Risingbd:
2025-03-24@19:58:41 GMT

যশোরের সড়কে যুবকের মৃত্যু

Published: 23rd, March 2025 GMT

যশোরের সড়কে যুবকের মৃত্যু

যশোরের অভয়নগরে সড়কের পাশের পিলারে ধাক্কা লেগে আবু বক্কর (১৮) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ওহিদুজ্জামান রাতুল (১৯) নামে অপর এক যুবক।

শনিবার (২১ মার্চ) রাতে উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামে শংকরপাশা-আমতলা সড়কে ঘটনাটি ঘটে।

মারা যাওয়া আবু বক্কর উপজেলার লেবুগাতী গ্রামের এরশাদ আলী শেখের ছেলে। আহত রাতুল একই গ্রামের জালাল উদ্দিন শেখের ছেলে। আবু বক্কর ও রাতুল সম্পর্কে চাচাতো ভাই।

আরো পড়ুন:

রাজধানীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত এক

নাটোরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে সেনাসদস্য নিহত

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শনিবার রাতে আবু বক্কর ও রাতুল উপজেলার নওয়াপাড়া বাজার থেকে শংকরপাশা-আমতলা সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে লেবুগাতী গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন রাতুল। সড়কের বাঁক অতিক্রম করার সময় মোটরসাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারান রাতুল। এসময় মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে থাকা সাংকেতিক পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। আবু বক্কর ও রাতুল দুইজনই গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে রাত ৯টার দিকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু বক্করকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মশিউর রহমান বলেন, “রাত ৯টার দিকে দুইজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। একজন হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। গুরুতর আহত অপরজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

অভয়নগর থানার ওসি আবদুল আলিম বলেন, “মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের পিলারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন অপর আরোহী। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত স ব স থ য কমপ ল ক স উপজ ল সড়ক র

এছাড়াও পড়ুন:

সংরক্ষিত বন ও নদীঘেঁষে অবৈধ জালে মাছ নিধন

সংরক্ষিত টেংরাগিরি বন সংলগ্ন পায়রা নদীর ৫০ কিলোমিটারজুড়ে অবৈধ চরঘেরা (চরগড়া) জালে অবাধে চলছে মাছ নিধন। বনরক্ষীদের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে মাছ শিকারে সহায়তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দেশি প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি বনাঞ্চল থেকে শুরু হয়ে পটুয়াখালীর পায়রাকুঞ্জ পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে হাজার হাজার জেলে পরিবারের বসবাস। পায়রা নদীর ওপর নির্ভর তাদের জীবন ও জীবিকা। মাছ ধরতে এ নদীর দু’পারে ছোট ফাঁসের চরঘেরা জাল ব্যবহার করেন তাদের অনেকেই। জাল পাতার কাজে ব্যবহৃত খুঁটি সংগ্রহ করা হয় টেংরাগিরি ও গুলিশাখালীর সরকারি ছৈলার চরের বনাঞ্চলের গাছ কেটে। 
জাল পাতার সবচেয়ে বড় স্পট তালতলীর জয়াল ভাঙ্গা, নলবুনিয়া, নিদ্রারচর, টেংরাগিরি ও পায়রার মোহনা। আমতলী উপজেলায় গুলিশাখালী চর, আঙুলকাটা, বালিয়াতলী ও পশুরবুনিয়া। শুক্র ও শনিবার গুলিশাখালী, আঙুলকাটা, বৈঠাকাটা, লোছা, বালিয়াতলী লোছাসহ নলবুনিয়া, টেংরাগিরিসহ কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে ১৫০ থেকে ২০০টি চরঘেরা জাল পাতা হয়েছে। একেকটি জাল ৩০০ থেকে ৪০০ ফুট লম্বা। 
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই জাল রাতেই বেশি পাতা হয়। জোয়ারের সময় জাল নদীর এক তীরে বসানো হয় বলে এই জালের নাম চরঘেরা। জালের প্রান্তে বাঁশ বা খুঁটি থাকে, সেগুলো ছয়-সাত ইঞ্চি মাটিতে পোঁতা থাকে। ভাটার সময় জাল টেনে তোলা হয়। হালকা ও মিহি বুননের হওয়ায় একবার কোনো মাছ জালে ঢুকলে আর বের হতে পারে না। এতে আইড়, পোয়া, তপসী, ইলিশসহ নানা প্রজাতির বড় মাছের সঙ্গে ধরা পড়ছে পোনাও। বাদ যায় না জলজ প্রজাতির কোনো জীব। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুলিশাখালীর এক জেলে জানান, গুলিশাখালীর জেলে নুরুল ইসলাম, ইউসুব প্যাদা, আবুল হোসেন, ইব্রাহিম প্যাদাসহ অর্ধশতাধিক জেলে রাত থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত চরঘেরা জাল পেতে মাছ শিকার করছেন। মৎস্য বিভাগ মাঝেমধ্যে অভিযান চালায়। জেলেরা আগে থেকেই খবর পেয়ে যায়। এসব কারণে অবৈধ জালে মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছে না। আর নির্বিচারে শিকার করায় পায়রা নদী এখন মাছশূন্য হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, জাল পাতার খুঁটির জন্য উজাড় করা হচ্ছে ছৈলার চর ও টেংরাগিরি বনের গাছ। টেংরাগিরি বনাঞ্চলের বনরক্ষী জহিরুল হক টাকার বিনিময়ে বনের গাছ কাটতে দেওয়ার পাশাপাশি বন সংলগ্ন নদীতে জেলেদের অবৈধ চরঘেরা জাল দিয়ে মাছ শিকারের সুযোগ করে দিচ্ছেন। তবে জহিরুল হক এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বন বিভাগের তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, বনের গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
আমতলী উপজেলা বন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, গুলিশাখালীর ছৈলার চরটি নদীর মাঝখানে অবস্থিত হওয়ায় সব সময় যোগাযোগ করা যায় না। গাছ কাটার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, ছোট ফাঁসের চরঘেরা জালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। আগে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে জাল জব্দ করা হয়েছে। এলাকায় সোর্স লাগানো আছে। এই জাল পাতার খবর পাওয়া মাত্র আমারা সেখানে অভিযান পরিচালনা করব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংরক্ষিত বন ও নদীঘেঁষে অবৈধ জালে মাছ নিধন
  • মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের সাংকেতিক পিলারে ধাক্কা, তরুণ নিহত