বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সিলেটের আহবায়ক আখতার গ্রেপ্তার
Published: 23rd, March 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির ইফতারে মারামারির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার আহ্বায়ক আখতার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৩ মার্চ) ভোরে সিলেট জালালাবাদ থানার আউশা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আখতার হোসেন ওই এলাকার আব্দুল মুনিরের ছেলে। আজই (রবিবার) তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
শাহপরান (রহ.
ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, “আখতার ওই মামলার তিন নম্বর আসামি। এই মামলায় আরও একাধিক এজাহার নামীয় আসামি রয়েছেন। আখতারকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/নুর/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। দুর্নীতির অভিযোগে রোববার তাঁকে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। এ খবরে তুরস্কজুড়ে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে। বিভিন্ন শহরে রাতভর চলা বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারের সময় ৯ সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া শত শত বিক্ষোভকারীকেও আটক করা হয়।
বিবিসি জানায়, ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসে। তাঁর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রোববার রাতে তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অস্থিরতা দেখা যায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ দিন সন্ধ্যার আগেই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ইস্তাম্বুল সিটি হলের সামনে জড়ো হয়। তুর্কি পতাকা হাতে নিয়ে তারা দাঙ্গা পুলিশের সামনে স্লোগান দেয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে এবং পিপার স্প্রে প্রয়োগ করে। তুরস্কজুড়ে বিক্ষোভের কারণে অনেক শহরে রাস্তার জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও রোববার টানা পঞ্চম রাতেও বেশির ভাগ স্থানে শান্তিপূর্ণ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে কমপক্ষে ৫৫টিতে বিক্ষোভ হয়েছে, যা পুরো দেশের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি। সিটি হলের সামনে জড়ো হওয়া বিশাল জনতার উদ্দেশে ইমামোগলুর স্ত্রী দিলেক কায়া ইমামোগলু বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে করা এই অবিচার প্রতিটি বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
সোমবার তুরস্কের সাংবাদিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মধ্যে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপির একজন ফটোগ্রাফারও রয়েছেন বলে রয়টার্স জানায়।
এদিকে ইমামোগলুকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তাঁর রাজনৈতিক দল সিএইচপি। সোমবার দলের একজন মুখপাত্র এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পিপলস রিপাবলিক পার্টি বা সিএইচপি একটি বামঘেঁষা রাজনৈতিক দল এবং এই মুহূর্তে তুরস্কের বৃহত্তম বিরোধী দল। ৫৮ বছর বয়সী ইমামোগলু সিএইচপির অন্যতম শীর্ষ নেতা।