সেন্সরে জমা পড়েছে ‘অন্তরাত্মা’, মুক্তির সিদ্ধান্ত আসছে
Published: 23rd, March 2025 GMT
শাকিব খান ও কলকাতার দর্শনা বনিকে নিয়ে ২০২১ সালের মার্চ মাসে ‘অন্তরাত্মা’ ছবিটির শুটিং শুরু হয়। ওই বছরই শেষ হয় শুটিং। ২০২২ সালের শুরুর দিকে এসে ছবিটি মুক্তির জন্য প্রস্তুত করা হয়। এরপর আর মুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকবার ঈদে মুক্তির গুঞ্জন উঠলেও সেটা কেবল গুঞ্জনই থেকেছে।
এবার জানা গেল নতুন তথ্য। শুটিং শেষ হওয়ার প্রায় চার বছর পর সিনেমাটি মুক্তির জন্য চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা পড়েছে। সেন্সরবোর্ড সদস্যদের থেকেই বিষয় নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
সেন্সরে জমা দেওয়ার বিষয়টি সিনেমাটির পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমন নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অন্তরাত্মা কিছু কারণে আটকে ছিল। অবশেষে সব কিছু ছাপিয়ে সেন্সর ছাড়পত্রের জন্য জমা দেওয়া হয়েছে। আজই প্ররর্শিত হবে।
তবে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হবে কবে সে বিষয়ে কিছুই জানাননি পরিচালক। শুধু জানিয়েছেন সেন্সর হওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে প্রযোজক সকল সিদ্ধান্ত নেবেন।
‘অন্তরাত্মা ছবির গল্পে সত্তরের দশকের চিত্র দেখানো হয়েছে। সিনেমাটির প্রযোজক ও কাহিনিকার সোহানী হোসেন, চিত্রনাট্যকার ফেরারী ফরহাদ। পাবনা ও নাটোরের বিভিন্ন স্থানে ছবিটির শুটিং হয়। অন্তরাত্মা প্রযোজনা করছে তরঙ্গ এএন্টারটেইনমেন্ট।
চার বছর ছবিটির আটকে থাকার কারণও জানিয়েছেন পরিচালক। তার ভাষ্য, লকডাউনের ঠিক আগে আগে শুটিং শেষ করেছি। এখন ভারতে পোস্ট প্রডাকশনের কাজ চলে। যাবতীয় কাজ শেষ করে ছবিটি ঈদে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নতুন করে লকডাউন শুরু হওয়ায় ও সব কাজ সময়মতো শেষ করতে না পারায় জটিলতার মধ্যে পড়ে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এবার সতীর্থ আলবাকে কামড়ে দিলেন সুয়ারেজ
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে লিওনেল মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন লুইস সুয়ারেজ। ওই দলে আছেন তাদের বার্সার সাবেক সতীর্থ জর্ডি আলবা ও সার্জিও বুসকেটস।
এর মধ্যে লস এঞ্জেলেসের বিপক্ষে গত ১০ এপ্রিল কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে খেলতে নামে ইন্টার মায়ামি। ম্যাচে ছিলেন সাবেক বার্সা ত্রয়ী মেসি-সুয়ারেজ ও আলবা। ম্যাচটি ইন্টার ৩-১ গোলে জিতেছে।
ওই ম্যাচের ৮৯ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যাতে দেখা গেছে সতীর্থ জর্ডি আলবার আঙুলে কামড়ে দিয়েছেন সুয়ারেজ।
ভিডিওতে দেখা যায় জটলার মধ্যে সতীর্থ আলবার কাঁধে হাত দিয়ে জোরে চাপ দেন সুয়ারেজ। এতে ব্যথা পেয়ে আলাবা তার হাত উঁচু করলে আঙুলে কামড়ে দেন সাবেক বার্সা ও উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। ধারণা করা হচ্ছে, সুয়ারেজ মনে করেছিলেন আঙুলটা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের।
ওই সময় আলবাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন সাবেক চেলসি ও এসি মিলানের ফ্রান্স স্ট্রাইকার অলিভার জিরু। এটি সুয়ারেজের ফুটবল ক্যারিয়ারে মাঠে চতুর্থবার কামড়ের ঘটনা।
তিনি ২০১৪ বিশ্বকাপে কামড় কাণ্ডে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছিলেন। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে তিনি ইতালির ডিফেন্ডার কিয়েল্লিনির কাঁধে কামড়ে দিয়েছিলেন। দাঁতের দাগ পর্যন্ত বসে গিয়েছিল ইতালির সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের কাঁধে।
এর আগে ২০১০ সালে আয়াক্সে খেলাকালীন এই স্ট্রাইকার উসমান বাক্কালকে কামড়ে দিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় তিনি সাত ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। এরপর ২০১৩ সালে লিভারপুলে খেলার সময় চেলসির ব্রানিসলাভ ইভানোভিককে কামড়ে ১০ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। কিয়েল্লিনিকে কামড়ের ঘটনায় তিনি ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এবার সতীর্থকে কামড় দেওয়ায় তিনি নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছেন।