উঠে ভালো করেই যাচ্ছে। এসএমইতে ৩০ শতাংশ হলো ব্যাংকিং খাতের সাথে যুক্ত। তার তহবিলের যথেষ্ট প্রয়োজন। সে কিন্তু বড় পরিকল্পনা নিয়ে বসে আছে। ব্যাংকিং খাত এসএমইতে বেশি আগ্রহী না। এরপর আসলো ইউক্রেন যুদ্ধ ও দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা।”

বিনিয়োগ আকর্ষণে তিনি বলেন, “আমাদের দরকার আর্থিক নীতি। এর মধ্যে একটা হলো রাজস্ব সম্পর্কিত। পাশাপাশি অবকাঠামোর উন্নয়ন। অন্যান্য দেশের সাথে যদি আমরা মিলাই তাহলে দেখবো তাদের লিড টাইম অনেক কম। কিন্তু আমাদের এখানে রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তা বলার বাইরে। এই যে কাঁচপুর ব্রিজের ওখানে সমস্যা জ্যাম।সার্বিক অবকাঠামো ভালো, কিন্তু জায়গায় জায়গায় যে জটিলতা আসে সেখানে আমাকে দক্ষতা আনতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের সরবরাহ লাইন অব্যশই বিশ্বমানের হতে হবে। বিনিয়োগকারী যে চায়, দেশের মধ্যে ভালো অবকাঠামো অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের তুলনায়। আমাদের যে পরিমাণ গাড়ি বাড়ছে যে অনুযায়ী রাস্তা বাড়াচ্ছি না। তাই অবকাঠামোতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।”

তিনি বলেন, “চলতি বছরের শুরুতেই বলছে সম্পূরক শুল্ক আবার বলছে ভ্যাট আরোপের বিষয়। এসব অনেক ব্যবসার বটমলাইনে হিট করছে। তারা সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে রং এর ওপর। তারা বলেছ সেটা নাকি বিলাসী পণ্য। কিন্তু রং তো এখন বিলাসি পণ্য না। এটা পণ্যকে নিরাপদ করে। ফলে এটা হলো অত্যাবশ্যকীয়।”

তিনি বলেন, “সুতরাং পলিসিগুলো সমঝোতামূলক হতে হবে। এইচএস কোড নিয়ে অনেক গণ্ডগোল। যার কারণে প্রতিটা কোম্পানি ভুগছে। এসব কারণে দেখা যাবে আগামীতে আমরা মিয়ানমারের সাথেও প্রতিযোগীতায়ও টিকতে পারবো না। ফলে বেঞ্চমার্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক নীতি, অবকাঠামো ও ক্রেতা সূচক গুরুত্বপূর্ণ। আমার মাথাপিছু আয় সেটাও দেখতে হবে।”

বিএসইসি মন্ত্রণালয়ের কাছে জনবল চেয়েছে এটা কিভাবে দেখছেন-এমন এক প্রশ্নের জবাবে রূপালী হক চৌধুরী বলেন, “বিএসইসি আমাদের সবার অভিভাবক। তারা যেহেতু সংস্কার করছেন, ওনারা যদি কোনো কিছু করতে চান, আমার মনে হয় ওনাদের বক্তব্যটাই নেওয়া উচিত।”

তিনি বলেন, “আমাদের পুঁজিবাজারেও এমন কিছ ঘটনা ঘটেছে যা অনভিপ্রেত। এখন ওনারা যদি এটাকে ঢেলে সাজাতে চান, যার ফলে ভাল কিছ দিতে পারবেন, এটার কারণ তারাই বলতে পারবেন। আমরা এটাই বলি যে, সংস্কার করে ওনারা যদি ভালো কিছু আনতে পারেন, আমরা তাতে স্বাগত জানাই।”

রূপালী হক বলেন, “করাপশন ক্যান নট হ্যাপেন, ইফ ইট ডাজনট হ্যাভ দ্যা ব্লেসিং অফ দ্যা রেগুলেটরি বডি (নিয়ন্ত্রক সংস্থার আর্শিবাদ ছাড়া দুর্নীতি হতে পারে না)। যে অডিট ফার্মা এ ধরনের (অনিয়মের) রিপোর্ট করেছে তার লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। আমাদের উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে, যারা এ ধরনের দুর্নীতি করে তাদের কিছু না কিছ শাস্তি পেতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমার রেগুলেটরি বডি (নিয়ন্ত্রক সংস্থা) এমন হতে হবে যে দোষ করবে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। মানুষ কাজ করে দুই কারণে। একটা হলো- ইনসেনটিভ। আর একটা হচ্ছে শাস্তি। সুতরাং আপনারা কোনো রকমের কিছু করলেন না, তাহলে তো ওই লোকগুলো আরো বেশি সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশ করে, কিছু টাকা ছাপিয়ে দেখালাম আমার চলছে, চলছে, চলছে। এটা হতে পারে না। আমার সবাই ওখানে। আমি নিজেও ওখানে আছি, যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আছেন উনি আছেন, যিনি অডিট রিপোর্ট করছেন উনিও আছেন।”

বিএপিএলসি সভাপতি বলেন, “আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি, তার থেকে বেশি কি থাকতে পারে। আমাদের সব শেষে পড়ে আছে-আমাদের দেশকে ভালোবাসা। যেখানে সারা বিশ্বে ৫০ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে। আমাদের একমাত্র মন্ত্র হওয়া উচিত মানুষের জীবনমান উন্নত করা। সেটাই যদি আমার মন্ত্র হয়, আমার একটা মানুষের আর হাজার হাজার কোটি টাকার দরকার হয় না। আমাদের এক জীবনে আমি কত কোটি খাব আপনি বলেন, কয়টা বিছানাই আমরা এক সঙ্গে ঘুমাতে পারব, কটা বাড়িতে আমরা থাকতে পারব। সুতরাং আমাদের ভিতরে একটা চেতনা আসতে হবে, আমি দেশের জন্য কিছু করব।”

তিনি বলেন, “আমি নিজে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। কয় পয়সা বেতন দিয়েছি?। তাহলে এখন আমাদের দায়িত্ব কী? দেশকে ফিরিয় দেওয়া এবং সেই কাজটি আমাদের সবাইকে করতে হবে। যে করবে না, তাকে শাস্তি পেতে হবে। যার টাকা আছে বলে। আমাদের ছোটবেলায় দেখেছি আমাদের শিক্ষকরা রেসপেক্টেড ছিল, একজন ভালো ডাক্তার রেসপেক্টেড ছিল। আমাদের ওই সমাজে ফিরে যেতে হবে। যদি দরকার হয় সারা বাংলাদেশের বাঙালিদের রক্ত ট্রান্সমিশন করে ফেলতে হবে। ট্রান্সমিশন দিয়ে ঠিক করতে হবে, আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত হব না, আমরা ভালো মানুষ হব।”

রুপালী হক বলেন, “আমরা বেশিরভাগ সত্যিকার অর্থে ভালো থাকতে চাই। কিন্তু অল্প কিছু ব্যক্তির দ্বারা আমরা ডিফাইন (চিহ্নিত) হচ্ছি। এটা ঠিক না। আমরা বেশিরভাগ মানুষ সৎ থাকতে চাই, আমরা ধর্মভীরু, আমরা ভালো কাজ করতে চাই। কিছু একটা জায়গায় পড়ে আমরা কেমন যেন হতবিহ্বল হয়ে যাচ্ছি। এখন সময় জেগে ওঠার। এটা আমার, আপনার সকলের কাজ। আমরা সবাই মিলে দেশটাকে পরিবর্তন করব, অবশ্যই। আমি আশাবাদি।”

ঢাকা/এনটি/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র দ অবক ঠ ম ধরন র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদুল ফিতরে ভূয়া তালিকা করে ভিজিএফ’র চাল আত্মসাত 

দিনাজপুরের হাকিমপুরে উপজেলার খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপনের বিরুদ্ধে দুস্থদের ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এর কয়েকজন ইউপি সদস্য জড়িত আছেন বলেও অভিযোগ। প্রায় ১৮০০ জনের নামে-বেনামে ভূয়া তালিকা করে ১৮ মেট্রিকটন চাল আত্মসাত করেন তারা। এমন কি মৃত ব্যক্তিরও নাম রয়েছে ওই তালিকায়। 

অভিযোগ থেকে জানা যায়, এই পবিত্র ঈদুল ফিতরে খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের ৪ হাজার ১৬৯ জনের ভিজিএফ চালের তালিকা করেন ওই প্যানেল চেয়ারম্যান। এ তালিকায় একজনের নাম একাধিকবার তোলেন। এক ওয়ার্ডের তালিকাভুক্তদের অন্য ওয়ার্ডের তালিকায়ও নাম ওঠান। এমনকি ওই তালিকায় মৃত ব্যক্তিরও নাম রয়েছে। এভাবে চাল আত্মসাত প্রক্রিয়ায় প্যানেল চেয়ারম্যান স্বপনের সঙ্গে ৩ ইউপি সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শাহানুর রহমান, ৭নং ইউপি সদস্য আবুল কাশেম ও ৮নং ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। 

এ ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন বঞ্চিত সুবিধাভোগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ইউনিয়নের মংলা বাজারের বাসিন্দা তাহাজ্জত আলী বলেন, “আমার প্রতিবেশী মৃত রবিউল ইসলামের নাম ভিজিএফ তালিকায় রয়েছে। কিন্তু  তিনি গত ৩ বছর আগে মারা গেছেন। এক বছর পূর্বে তার স্ত্রীর অন্যত্র বিয়েও হয়েছে। চেয়ারম্যান চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভিজিএফের তালিকায় এই মৃত ব্যক্তির নাম তালিকাভুক্ত করেছেন।”  

অভিযোগকারী মাধবপাড়া গ্রামের কাশেম আলীর স্ত্রী বেগম জানান, ভিজিএফএর তালিকায় তার নামের সিরিয়াল ২৩৭৬। অথচ কয়েকবার চেয়ারম্যানের নিকট ভিজিএফ চালের জন্য গেলে তার নাম তালিকায় নেই বলে ফিরিয়ে দেন। 

তিনি জানান, শুধু তাকে নয় এরকম আরও অনেক মেয়ে মানুষকে চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। 

অভিযোগকারী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম জানান, তার মাস্টার রোলের সিরিয়াল নম্বর ২১০। তালিকায় তার নাম নেই বলে তাকেও ওই দিন চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “আমরা গরীব মানুষ ঈদের আগে ভিজিএফের চালের অপেক্ষায় থাকি। সেই চাল যদি চেয়ারম্যান  খেয়ে ফেলেন তাহলে তো গরীবের তো আর বাঁচার পথ নাই। সরকারের উচিত গরীবের চাল মেরে খাওয়া চেয়ারম্যানকে শাস্তি দেওয়া।” 

লিখিত অভিযোগকারী সাইমুমুর রহমান ডলার জানান, ১নং ওয়ার্ডের ৮৬ জন , ২নং ওয়ার্ডের ৭৫ জন, ৩নং ওয়ার্ডের ৬৩ জন, ৪নং ওয়ার্ডের ৫৬ জন,  ৫নং ওয়ার্ডের ১১১ জন, ৬নং ওয়ার্ডের ১৩১ জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৯২ জন, ৮নং ওয়ার্ডের ১০৯ জন ও ৯নং ওয়ার্ডের ৮৩ জনের মোট ৮০৬ জনের নাম অন্য ওয়ার্ডের মাস্টার সিরিয়ালে একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ও তার লোকেরা এসব নামের বিপরীতে বরদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ করেছেন। 

এ ব্যাপারে প্যানেল চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপন বলেন, “ভিজিএফ এর চাল বিতরণে সময় ট্যাগ অফিসারসহ সব ওয়ার্ডের মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন। আমি সব চাল সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করেছি।”

এবিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় বলেন, “খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। পিআইওকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মোসলেম/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ