জার্মানির বিভিন্ন শহরে গতকাল শনিবার নব্য নাৎসিরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটি হয়েছে বার্লিন শহরে। বার্লিনের পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার নব্য নাৎসিদের বিক্ষোভ পূর্বনির্ধারিত স্থান ওস্টারক্রয়েজে সমাবেশের আয়োজনটি নিরাপত্তার কারণে বন্ধ ঘোষণা করে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ফ্রিডরিখশাইনের রাস্তা দিয়ে পরিকল্পিত নব্য নাৎসিদের মিছিলের রাস্তায় মোট ১৫টি পাল্টা বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। নাৎসিবিরোধী দুই হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তা অবরোধ করেন, তাঁদের ঘেরাও করে রাখেন।

বার্লিনের পুলিশ আরও জানিয়েছে, ৮৫০ জন নব্য নাৎসি বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে প্রায় দুই হাজার মানুষ গতকাল বার্লিনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া ‘আইন ও শৃঙ্খলার পক্ষে, বামপন্থী চরমপন্থা ও রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে’ শিরোনামে আয়োজিত এই সমাবেশ থেকে পুলিশ বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিধিনিষেধ অমান্য করে মুখ ঢেকে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া তাঁরা একজন সাংবাদিককে আক্রমণ করে তাঁকে শ্বাসরোধের চেষ্টা করেন। মিছিল থেকে বোতল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে।

শুক্রবারের এ বিক্ষোভ ঠেকাতে দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। জার্মান ফেডারেল পুলিশ জানিয়েছে, তারা বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে। সংঘর্ষের সময় ১১ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। গতকাল বার্লিনে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ থেকে পুলিশ ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়

হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য প্রয়োজন পাশের মানুষের সহযোগিতা। যার চোখের সামনে ঘটনাটি ঘরে সেই মানুষটি সহযোগিতা না করলে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

ডা. সি এম শাহীন কবীর, এমবিবিএস, এমডি (কার্ড)’ একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘যদি আপনার কাছের লোকের দেখেন যে তীব্র বুকে ব্যথা হচ্ছে, ব্যথার তীব্রতা ছড়িয়ে যাচ্ছে গলায় এবং বামহাতে, প্রচুর ঘাম হচ্ছে তখন কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে আমরা ইসিজি করে নিশ্চিত করি যে, হার্ট অ্যাটাকজনিত কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা। যদি ঘটে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইনিশিয়ালি কিছু ওষুধ সেবন করানো হয়। সেগুলোর মধ্যে থাকে ইকোস্প্রিনজাতীয় ওষুধ। এতে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে।’’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি বুকে ব্যথা হলে অনেকে হাসপাতালে যেতে গড়িমসি করেন। তারা মনে করেন বুকের ব্যথা হয়তো হার্টের কারণে নয়, এটা গ্যাসের সমস্যার জন্য হচ্ছে। বা মাংসপেশীর ব্যথার জন্য হচ্ছে। কিন্তু আমার পরামর্শ হচ্ছে যাদের এই ধরনের সমস্যা দেখা দেবে তাদের বড় ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে।’’ 

আরো পড়ুন:

পুরনো প্রসাধনী থেকে যেসব সংক্রমণ হতে পারে

কখন বুঝবেন রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গেছে

ডা. সি এম শাহীন কবীরের পরামর্শ—

অনেক সময় হার্টে রিং পরানোর প্রয়োজন হতে পারে। যাদের হার্টে রিং পরানো হয় তাদের অন্য রক্তনালীগুলো যাতে ব্লক না হয় সেজন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। 

নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে।

মেডিটেশন করতে হবে।

সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চলতে হবে।

সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ