ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ
Published: 23rd, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে টেসলার একটি ডিলারশিপের বাইরে গতকাল শনিবার শ খানেক বিক্ষোভকারী প্ল্যাকার্ড হাতে নেচেগেয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক ফেডারেল প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছাঁটাই করছেন। সরকারের ব্যয় হ্রাস করতে ট্রাম্প প্রশাসন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) নামে নতুন একটি বিভাগ খুলেছেন। এই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন ইলন মাস্ক।
মাস্কের নেতৃত্বে ডিওজিই এরই মধ্যে এক লাখের বেশি ফেডারেল কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০ লাখের বেশি বেসামরিক ফেডারেল কর্মী রয়েছেন।
আরও পড়ুনট্রাম্পের সরকারে ইলন মাস্কের এত ক্ষমতা কি বিপদের০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এ ছাড়া ডিওজিই বিদেশে ত্রাণ তহবিল পাঠানো আটকে দিয়েছে, বাতিল করেছে কয়েক হাজার প্রকল্প ও চুক্তি।
ওয়াশিংটনে টেসলার ডিলারশিপের বাইরে বিক্ষোভ করতে আসা মেলিসা নটসন বলেছেন, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে বেরিয়ে আসছি এবং অন্যদের দেখাতে চাইছি যে তাঁরা একা নন। ’
লস অ্যাঞ্জেলেসসহ যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি শহরেও ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।
আরও পড়ুনমন্ত্রিসভার উত্তপ্ত বৈঠক: ট্রাম্প কি মাস্কের লাগাম টেনে ধরছেন০৮ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক র
এছাড়াও পড়ুন:
জনসংখ্যা বাড়াতে নতুন আইন করল চীন
এক সময় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ‘এক সন্তান নীতি’ কঠোরভাবে অনুশীলন করত চীন। সেই চীন এখন জনসংখ্যা জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের আর্থিক অনুদান চালু করে বিয়ে ও সন্তান উৎপাদনে উৎসাহ দিচ্ছে বেইজিং। এবার বিয়ের আইনও শিথিল করল শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।
পিপলস ডেইলি জানিয়েছে, চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় হুকু-ভিত্তিক (স্থায়ী ঠিকানায়) বিয়ে নিবন্ধনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন আইনের অধীনে, দম্পতিদের আর তাদের হুকু-এর স্থানে বিয়ে নিবন্ধন করতে হবে না। এখন অস্থায়ী ঠিকানাতেও বিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।
আরো পড়ুন:
কাদাপানিতেও নিখুঁত কাজ করবে চীনের বুদ্ধিমান ক্যাসন রোবট
চীনের অধরা সংস্কৃতির পুনরুদ্ধারে অদম্য ইয়াং
চীনে এতদিন বিয়ে সরকারিভাবে নিবন্ধন করার জন্য পাত্র ও পাত্রীকে তাদের স্থায়ী ঠিকানায় আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হতো। অর্থাৎ, কারো যদি বাড়ি গ্রামে হয় এবং তিনি চাকরিসূত্রে বেইজিংয়ে থাকেন, তাহলে এতদিন তিনি বেইজিংয়ে বিয়ে নিবন্ধন করতে পারতেন না। তাকে যেতে হতো গ্রামের বাড়িতে। তাতে এক দিকে যেমন সময় যেত, তেমনই যাতায়াতের ভাড়াও গুনতে হতো।
এখন থেকে পাত্র-পাত্রী অস্থায়ী ঠিকানা অর্থাৎ চাকরিসূত্রে কিংবা অন্য কোনো কারণে অস্থায়ীভাবে যেখাবে বসবাস করছেন, সেখানেই আইনি প্রক্রিয়ায় বিয়ে করতে পারবেন।
চীন সরকার মনে করছে, নতুন এই আইনের ফলে সময়, যাতায়াত খরচ ও অন্যান্য বিড়ম্বনা কমবে। এতে চীনা তরুণ–তরুণীরা বিয়েতে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে।
গত এক দশক ধরেই চীনের জনসংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। এর পেছনে রয়েছে বিয়ের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং শিশু জন্মহার কমে যাওয়া। চীন সরকারের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিয়ের হার কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। শিশু জন্মের হারও ঠেকেছে তলানীতে। এ অবস্থায় জনসংখ্যা বাড়াতে বিয়ে ও সন্তান উৎপাদনে নানাভাবে প্রণোদনা দিচ্ছে চীন সরকার।
ঢাকা/ফিরোজ