বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক Reverse Osmosis (RO) প্রযুক্তির নতুন মডেলের (WWP-W6RUAH)  ওয়াটার পিউরিফায়ার বাজারে এনেছে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়ালটন ওয়াটার পিউরিফায়ার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার এবং ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মেহেদী হাসান মিরাজ।

জনপ্রিয় অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদের সঞ্চালনায় ওয়াটার পিউরিফায়ার লঞ্চিং প্রোগ্রামে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার ও ইভা রেজওয়ানা, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম, চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, হোম অ্যান্ড কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স প্রোডাক্টের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোস্তফা কামাল, বিজনেস কো-অর্ডিনেটর টু  ডিরেক্টর নাজমুল ইসলাম, ডিসিবিও এনামুল কবির ও রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের প্রধান মো.

খাইরুল বাশার প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার ঢাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মর্তুজা

স্বাধীনতা দিবস ওয়ালটন আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতা শুরু

অনুষ্ঠানে জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, “পানি আমাদের দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে থাকে। ওয়ালটন দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ বিশুদ্ধ পানির নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওয়াটার পিউরিফায়ার বাজারে এনেছে। নিঃসন্দেহে এটা ভালো উদ্যোগ। ওয়ালটন এরকম আরো ভালো ভালো পণ্য বাজারে নিয়ে আসুক যেন দেশের মানুষ সেরা দামে সেরা মানের পণ্য ব্যবহার করতে পারে।”

ওয়ালটন হোম অ্যান্ড কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মোস্তফা কামাল বলেন, “ওয়ালটন চেষ্টা করছে দেশের সাধারণ মানুষ যেন খুব সহজে বিশুদ্ধ খাবার পানি পান করতে পারে। সেই লক্ষ্যে ওয়াটার পিউরিফায়ার বাজারে এনেছি আমরা। বাসা থেকে শুরু করে অফিস, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সর্বত্র ওয়ালটনের এই ওয়াটার পিউরিফায়ার পৌঁছে দিতে চাই আমরা।”

অনুষ্ঠানে ওয়াটার পিউরিফায়ারের প্রযুক্তিগত দিক ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের প্রধান মো. খায়রুল বাশার।

ওয়ালটন ওয়াটার পিউরিফায়ারে রয়েছে পানি পরিশোধনের মোট ৬টি ধাপ। আছে ৪ লিটারের রিজার্ভ ট্যাংক। শিশুদের হাত থেকে সেইফ রাখতে রয়েছে চাইল্ড লক সুবিধা। ওয়ালটনের পিউরিফায়ারে হট, কোল্ড এবং ওয়ার্ম এই তিন ধরনের পানি পাওয়া যাবে।

ঢাকা/পলাশ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এবার ছেঁড়াফাটা ময়লা নোটেই কি বাচ্চাদের ঈদ সালামি

এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টাকার নতুন নোট বাজারে আসবে না। এটা পুরোনো খবর। কিন্তু বাচ্চাদের ঈদ সালামি বা ঈদি কি পুরোনো নোটেই দিতে হবে? সাধারণত ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকার নতুন নোটেই ঈদের সালামি বেশি দেন সবাই। ছেলে-মেয়ে, ভাগনে-ভাগনি, ভাতিজি-ভাতিজাসহ প্রিয়জনদের নতুন নোট দিয়ে ঈদের সালামি দেওয়া বছরের পর বছর অনেকটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।

বাজারে এখন ১০ টাকা, ২০ টাকা ও ৫০ টাকার নোটের অবস্থা বেশ খারাপ। ময়লা ও ছেঁড়াফাটা নোটই বেশি। নতুন নোট না থাকায় এবার সালামি দিতে এসব পুরোনো নোট ব্যবহার করতে হবে। পুরোনো নোটে বাচ্চাদের কতটা খুশি করা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ঈদ আনন্দে ভাটা পড়বে না তো?

আবদুল্লাহ আল মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। প্রতিবছর তাঁর ছেলে অনুভব ও ভাইয়ের সন্তানদের ঈদ সালামি দিতে নতুন টাকা সংগ্রহ করেন। কিন্তু গত চার-পাঁচ দিনে উত্তরার একাধিক ব্যাংক শাখায় গিয়ে সংগ্রহ করতে পারেননি। কারণ, ব্যাংকের শাখায় নতুন টাকার নোট নেই। ৫০০ টাকা ও ১ হাজার টাকার নোট আছে শুধু। আবদুল্লাহ আল মামুন চিন্তায় আছেন, কীভাবে বাচ্চাদের বোঝাবেন যে এবার ঈদ সালামিতে নতুন টাকা নেই। পুরোনো টাকাই ভরসা।

ঈদের সালামি পেতে বাচ্চাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ থাকে। কতটা আগ্রহ আছে, এর একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। আর্থিক খাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এ হক ভূঁইয়া। ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে মালদ্বীপ বেড়াতে যাবেন। কিন্তু তাঁর আট বছরের ছেলে মালদ্বীপ বেড়াতে যেতে আগ্রহী নয়। কারণ, সে তাঁর বাবাকে জানিয়েছে, ঈদের সময় বেড়াতে গেলে তাঁর নতুন টাকার ঈদ সালামি ‘মিস’ হয়ে যাবে। এ নিয়ে তাদের পরিবারে হাসি–মশকরা চলছে।

যে কারণে টাকার নতুন নোট নেই

প্রতিবছর ঈদের সময় ১৫–২০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নোট বাজারে ছাড়া হয় প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায়। বাজার থেকে সমপরিমাণ পুরোনো নোট তুলে নেওয়া হয়।

১০ মার্চ নতুন নোট বিতরণ স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখার পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যে নতুন নোট গচ্ছিত রয়েছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করার জন্য বলা হলো। চিঠিতে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সব নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় কয়েকটি পক্ষ থেকে আপত্তি থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল, ঈদ উপলক্ষে ১৯ মার্চ থেকে ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট দেওয়া হবে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকে টাকার নতুন নোট বিতরণ নেই। কোনো কোনো শাখায় ৫০০ টাকা ও ১ হাজার টাকার নতুন নোট মিলছে। ঈদের সালামি হিসেবে ৫০০ টাকা ও ১ হাজার টাকা খুব বেশি জনপ্রিয় নয়।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের তেজগাঁও শাখার ব্যবস্থাপকের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি জানান, তাঁর ব্যাংকের শাখায় গড়ে ২০০ কোটি টাকার মতো আমানত থাকে। প্রতিবছর ঈদের সময় এ শাখায় ৩০-৪০ লাখ টাকার নতুন নোট পাওয়া যায়। ব্যাংকের আমানতের অনুপাত অনুসারে নতুন নোটের সরবরাহ করা হয়। এবার নতুন নোট বিতরণ স্থগিত থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রতিদিন গ্রাহকেরা নতুন নোটের জন্য আসেন। কিন্তু দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

পুরোনো নোটের বাজারে দাম বেশি

এবারের ঈদে নতুন নোট না আসার খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই মতিঝিল ও গুলিস্তানের এই নতুন টাকার বাজার চড়া। ২, ৫, ১০, ২০ টাকাসহ সব ধরনের নতুন নোট কিনলে আগের চেয়ে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এবারের ঈদে নতুন নোট বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্তে এমন প্রভাব পড়েছে।

প্রতি বান্ডিলে গতবারের ঈদের মৌসুমের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ১০ ও ২০ টাকার নতুন নোটের চাহিদাই বেশি।

১০ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট বিক্রির জন্য ১ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা হাঁকছেন। এক বান্ডিলে ১০০টি নোট থাকে এবং এর মূল্যমান ১ হাজার টাকা। দর-কষাকষি করে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে একেকটি বান্ডিল ক্রেতারা কিনছেন। গত বছর পবিত্র রোজার সময় এমন এক বান্ডিল নতুন নোট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। অর্থাৎ নতুন নোটের বান্ডিলপ্রতি ক্রেতাদের বাড়তি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে, যা গত বছর পবিত্র রোজার সময় ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। একইভাবে ২০ টাকার এক বান্ডিলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ৪৫০ টাকার কমবেশি।

নতুন নোট আসবে আগামী মাসে

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নতুন নকশার নোট বাজারে আসবে আগামী এপ্রিল-মে মাসে। টাকার নকশা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি বাদ দেওয়া হচ্ছে। নতুন নোটের নকশায় স্থান পাবে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সমকালের ঈদসংখ্যা প্রকাশ উপলক্ষে প্রীতি সম্মিলন
  • মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে সরকার
  • মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ
  • ৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন, আওতার বাইরে যাঁরা
  • ঈদে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
  • পাকিস্তানে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের ভাড়া কমল ২০ শতাংশ
  • ঈদের আগে ও পরের তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক,লরি, কাভার্ড ভ্যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
  • ‘এক দামের’ নামে ক্রেতা ঠকানোর ফাঁদ
  • এবার ছেঁড়াফাটা ময়লা নোটেই কি বাচ্চাদের ঈদ সালামি