রমজানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাথায় পানি দিন
Published: 23rd, March 2025 GMT
অসহনীয় তাপমাত্রা দেখা দিলে রাসুল (সা.) মাথায় পানি ঢালতেন। আবু বকর বিন আবদুর রহমান কয়েকজন সাহাবির উদ্ধৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রমজানে আরজ এলাকায় অত্যধিক পিপাসা বা তাপমাত্রা দেখা দিলে রাসুল (সা.)-কে দেখেছি যে তিনি মাথায় পানি ঢালছেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ২,৩৬৫)
দৈহিক প্রশান্তি ও স্বস্তির জন্য এমন করা দোষের নয়। এর ফলে রোজাদারের ইবাদতের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। কারণ, বান্দা স্বতঃস্ফূর্ত ও সানন্দ্যচিত্তে রবের আদেশ-নিষেধ পালন করবে—এটাই মুখ্য। রোজা রাখার উদ্দেশ্য দৈহিক কষ্টভোগ, নির্যাতন কিংবা কঠোরতা আরোপ করা নয়।
একই ভাবে ভালোভাবে গোসল করা, কাপড় ভেজানো, পানিতে ডুব দেওয়া—সবই মাথায় পানি ঢালার হুকুম ভুক্ত। ইমাম বুখারি (রহ.
সে-হিসেবে রোজা রেখে বর্তমানে এ-সি রুমে সময় কাটানোও একই হুকুম ভুক্ত ধরা যাবে। (হাকাজা কানান নাবি স. ফি রমাদান, ফয়সাল বিন আলী আল-বাদানি, ৪৪)
এ ক্ষেত্রে মৌলিক ও সাধারণ নীতিমালা হলো, ব্যক্তির জন্য ইবাদত পালন যা সহজ করে দেয়, স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে করা সম্ভব হয়, তা করা রোজাদারের জন্য বৈধ। আর যে পরিশ্রম ও কষ্টভোগের কারণে রোজা থেকে বিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা এড়িয়ে যাওয়াই কাম্য। তবে যে-কষ্ট রোজাকে আরও মহিমান্বিত করে, তাকে মেনে নেওয়া উত্তম। কেননা, তাতে ইবাদতের প্রতিদান বৃদ্ধি পায়। যেমন, অধিক শীতে অজু করা, হজের জন্য সফর, প্রচণ্ড শীত বা গরমে জামাতে নামাজ আদায় ইত্যাদি।
ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, অযৌক্তিক আত্মাকে কষ্টদান কিংবা কঠোরতা আরোপ করা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায় হতে পারে না। অধিকাংশ মূর্খ ভাবে—আমল যত কঠিন, পুরস্কার তত বেশি। তারা ভাবে, কষ্টের মাত্রা অনুসারে প্রতিফল নির্ধারিত হয়। অথচ প্রতিফল নির্ণয় করা হয় আমলের উপকারিতা ও পরিণতি হিসেবে। বান্দা যতটা আল্লাহ ও তার রাসুলের (সা.) আনুগত্যের বিভায় উদ্ভাসিত হবে, তত তার আমল কবুলযোগ্য হবে। সংখ্যাধিক্যের বিচারে নয়, বরং আমল সমৃদ্ধ হয় অন্তরের অবস্থা অনুসারে। (মাজমুউল ফাতাওয়া, ২৫/২৮১-২৮২)
আরও পড়ুনঈদ যেভাবে এল১১ এপ্রিল ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সেবায় ছাত্রদল
শেরপুর জেলা শহরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের মাঝে কলম, পেন্সিল, পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে শেরপুর জেলা ছাত্রদল। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের জিকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর আগে ছাত্রদল এ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এ সময় সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা, অভিভাবকদের তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিতে ছায়ায় বসার ব্যবস্থা করে সংগঠনটি। এছাড়াও মোবাইল, ব্যাগ ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র জমা রাখাসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়েছে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিয়ামুল হাসান আনন্দ। এ সময় সাধারণ সম্পাদক নাইম হাসান উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শারদুল ইসলাম মুরাদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক নাট্য বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনালসহ জেলা ছাত্রদলের অধীনস্থ শহর, থানা ও কলেজ ছাত্রদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
তিয়ানশির জালে কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা, স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা
কুয়েটের ৫ হলের তালা ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা, ভিসির পদত্যাগের একদফা
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাইম হাসান উজ্জ্বল বলেন, সারা দেশে গরম পড়ছে। এতে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় তাদের কিছুটা হলেও প্রশান্তি দেওয়ার জন্য পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নেওয়া অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা, তাদের পানি ও খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়।
ঢাকা/তারিকুল/বকুল