Samakal:
2025-03-24@18:42:26 GMT

ঈদ আনন্দমেলায় রুনা লায়লা 

Published: 23rd, March 2025 GMT

ঈদ আনন্দমেলায় রুনা লায়লা 

উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা টিভি আয়োজনে খুব কমই গান করেন। তবে যে কোনো উৎসব আয়োজনে তাঁকে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ঈদ আনন্দমেলা’য় থাকছে তাঁর গান।

গত বছর প্রথমবারের মতো আনন্দমেলায় গান করেছিলেন রুনা লায়লা। ওই আয়োজনে নন্দিত কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন এই প্রজন্মের আরও চার শিল্পী– দিলশাদ নাহার কনা, ইমরান মাহমুদুল, জানিতা আহমেদ ঝিলিক ও সাব্বির জামান। এটি শ্রোতারা বেশ পছন্দ করেছিলেন। এবারের আনন্দমেলায় তিনি একাই গাইবেন। তাঁর কণ্ঠে শোনা যাবে ‘শিল্পী আমি তোমাদের গান শোনাবো’ গানটি। আগামীকাল ২৪ মার্চ বিটিভির নিজস্ব অডিটোরিয়ামে আনন্দমেলার শুটিংয়ে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে বিটিভির একটি সূত্র। 

জানা গেছে, রুনা লায়লার পাশাপাশি এবারের আনন্দমেলায় আরও অনেক তারকা হাজির হবেন। থাকছে তারকাশিল্পীদের অংশগ্রহণে নাচ, চমৎকার কিছু স্কিডসহ হরেক আয়োজন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন মাসুমা রহমান নাবিলা ও মামনুন ইমন। এর আগে ২০১৮ সালে আনন্দমেলা উপস্থাপনা করেন নাবিলা। ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সজল নূর। সাত বছর পর ফিরলেন তিনি। ৫০ মিনিটের অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করছেন মাহবুবা ফেরদৌস, মো.

হাসান রিয়াদ ও মোহাম্মদ মনিরুল হাসান। এটি প্রচার হবে ঈদের দিন রাতে।

আনন্দমেলা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মনিরুল হাসান সমকালকে বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও আনন্দমেলা বর্ণিল হবে। দর্শক-শ্রোতাদের প্রত্যাশা থাকে আনন্দমেলায় বড় মাপের কোনো শিল্পীর উপস্থিতির। এবারের আয়োজনে বড় চমক রুনা লায়লা। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ফিরেই শুটিংয়ে অংশ নেবেন। তাঁর উপস্থিতি আয়োজনকে আলোকিত করবে। চেষ্টা করেছি দর্শক প্রত্যাশামাফিক অনুষ্ঠান সাজাতে। আশা করছি, তারকাবহুল আনন্দমেলা দর্শকের মন ভরাবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি ঋণ-অনুদানের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৬৭%

বিদেশি ঋণ-অনুদানের প্রতিশ্রুতি বেশ খানিকটা কমে গেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রথম আট মাসে বিদেশি ঋণ অনুদানের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে ২৩৫ কোটি ডলারের মতো। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ৭২০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল উন্নয়ন সহযোগীরা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বিদেশি ঋণ-অনুদানের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৬৭ শতাংশের বেশি। 

গতকাল সোমবার বিদেশি ঋণ ও অনুদান বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। এটি ৬৭৪ কোটি ডলার থেকে কমে হয়েছে প্রায় ২০৪ কোটি ডলার। কমেছে অনুদানের প্রতিশ্রুতিও। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৩১ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের অনুদানের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৬ কোটি ডলারের বেশি। 
গতকাল পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, যেহেতু অনেক প্রকল্প আর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না, সে কারণে বাস্তবায়নে গতি কম। এ কারণে উন্নয়ন সহযোগীরা অর্থ ছাড় কম করছে। পরিকল্পনা কমিশনে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) ইফতার অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেকে বলছে যে সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগীদের সম্পর্ক ভালো, তাহলে ঋণের প্রতিশ্রুতি কমছে কেন। মূলত ব্যয় কম হওয়ার কারণেই প্রতিশ্রুতি বাড়ছে না। 

ইআরডির তথ্যমতে, গত জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে মোট বিদেশি ঋণ-অনুদান ছাড় হয়েছে ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৯৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এ হিসাবে উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থ ছাড় কমেছে ১৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের আট মাসে ৩৮৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের বিদেশি ঋণ ছাড় হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৭৭ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। অবশ্য অনুদান ছাড়ের পরিমাণ বেড়েছে। অনুদান এসেছে ২৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে আসে ২২ কোটি ডলার।  
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ ২৬৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২০৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ বিদেশি সুদাসল পরিশোধে সরকারের ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। গত জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে মূল ঋণ পরিশোধ বাবদ ব্যয় হয়েছে ১৬৯ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধ করা হয় ১২২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এই অর্থবছরের আট মাসে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৯৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে এটি ছিল ৮০ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ