একটানা ১৫ সেকেন্ড হাসি বাড়াতে পারে আয়ু
Published: 23rd, March 2025 GMT
অফিসের চাপ, দৈনন্দিন জীবনের চাপে অনেকে হাসতে ভুলে যান। অথচ জানেন কী, প্রতিদিন কয়েক সেকেন্ডের জন্য হাসলে আপনার আয়ু বাড়াতে পারে? তবে সেটা হতে হবে প্রাণখোলা হাসি। হাসির কিছু মুহূর্ত আপনার জীবন থেকে নেতিবাচকতা, চাপ এবং বিষণ্ণতা দূর করতে পারে। সুখী থাকার জন্য অনেকে অনেক বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তারা হয়তো জানেন না কয়েক মিনিটের জন্য হাসির যোগব্যায়াম করলে তা আপনাকে মুহূর্তেই সুখী করবে।
অনেক সময় আমাদের মনে প্রশ্ন আসে সুখ আসলে কী? এটি এমন একটি অনুভূতি যা কেবল অনুভব করা যায়। তবে, প্রতিদিন যা আপনাকে ছোট ছোট আনন্দ দেয় তাতে সন্তুষ্ট থাকতে শেখা জরুরি। কারণ এই ছোট ছোট আনন্দগুলি একসাথে বড় সুখ নিয়ে আসে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ একবারেই সুখী হতে চায়। এই সুখ খুঁজতে গিয়ে অনেকেই হাসতে ভুলে যায়।
এদিকে, গবেষণায বলছে, দিনে ১৫ মিনিটের জন্য হাসা ২ ঘন্টা ঘুমানোর মতোই উপকারী। একবার জোরে হাসলে ৩ দশমিক ৫ গ্রাম ক্যালোরি পোড়ে। আর ১৫ সেকেন্ডের জন্য একটানা হাসলে আপনার আয়ু ২ দিন বাড়ে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ হৃদয়, মন, হজমশক্তি, শরীরের সুগার, রক্তচাপের ভারসাম্য নষ্ট করে। অনেকেই মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ওষুধ খান। অথচ প্রকৃত সুখ আমাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে।
কীভাবে সুখী থাকতে পারবেন-
সুখী হতে হলে, অন্যদের সাহায্য করার চেষ্টা করুন। প্রতি ঘন্টায় ১০ সেকেন্ড স্ট্রেচিং করুন। প্রিয়জনের হাসিমুখের ছবি সামনে রাখুন।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমাতে যা করবেন-
নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করুন
প্রতিদিন যোগব্যায়াম করুন
মেডিটেশন করুন
গভীর শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে ছাড়ুন। অর্থাৎ নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
গান শুনুন
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
হাসির উপকারিতা কী?
প্রাণবন্ত হাসিতে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়
রোগ প্রতিরোধক কোষ সক্রিয় থাকে
শরীরে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে
পেটের পেশির ব্যায়াম হয়
হাসির যোগব্যায়ামের উপকারিতা
হাসি মানসিক চাপ কমায়
বিষণ্ণতা দূর করে
ভয় দূর করে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
অক্সিজেন এবং রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি হয়
নেতিবাচকতা দূর করে
সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পল্টনে রান্নার সময় চুলায় পড়ে মা দগ্ধ, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন মেয়েও
রাজধানীর পল্টন এলাকার কালভার্ট সড়কের একটি বাসায় রান্না করার সময় চুলায় পড়ে হোসনে আরা (৬৩) নামের এক নারী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন তাঁর মেয়ে তাসলিমা সুলতানাও (৩৪)।
আজ সোমবার দুপুরে এ ঘটনার পর মা ও মেয়েকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হোসনে আরার শরীরের ৮৮ শতাংশ এবং তাঁর মেয়ে তাসলিমা সুলতানার শরীরের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানান, হোসনে আরা আগে থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।