নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার তল্লায় একটি টিনশেড বাসায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান দগ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে দগ্ধদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে  আনা হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্বজনরা জানান, শহরের তল্লা এলাকায় একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকে পরিবারটি। সেহরির খাবার গরম করার জন্য গ্যাসের চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন ধরে যায় গৃহকর্ত্রী কমলা বেগমের শরীরে। এ সময় পাশের কক্ষ থেকে স্বামী এবং মেয়ে ছুটে এসে কমলার শরীরের আগুন নেভাতে গেলে তারাও দগ্ধ হন। পরবর্তীতে তিনজনকেই উদ্ধার করে প্রথমে নগরীর খানপুরস্থ নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ও পরে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
 
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.

শাওন বিন রহমান বলেন, ‘কমলা বেগমের শরীরের ৬২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর বাবা-মেয়ে সামান্য দগ্ধ হয়েছেন। তদেরও চিকিৎসা চলছে।’

ডা. শাওন বিন রহমান আরও বলেন, ২০২০ সালে তল্লার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে গ্যাসলাইন থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৪ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র য ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

পল্টনে রান্নার সময় চুলায় পড়ে মা দগ্ধ, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন মেয়েও

রাজধানীর পল্টন এলাকার কালভার্ট সড়কের একটি বাসায় রান্না করার সময় চুলায় পড়ে হোসনে আরা (৬৩) নামের এক নারী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন তাঁর মেয়ে তাসলিমা সুলতানাও (৩৪)।

আজ সোমবার দুপুরে এ ঘটনার পর মা ও মেয়েকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হোসনে আরার শরীরের ৮৮ শতাংশ এবং তাঁর মেয়ে তাসলিমা সুলতানার শরীরের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

চিকিৎসকেরা জানান, হোসনে আরা আগে থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ