সুশান্তর মৃত্যু: নতুন প্রতিবেদনে স্বস্তি পেলেন রিয়া
Published: 23rd, March 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। প্রেমিকের মৃত্যুর শোক পালনেরও সুযোগ পাননি অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। বরং তাকে ২৭ দিন কারাভোগ করতে হয়। মূলত, ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) অভিযোগের কারণে দুর্বিষহ সময় কাটান এই অভিনেত্রী ও তার পরিবার।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর সেই সিবিআই এই মামলার ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করেছে। তাতে রিয়া চক্রবর্তীকে ক্লিন চিট (নির্দোষ) দিয়েছে সিবিআই।
রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মনোশিন্ডে বলেন, “প্রায় সাড়ে চার বছর পর সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করেছে সিবিআই। প্রতিটি দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে মামলাটি বন্ধ করে দিয়েছে, এজন্য সিবিআইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যে পরিমাণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক ছিল। নির্দোষ মানুষদের ক্রমাগত তাড়া তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের সামনে নিয়ে যায় মিডিয়া। আশা করব, এর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”
আরো পড়ুন:
‘ডিভোর্সের পর বাচ্চাদের সঙ্গে ওদের বাবার সম্পর্ক নষ্ট করিনি’
রাকেশ পান্ডে মারা গেছেন
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে দুটি মামলার ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করেছে সিবিআই। মুম্বাইয়ের একটি আদালতে এসব প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে— সুশান্তর মৃত্যুর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সুশান্তের মৃত্যুর পর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনে প্রয়াত অভিনেতার পরিবার। পাটনায় প্রথমে এই অভিযোগ করেন সুশান্তের বাবা কে.
সিবিআইয়ের ক্লোজার রিপোর্টের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি তথ্য হলো— এক. সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন। দুই. রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবার নির্দোষ। তিন. এই মামলায় কোনো ক্রিমিনাল অ্যাঙ্গেল বা ষড়যন্ত্র পায়নি তদন্তকারী কর্মকর্তারা। চার. এআইআইএমএম ফরেনসিক দলও খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পাঁচ. সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যাটগুলো তদন্তের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু টেম্পারিংয়ের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় সুশান্তের মৃতদেহ। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর হতবাক হয়ে যায় তার ভক্ত-অনুরাগীরা। প্রথমেই আঙুল ওঠে রিয়ার বিরুদ্ধে। কারণ বান্দ্রার সেই ফ্ল্যাটে একসঙ্গে থাকতেন সুশান্ত ও রিয়া। কিন্তু সুশান্তর মৃত্যুর কিছুদিন আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়। ক্লোজার প্রতিবেদনও জানানো হয়েছে, ঘটনার দিন ফ্ল্যাটে ছিলেন না রিয়া।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র পর ব স ব আই তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। দুর্নীতির অভিযোগে রোববার তাঁকে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। এ খবরে তুরস্কজুড়ে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে। বিভিন্ন শহরে রাতভর চলা বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারের সময় ৯ সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া শত শত বিক্ষোভকারীকেও আটক করা হয়।
বিবিসি জানায়, ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসে। তাঁর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রোববার রাতে তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অস্থিরতা দেখা যায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ দিন সন্ধ্যার আগেই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ইস্তাম্বুল সিটি হলের সামনে জড়ো হয়। তুর্কি পতাকা হাতে নিয়ে তারা দাঙ্গা পুলিশের সামনে স্লোগান দেয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে এবং পিপার স্প্রে প্রয়োগ করে। তুরস্কজুড়ে বিক্ষোভের কারণে অনেক শহরে রাস্তার জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও রোববার টানা পঞ্চম রাতেও বেশির ভাগ স্থানে শান্তিপূর্ণ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে কমপক্ষে ৫৫টিতে বিক্ষোভ হয়েছে, যা পুরো দেশের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি। সিটি হলের সামনে জড়ো হওয়া বিশাল জনতার উদ্দেশে ইমামোগলুর স্ত্রী দিলেক কায়া ইমামোগলু বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে করা এই অবিচার প্রতিটি বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
সোমবার তুরস্কের সাংবাদিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মধ্যে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপির একজন ফটোগ্রাফারও রয়েছেন বলে রয়টার্স জানায়।
এদিকে ইমামোগলুকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তাঁর রাজনৈতিক দল সিএইচপি। সোমবার দলের একজন মুখপাত্র এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পিপলস রিপাবলিক পার্টি বা সিএইচপি একটি বামঘেঁষা রাজনৈতিক দল এবং এই মুহূর্তে তুরস্কের বৃহত্তম বিরোধী দল। ৫৮ বছর বয়সী ইমামোগলু সিএইচপির অন্যতম শীর্ষ নেতা।