মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির নামে ঢাকার বনানীতে থাকা ৩০ লাখ ৫১ হাজার টাকা দলিল মূল্যের ৩ হাজার ১১৫ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তার পাঁচটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাবে মোট ২ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮ টাকা জমা রয়েছে।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তে মেহের আফরোজ চুমকির স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। তার নামে অর্জিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা দলিল সম্পাদন বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর করার সম্ভবনা রয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট ক অবর দ ধ অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

জনসংখ্যা বাড়াতে নতুন আইন করল চীন

এক সময় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ‘এক সন্তান নীতি’ কঠোরভাবে অনুশীলন করত চীন। সেই চীন এখন জনসংখ্যা জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের আর্থিক অনুদান চালু করে বিয়ে ও সন্তান উৎপাদনে উৎসাহ দিচ্ছে বেইজিং। এবার বিয়ের আইনও শিথিল করল শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।

পিপলস ডেইলি জানিয়েছে, চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় হুকু-ভিত্তিক (স্থায়ী ঠিকানায়) বিয়ে নিবন্ধনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন আইনের অধীনে, দম্পতিদের আর তাদের হুকু-এর স্থানে বিয়ে নিবন্ধন করতে হবে না। এখন অস্থায়ী ঠিকানাতেও বিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।

আরো পড়ুন:

কাদাপানিতেও নিখুঁত কাজ করবে চীনের বুদ্ধিমান ক্যাসন রোবট

চীনের অধরা সংস্কৃতির পুনরুদ্ধারে অদম্য ইয়াং

চীনে এতদিন বিয়ে সরকারিভাবে নিবন্ধন করার জন্য পাত্র ও পাত্রীকে তাদের স্থায়ী ঠিকানায় আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হতো। অর্থাৎ, কারো যদি বাড়ি গ্রামে হয় এবং তিনি চাকরিসূত্রে বেইজিংয়ে থাকেন, তাহলে এতদিন তিনি বেইজিংয়ে বিয়ে নিবন্ধন করতে পারতেন না। তাকে যেতে হতো গ্রামের বাড়িতে। তাতে এক দিকে যেমন সময় যেত, তেমনই যাতায়াতের ভাড়াও গুনতে হতো।

এখন থেকে পাত্র-পাত্রী অস্থায়ী ঠিকানা অর্থাৎ চাকরিসূত্রে কিংবা অন্য কোনো কারণে অস্থায়ীভাবে যেখাবে বসবাস করছেন, সেখানেই আইনি প্রক্রিয়ায় বিয়ে করতে পারবেন।

চীন সরকার মনে করছে, নতুন এই আইনের ফলে সময়, যাতায়াত খরচ ও অন্যান্য বিড়ম্বনা কমবে। এতে চীনা তরুণ–তরুণীরা বিয়েতে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে।

গত এক দশক ধরেই চীনের জনসংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। এর পেছনে রয়েছে বিয়ের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং শিশু জন্মহার কমে যাওয়া। চীন সরকারের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিয়ের হার কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। শিশু জন্মের হারও ঠেকেছে তলানীতে। এ অবস্থায় জনসংখ্যা বাড়াতে বিয়ে ও সন্তান উৎপাদনে নানাভাবে প্রণোদনা দিচ্ছে চীন সরকার।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ