সারাদিন রোজা শেষে ইফতারে সবাই চায় একটু মুখরোচক খাবার। একই খাবার প্রতিদিন খেতে একঘেয়েও লাগে। স্বাদে ভিন্নতা আনতে ইফতারে বানাতে পারেন ডিম আলুচপ। এটি ছোট-বড় সবাই পছন্দ করবে।
উপকরণ :আলু ৫০০ গ্রাম, সিদ্ধ ডিম দুটি, ধনেপাতা কুচি দুই টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি এক টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি এক চা-চামচ, জিরা গুঁড়া এক চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ (টেলে নেওয়া মরিচ), ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, বিস্কুটের গুঁড়া প্রয়োজনমতো, একটি ডিম ফেটানো এবং তেল ভাজার জন্য।
প্রস্তুত প্রণালি :প্রথমে আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ভর্তা করে নিন। ডিমও একইভাবে সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ভর্তা করে নিন। তারপর ভর্তা করা ডিম ও আলুর সঙ্গে একে একে সব মসলা ও পেঁয়াজ কুচি ভালো করে মাখিয়ে হাত দিয়ে গোল গোল বা চ্যাপ্টা করে প্রথমে ফেটানো ডিমে মাখিয়ে তারপর বিস্কুটের গুঁড়ায় গড়িয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর চপগুলো গরম গরম ডুবন্ত তেলে ভেজে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার পরামর্শ
সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় (অফিসার্স অ্যাড্রেস) সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। সোমবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সেনাপ্রধান সংকটময় সময়ে সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচারের আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে সেনাসদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে যে দায়িত্ব পালন করছে, জাতি তা মনে রাখবে। তিনি সবাইকে পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পরামর্শ দেন। এ সভায় সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার বাইরের কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত হন।
সেনাপ্রধান বলেন, রমজানে অনেক সদস্য ক্যাম্পের বাইরে ইফতার করলেও তাদের দায়িত্ব পালনে কোনো শিথিলতা আসেনি। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব প্রশংসিত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, সম্প্রতি ঢাকা সফরে আসা জাতিসংঘ মহাসচিব শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অসাধারণ কাজের প্রশংসা করেছেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে শান্তিপূর্ণভাবে সেনানিবাসে ফিরে আসা হবে আমাদের বিজয়।’ জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পরিশ্রমের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সূত্র আরও জানায়, উস্কানিমূলক বক্তব্যে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানোর আহ্বান জানান সেনাপ্রধান। এতে উস্কানিদাতারাই লাভবান হবে– মন্তব্য করেন তিনি। গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীর কাজ সম্পর্কে সরকার জানে, জনগণও জানে। নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি হয়নি। তিনি সবাইকে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরামর্শ দেন।
অপরাধের হার পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রায় একই থাকলেও দৃশ্যমান অপরাধ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে বলে জানান সেনাপ্রধান। তাই এসব অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন। যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই দৃঢ়তা বজায় রাখার কথা বলেন তিনি।
উগ্রপন্থার অনুসারীরা যাতে কোনো অস্বাভাবিক কিছু করার চেষ্টা করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার কথাও বলেছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশকে কোনো ক্ষতিকর শক্তি স্পর্শ করতে পারবে না বলেও অভিমত দেন সেনাপ্রধান।
সোমবার রাতে এ সভার বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সমকালকে জানায়, এটি নিয়মিত সভা। সেখানে সেনাপ্রধান সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।