কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ বিজিবি সদস্য মো. বিল্লাল হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের গোলারচর এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত বিল্লাল হাসান কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিরতলা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে। তিনি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়িতে সিপাহী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে, শুক্রবার গভীর রাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় টেকনাফে রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যায়। এ সময় বিজিবির এক সদস্যসহ নিখোঁজ হন কয়েকজন রোহিঙ্গা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘নিখোঁজের দুই দিন পর বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘গত শুক্রবার রাতে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় নৌকাটি শনাক্ত করে বিজিবি। বিজিবি সদস্যরা নৌকাটি থামার সংকেত দেন। এ সময় উত্তাল সাগরে ঢেউয়ের তোড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় ওই বিজিবি সদস্য নিখোঁজ হয়েছিলেন।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘ঘটনার পরপরই বিজিবি ও স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। নৌকাডুবির ঘটনায় ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ বাকিদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চলছে।’’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘‘নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ চার রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এখনো বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’’

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া এলাকায় সাগরে ভাসতে দেখেন বিজিবি সদস্যরা। পরে বিজিবি সদস্যরা নৌকাটি থামার সংকেত দেন এবং তাতে ওঠেন। এ সময় উত্তাল সাগরে ঢেউয়ের তোড়ে নৌকাটি ডুবে যায়।

স্থানীয় জেলে ও বিজিবি সদস্যরা ২৫ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হন। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের ভাষ্যমতে, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিল।

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হপর র দ ব প সদস য ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

ছক্কার ঝড় তুলে এক মাসে ৪ সেঞ্চুরি করা কে এই সাহিবজাদা

তিনি সেঞ্চুরি করেই যাচ্ছেন! পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি। এরপর কাল পিএসএলেও সেঞ্চুরি পেলেন সাহিবজাদা ফারহান। যা গত এক মাসে তাঁর চতুর্থ সেঞ্চুরি।

কাল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে ছক্কা মেরেছেন ৫টি। আর ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ছক্কা ছিল ৭ ম্যাচে ৪০টি। জানিয়ে রাখতেই হচ্ছে, ওই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা ছিল ১৩টি। হঠাৎ করে ছক্কা মেশিন বনে যাওয়া কে এই সাহিবজাদা ফারহান?

সাহিবজাদা পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন কেউ নন। পাকিস্তানের হয়ে ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান। অভিষেক সেই ২০১৮ সালে। তবে ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ার পুনর্জীবিত হয়েছে পিএসএলের আগে গত ১৪ মার্চে শুরু হওয়া ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে।

৪০ন্যাশনাল টি–টোয়েন্টি কাপে সাহিবজাদার ছক্কার সংখ্যা

পাকিস্তানের হয়ে ছয় বছরে ৯ ম্যাচ খেলে ৮৬ রান করা এই ব্যাটসম্যান সেই টুর্নামেন্টে করেছেন ৬০৫ রান। ৭ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি, ফিফটি ২টি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ৭২ বলে অপরাজিত ১৬২।  তাঁর ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।

আরও পড়ুনধোনির বুড়ো হাড়ের ভেলকি৮ ঘণ্টা আগে

টুর্নামেন্টে স্ট্রাইকরেটে ১৮৯.৬৫, আর গড়টা তো অবিশ্বাস্য—১২১। একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তিন সেঞ্চুরি করা পঞ্চম ক্রিকেটার ছিলেন সাহিবজাদা।ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান কত ছিল জানেন, ২৮২। মানে সাহিবজাদার চেয়ে ৩২৩ রান কম। এমন অবিশ্বাস্য টুর্নামেন্ট খেলেই আলোচনায় এসেছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান।

সেঞ্চুরির পর সাহিবজাদা

সম্পর্কিত নিবন্ধ