‘ইত্যাদি’ ম্যাগাজিনে নাচবেন তৌসিফ-বুবলী
Published: 23rd, March 2025 GMT
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে সমাজের বিভিন্ন অনিয়ম, অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়। সমকালীন ও বক্তব্যধর্মী এবারের দলীয় সংগীতের বিষয় দেখার চোখ ও বিবেকের চোখ নিয়ে। আমাদের সংস্কৃতি আমাদের শিকড়, অথচ এখন অনেক কিছুই শিকড় থেকে সরিয়ে বিকৃতি স্বীকৃতি পাচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবারের দলীয় সংগীত।
এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন ছোট পর্দার তারকা অভিনয়শিল্পী তৌসিফ মাহবুব ও আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন ইত্যাদির নিয়মিত নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। গানটির কথা লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি। কণ্ঠ দিয়েছেন তানজিনা রুমা, রাজিব ও খেয়া। নৃত্যে অংশগ্রহণ করেছে ইত্যাদির নিয়মিত নৃত্যশিল্পীদল ও নৃত্য পরিচালনা করেছেন ইত্যাদির নৃত্য পরিচালক মামুন।
ফাগুন অডিও ভিশন জানায় শত ব্যস্ততার মাঝেও শিল্পীরা এই নাচটিকে সুন্দর করার জন্যে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন এবং নিয়মিত মহড়ায়ও অংশ নিয়েছেন। অভিনয় ও নৃত্য ছন্দে পরিবেশিত এই দলীয় সংগীতটি দর্শকদের আনন্দ দেবে।
প্রতিবারের মত এবারও ঈদের বিশেষ ইত্যাদি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হবে ঈদের পরদিন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত স ফ ম হব ব কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত কি পাকিস্তানে পানিপ্রবাহ আটকে দিতে পারবে
ভারত কি সত্যিই পাকিস্তানে প্রবাহিত সিন্ধু ও এর দুটি শাখা নদ–নদীর পানি আটকে দিতে পারবে? ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত মঙ্গলবার এক ভয়াবহ হামলার জেরে নয়াদিল্লি সিন্ধু অববাহিকার ছয় নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক একটি চুক্তি স্থগিত করায় অনেকের মনেই এ প্রশ্ন উঠছে।
১৯৬০ সালে এই চুক্তি করে ভারত-পাকিস্তান। এরপর পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটি দুবার যুদ্ধে জড়ালেও চুক্তিটি স্থগিত হয়নি। তাই এতদিন আন্তসীমান্ত পানি ব্যবস্থাপনার এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে এই চুক্তি।
আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসী তৎপরতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে শুধু এই চুক্তিই স্থগিত নয়, আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত; যদিও এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়ে ভারতকে সতর্ক করে বলেছে, যদি ভারত পানি আটকে দেয়, তবে তা হবে ‘যুদ্ধের শামিল’।
চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু অববাহিকার পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি নদী ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রুর পানি ব্যবহার করতে পারবে ভারত। অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি নদ–নদী সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাবের ৮০ শতাংশ পানি পাকিস্তান ব্যবহার করতে পারবে।
তবে এই চুক্তি নিয়ে অতীতে বিরোধ তৈরি হয়েছিল। এসব নদ–নদীতে বাঁধ দিয়ে ভারতের পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন ও অবকাঠামো প্রকল্প নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল পাকিস্তান। তাদের যুক্তি ছিল, এতে নদীর পানির প্রবাহ কমে যাবে এবং এটা চুক্তির লঙ্ঘন। (পাকিস্তানের ৮০ শতাংশের বেশি কৃষিকাজ ও এক-তৃতীয়াংশ পানিবিদ্যুৎ সিন্ধু অববাহিকার পানির ওপর নির্ভরশীল)।
এদিকে ভারত জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সেচ, সুপেয় পানি ও পানিবিদ্যুতের চাহিদার কথা বলে চুক্তিটি পর্যালোচনা এবং এতে কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে আসছিল।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিল বিশ্বব্যাংক। দীর্ঘ এই সময়ে চুক্তিটি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান আইনি লড়াই চলেছে।
কিন্তু এবারই প্রথম কোনো একটি পক্ষ চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। কাজটি করেছে ভারত। কারণ, উজানের দেশ হিসেবে এ ক্ষেত্রে ভৌগোলিকভাবে তারা আছে সুবিধাজনক অবস্থানে।
কিন্তু এই চুক্তি স্থগিত বলতে আসলে কী বোঝায়? ভারত কি সিন্ধু অববাহিকার পানি আটকে বা সরিয়ে পাকিস্তানের জনজীবনের জন্য অতি জরুরি এ পানি থেকে তাদের বঞ্চিত করতে পারবে? সেটা কি আদৌ ভারতের পক্ষে সম্ভব?
শুষ্ক সিন্ধু নদের তীরে হাঁটছে লোকজন, ১৫ মার্চ ২০২৫, জামশোরো, পাকিস্তান