দুদকের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক মালেকের ১৩ বছর কারাদণ্ড
Published: 23rd, March 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক মো. আবদুল মালেককে ১৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন আজ রোববার এ রায় দেন। রায়ের আগে কারাগার থেকে মালেককে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম।
রায়ের তথ্য অনুযায়ী, সম্পদের তথ্য গোপন করার অপরাধে মালেককে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ টাকা। আর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে তাঁকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ টাকা।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মালেকের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মালেক দুদকে দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। তিনি তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আসাদুজ্জামান রানা।
এর আগে ২০২১ সালে অস্ত্র মামলায় মালেককে ৩০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
অষ্টম শ্রেণি পাস মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ছিলেন। গ্রেপ্তারের আগপর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স থ বর
এছাড়াও পড়ুন:
নাসির-তামিমার মামলায় সাক্ষ্য পেছালো
অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামি ১৬ জুন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (২৩ মার্চ) মামলাটিতে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমানকে জেরার দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আসেননি।
এজন্য ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত ১৬ জুন জেরার পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম কিরণ জানান, এদিন তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আসেননি। এজন্য জেরা হয়নি। আগামি ১৬ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে এদিন নাসির হোসাইন আদালতে হাজিরা দেন। তবে তামিমা কর্মস্থল সৌদিয়া এয়ার লাইন্সে থাকায় এবং ছুটি না পাওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ২৪ জুন মিজানুর রহমান খান সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। এরপর ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিনজনকে দোষী উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ঢাকা/মামুন/টিপু