Samakal:
2025-03-25@04:29:32 GMT

জবির ৩ ইউনিটের ফল প্রকাশ

Published: 23rd, March 2025 GMT

জবির ৩ ইউনিটের ফল প্রকাশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তিন ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘বি’ ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদ), ‘সি’ ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) এবং ‘ডি’ ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ)।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ও পেজে পৃথক তিন বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্যের বি, সি এবং ডি ইউনিটের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হলো। প্রত্যেক শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট www.

admission.jnu.ac.bd-তে লগইন করে স্ব-স্ব পোর্টালে ফলাফল দেখতে পারবে।

আগামী ৮ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা www.admission.jnu.ac.bd-তে লগইন করে বিষয় পছন্দ (Subject Choice) দিতে পারবে।

বি ইউনিটের তিন শিফটে মোট আসন সংখ্যা ৭৮৫টি। প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিক ২১৬টি, বাণিজ্য ৩৭টি, বিজ্ঞান ৪১টি। দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯২টি, যার মধ্যে মানবিক ২১৮টি, বাণিজ্য ৩৫টি ও বিজ্ঞান ৩৯টি আসন। তৃতীয় শিফটে মোট আসন ১৯৯টি, যার মধ্যে মানবিক ১২৪টি, বাণিজ্য ১০টি ও বিজ্ঞান ৬৫টি আসন। 

সি ইউনিটের দুই শিফটে মোট আসন সংখ্যা ৫২০টি। প্রথম শিফটে মোট আসন ২৩০টি, যার মধ্যে সবগুলোই বাণিজ্য বিভাগের। দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯০টি, যার মধ্যে মানবিক ১৬টি, বাণিজ্য ২৩০টি ও বিজ্ঞান ৪৪টি আসন।

ডি ইউনিটের দুইটি শিফটে মোট আসন সংখ্যা ৫৯০টি। প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিক ১৯২টি, বাণিজ্য ৩৩টি, বিজ্ঞান ৬৯টি। দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯৬টি, যার মধ্যে মানবিক ১৯৩টি, বাণিজ্য ৩২টি ও বিজ্ঞান ৭১টি আসন।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কলা ও আইন অনুষদ ‘বি’ ইউনিট এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ‘ডি’ ইউনিটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৮৫ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসেন ৪২ হাজার ৯৭৪ জন। ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৫২০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসেন ২৪ হাজার ৯৫৭ জন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ‘এ’ ইউনিট বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা। এই ইউনিটে ৮৬০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসেন ৪৪ হাজার ২২৩ জন। ‘সি’ ইউনিট ব্যাবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। এই ইউনিটে ৫২০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসেন ২০ হাজার ১১২ জন।

বিস্তারিত জানতে- jnuadmission.com

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আসন র ব পর ত ম ট আসন ইউন ট র র ভর ত প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

শার্প ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করবে বিএসইসি

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার্থে পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির (পূর্ব নাম আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেড) ছয় বছরের ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বেশ কয়েকটি শর্ত নির্ধারণ করে এ লক্ষ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। তদন্তের বিষয়টি শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ফারইস্ট নিটিংয়ের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়

সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল আজিম এবং মো. আরিফুল ইসলাম।

বিএসইসির জারি করা আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, পুঁজিবাজার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির গত ছয় বছরে এর বাস্তব চিত্র পরীক্ষা করা তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করে বিএসইসি। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশ নং XVII) এর সেকশন ২১ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন কোম্পানির ছয় বছরে কোম্পানির বাস্তব চিত্র বিষয়গুলো পরীক্ষা করা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল আজিম এবং মো. আরিফুল ইসলামকে তদন্ত কমিটিতে রাখ হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের এ আদেশ জারির তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। একইসঙ্গে কমিশনে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা
২০২০-২০২৪ সাল পর্যন্ত কোম্পানি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষকদের দেওয়া আপত্তি বা বিরূপ মতামত বিশ্লেষণ করে দেখবে গঠিত তদন্ত কমিটি।

গঠিত তদন্ত কমিটি কোম্পানির চলমান উদ্বেগ সম্পর্কিত বাস্তব অনিশ্চয়তাগুলো নির্ধারণ করবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একত্রীকরণ বা উল্লেখযোগ্য অন্যান্য লেনদেন থেকে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা কোনো অযৌক্তিক সুবিধা নিয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করা। সেই সাথে ছয় বছরে কোম্পানির বাস্তব চিত্র বিষয়গুলো পরীক্ষা করা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় তদন্ত করে দেখবে গঠিত কমিটি।

সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা
২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে (০.১৯) টাকা। আগের হিসাববছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.৪৫) টাকা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০.০৭ টাকা।

সর্বশেষ দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর,২০২৪) কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৩০ টাকা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.০১ টাকা। সে হিসেবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ০.২৯ টাকা বা ২৯০০ শতাংশ বেড়েছে।

অন্যদিকে, অর্ধবার্ষিক বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৪৪ টাকা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.০৩ টাকা। সে হিসেবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ০.৪১ টাকা বা ১৩৬৬.৬৭ শতাংশ বেড়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১০.৪১ টাকা।

ব্যবসায়িক পরিস্থিতি
শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ঋণে জর্জরিত একটি প্রতিষ্ঠান। স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কোম্পানির মোট ২৭৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে, যা কোম্পানির পরিশোধিত মুলধনের ৯০ শতাংশের চেয়ে বেশি। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৫০ কোটি ১১ লাখ টাকা ও স্বল্প মেয়াদি ঋণ ২২৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আর কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১ লাখ টাকা। দীর্ঘ পাঁচ বছর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নামমাত্র লভ্যাংশ দিয়েছে। বর্তমানে কোম্পানির লেনদেন হচ্ছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি নতুন নামে লেনদেন শুরু করে। এর আগে কোম্পানির নাম ছিল আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেড। কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ‘বি’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধন ৩০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ কোটি ৩৪ লাখ ৫২ হাজার ১০৯টি। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হাতে ৩০.৫৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৩.৯৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.০১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৫.৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৌদির নতুন হজ ব্যবস্থাপনা কতটা কার্যকর
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
  • শার্প ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করবে বিএসইসি
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ সন্ধ্যায়
  • ভর্তি পরীক্ষা: জবির ৩ ইউনিটের ফল প্রকাশ
  • পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে শুল্ক তুলে নিল ভারত, কী লাভ বাংলাদেশের
  • প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • ফিফার ইসরায়েল প্রীতি
  • রামেবির পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, মেধায় প্রথম নওগাঁ মেডিকেল কলেজ